কনক এলাহাবাদ ইউনিভার্সিটি-তে পিএইচডি-র ছাত্রী। ওর বিষয় হিন্দি। ড. অমনের আন্ডারে রিসার্চ করছিল সে। ড. অমন কিছুদিনের ছুটি নিয়ে বাইরে যাওয়ার সময়, ইউনিভার্সিটি-তে উনি যে ঘরে বসতেন, সেখানকার চাবিটা কনককে দিয়ে যান যাতে সে, প্রয়োজনীয় বইগুলো নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে। এরই মধ্যে আর-একজন প্রফেসারও দুমাসের ছুটি নেওয়াতে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কনককে ওই পদে অস্থায়ীরূপে বহাল করে।

ইউনিভার্সিটি-তে কনক কোনও দিন রঙিন পোশাকে আসত না। সাদা শাড়ি ব্লাউজ ওর প্রায় ড্রেস কোড হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কনকের গায়ের রং একটু চাপা হলেও নাক চোখ খুব শার্প এবং সবসময় হাসিমুখ। সামনে এসে দাঁড়ালে বা পাশ দিয়ে গেলে উপেক্ষার অবকাশ থাকে না। চোখ তুলে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করবে এতটাই আকষর্ণীয় ওর চেহারা এবং ব্যক্তিত্ব। এছাড়া স্বভাব এবং কথার মিষ্টতা সহজেই মুগ্ধ করত অপরিচিতদেরও।

কনকের প্রথম ক্লাস পড়ল মাস্টার্স-এর শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। ক্লাসের আগে নিজেকে প্রস্তুত করে নিল কনক। বুকের মধ্যে কিছুটা দুরুদুরু ভাব নিয়ে কনক ক্লাসে প্রবেশ করল। প্রথমেই শিক্ষার্থীদের নিজের পরিচয় দিতে উদ্যত হল,

- তোমাদের যিনি এতদিন পড়িয়েছেন তিনি ছুটিতে থাকায় আমিই এই দুই মাস তোমাদের ক্লাস নেব। আমাকে তোমাদের বন্ধু মনে করো। আমি সবরকম ভাবে তোমাদের সাহায্য করার চেষ্টা করব। আমি হয়তো তোমাদের কাছেও কিছু শিখতে পারব, যা কিনা আমার রিসার্চে সাহায্য করবে।

এরপর কনক ক্লাসে সকলের পরিচয় জিজ্ঞেস করল। সকলেই নিজের নিজের নাম ও পরিচয় দিল। একটি ছেলে বিশেষ করে কনকের দৃষ্টি আকর্ষণ করল। ছেলেটির নাম নবীন। জানতে পারল, সে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। বাবা নেই, মা গৃহিণী। বাবার পেনশনের টাকায় মা-ছেলের সংসার চলে।

কনক লক্ষ্য করল, নবীন ছেলেটি বুদ্ধিদীপ্ত, স্টুডিয়াস এবং অত্যন্ত সপ্রতিভ। আবার সবসময় বন্ধুদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টাতেও যোগ দিচ্ছে আর মুখে হাসি লেগেই আছে। একটা পেপার খারাপ হয়ে যাওয়াতে, গত বছর ড্রপ করে নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তৈরি করছে নিজেকে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...