নির্জন হানাবাড়ির মাঝে দাঁড়ানো বৈশাখীর মুখে ছাদের ফাটল গলে এক চিলতে আলো এসে পড়ে। রণেন্দুর তাকে দেবী বলে মনে হয়। সে ভাবে কথাটা আজ বলেই ফেলবে বৈশাখীকে। কিন্তু তার মুখমন্ডল ঘেমে ওঠে। হঠাৎ কড়িবরগার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে বৈশাখী চুপ করে যাওয়া রণেন্দুর মুখের দিকে তাকায়। তার কপালের ঘামে হাতের তালু ঠেকিয়ে বলে, ‘কী রে, তুই কী আমার সাথে সেক্স করতে চাইছিস!’

ঘাবড়ে যায় রণেন্দু। সে কীভাবে প্রোপোজ করবে ঠিক করতে পারছিল না লজ্জায়, তাকে বৈশাখীর হঠাৎ এই প্রশ্ন এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয়। সে তোতলাতে তোতলাতে বলে, ‘ন্না, না তো, কই...’

‘ছেলেরা সেক্স ফিল করলে কপাল ঘেমে যায়’ রিনরিনে হাসি ছড়িয়ে কথাগুলো বলে বৈশাখী। ‘আলটিমেটলি ছেলেরা তো মেয়েদের কাছাকাছি আসতে চায় সেক্স করার জন্যই।’ বৈশাখীর এই কথায় তার মনের ভিতর সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা কথাগুলো এলোমেলো হয়ে যায়।

কলেজ পালিয়ে সবাই এদিক ওদিক ঘুরতে চলে যায়। জোড়ায় জোড়ায়। একদিন নদীর ধারে যায় রণেন্দু ও বৈশাখী। জঙ্গলে ঢাকা পোড়ো জমিদার বাড়ি দেখতে। রণেন্দু বৈশাখীর ক্লাসমেট হলেও মনের মধ্যে যত্নলালিত কথাটা তাকে কোনওদিনও বলে উঠতে পারেনি। আসলে বৈশাখীর সমদূরত্ব বজায় রাখা সব ছেলেবন্ধুর মধ্যে তার অবস্থানটা গুলিয়ে ফেলে রণেন্দু। তাই একদিন সুযোগ বুঝে বৈশাখীকে আমন্ত্রণ জানায় অজয়ের তীরে পোড়ো জমিদার বাড়ি দেখতে যাবার।

বাইকের পিছনে বসিয়ে বৈশাখীকে নিয়ে যাবার সময় নিজেকে রণেন্দুর পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ও সৗভাগ্যবান সম্রাট বলে মনে হচ্ছিল। কোনও ধন-দৗলত ছাড়াই একজন মহিলাকে শুধুমাত্র নিজের করে পাওয়ার জন্য পুরুষরা সত্যিই সব ঐশ্বর্য হেলায় হারিয়ে দিতে পারে। অনেকের নজর থাকলেও বৈশাখীকে নিয়ে আজও কেউ স্বপ্নের মায়াজাল বুনতে পারেনি। স্বপ্ন দানা বাঁধার আগেই সবাই বুঝতে পারে বৈশাখী আদৌ ধরাই দিচ্ছে না স্বপ্নে। বাস্তবে তো নয়ই। সেই বৈশাখী একবার বলায় রাজি হয়ে যাবে, রণেন্দু ভাবেনি।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...