গতকাল রাতে ফোনে বাবার গলা শুনে কুহেলি যতটা ভয় পেয়েছিল, বাড়িতে এসে মাকে দেখে ততটা খারাপ মনে হল না। উদ্বিগ্ন স্বরে জিজ্ঞেস করল, “কেমন আছো এখন, মা?'

—আজকে একটু ভালোই আছি। তোর সঙ্গে ও কে?

—ও রীতা, কল্যাণীতেই থাকে। আমরা একসঙ্গে স্কুলে পড়তাম। ট্রেনে দেখা হয়ে গেল অনেক বছর পর। তাই নিয়ে এলাম। —ঠিক আছে। তোরা বসে কথা বল, আমি তোদের জন্য চা বানিয়ে নিয়ে আসছি। কুহেলির মা রীতাকে বসতে বলল।

—না মা, তোমার শরীর ভালো নেই, তুমি বসো, আমি চা করে আনছি। বাবা কোথায় ?

—বাবা এখনও ফেরেনি অফিস থেকে, বলে কুহেলির মা একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসলেন।

কুহেলি রান্না ঘরে গিয়ে চায়ের জলটা বসিয়ে সুব্রতদাকে ফোন করল। ‘হ্যালো, সুব্রতদা, কুহেলি বলছি।'

—হ্যাঁ, বল। তোর মা ঠিক আছে তো?

—হ্যাঁ, মা আজ একটু ভালো আছে। তবে আমি আপনাকে অন্য একটা কারণে ফোন করেছি।

—কী ? বল না?

—কিছুদিন আগে আপনি একজন রিসেপশনিস্ট নেবার কথা বলেছিলেন, সেই চাকরিটা কি এখনও আছে? নাকি আপনি কাউকে পেয়ে গেছেন?

—না রে, এখনও ভালো কাউকে পাইনি। কেন রে? তোর পরিচিত কেউ আছে কি?

—হ্যাঁ সুব্রতদা, আছে। আমার বন্ধু। মেয়েটি খুব ভালো, আর ওর একটা চাকরির খুব প্রয়োজন।

—ঠিক আছে, তাহলে ওকে সামনের সপ্তাহেই এসে আমার সঙ্গে দেখা করতে বল। তুই যখন ভালো বলেছিস, তখন আর চিন্তা কী ?

—থ্যাংক ইউ, দাদা। কথাগুলো বলে কুহেলি চা নিয়ে বসার ঘরে গেল। চা-টা খুব তাড়াতাড়ি শেষ করে কুহেলি রীতাকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এল। কুহেলি ওর মায়ের সামনে কোনও কথা বলতে চাইছিল না। তাই রীতাকে বাইরে নিয়ে এসে সুব্রতদার সঙ্গে ওর হওয়া কথাগুলো বলে, দু'দিন পরে রীতাকে ওদের অফিসে যেতে বলল।

রীতা কুহেলির ফোন নম্বর আর অফিসের ঠিকানা নিয়ে বাড়ি ফিরল। বাড়ি পৌঁছোতে সন্ধ্যা হল। দরজা খুলতে খুলতে রীতার মা জিজ্ঞেস করল, “এত রাত করে

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...