সারা সপ্তাহ বিরামহীন কর্মব্যস্ততার পর, উইক এন্ড-এ কোথাও অবসর যাপনের ইচ্ছে হয় অনেকের। কিন্তু কোথায় যাবেন, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না অনেকে। কারণ, অবসর যাপন মানে তো আর শুধু হোটেলে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়া নয়। দু চোখ দিয়ে প্রকৃতিকে উপভোগ করার ইচ্ছেই প্রাধান্য পায় ভ্রমণে। অনেকে আবার সুন্দর প্রকৃতির পাশাপাশি, বিলাসবহুল আরাম-আয়াসও চান। কিন্তু ছোট্ট ছুটিতে সব ইচ্ছে পূরণ করা যাবে কোথায়, সেই চিন্তায় থাকেন অনেকে এবং এরফলে ট্যুর-টাই হয়ে ওঠে না অনেক সময়। কিন্তু এবার সফরের সম্পূর্ণ আনন্দ নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে রায়চকে। কারণ, এই রায়চকে খোলা হল ‘তাজ গঙ্গা কুটির রিসর্ট অ্যান্ড স্পা’।
গঙ্গার পাড়ে ১০০ একর জায়গা জুড়ে এই রিসর্ট-টির অবস্থান। গঙ্গা-স্নান থেকে শুরু করে নৌকা ভ্রমণ, নদীর মাছের স্বাদ নেওয়া সবই সম্ভব এখানে। দিনে-রাতে মনোরম হাওয়া গায়ে মেখে, রিসর্ট-এর বিলাসবহুল ঘরে বসবাস করার মজা-ই আলাদা। রিসর্ট-এর একাধিক রেঁস্তোরায় আমিষ, নিরামিষ সবরকম খাবারের স্বাদ নিয়ে, রিসর্ট চত্বরেই লোকগান শোনার দারুণ সুবিধে রয়েছে এখানে। শুধু কী তাই? যারা নদীতে স্নান না করে সুইমিং পুল-এ স্নান করতে চান, তাদের জন্য রয়েছে একাধিক সুইমিং পুল-এ স্নান করার ব্যবস্থা। রয়েছে ছোটো-বড়ো সবার জন্য বিস্তৃত খেলার জায়গা এবং শরীরচর্চার জায়গা। নীচে ঘাসের সবুজ চাদর, চারিদিকে সবুজ গাছ-গাছালি, সামনে বহমান গঙ্গা আর উপরে নীল আকাশের চোখ জুড়ানো শোভা, আহা, নয়নাভিরাম! আর রিসর্ট-এ থাকা স্পা সেন্টার দেবে অতিরিক্ত আরাম।
একদিকে বিলাসবহুল জীবনযাপনের সুযোগ, অন্যদিকে প্রকৃতিকে উপভোগ, সফরের পরিপূর্ণ আনন্দলাভ। এখানে আছে ১৫৫টি রুম, আছে প্রায় ৭০ হাজার স্কোয়ার ফুটের ব্যাঙ্কোয়েট হল। যেখানে দেশ-বিদেশের যে কোনও বড়ো কনফারেন্সের আয়োজন করা যেতে পারে। গঙ্গার পাড়েই বিশাল লনও আছে। খাবারেরও (পদ) এলাহি আয়োজন রয়েছে। বাঙালি খাবার তো বটেই, অন্যান্য রাজ্যের কিংবা দেশের সেরা খাবারও পাওয়া যায় এই রিসর্ট-এ। আর অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের সঙ্গে হাত মেলানোর বিষয়ে ইন্ডিয়ান হোটেলস কোম্পানি লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার পুনীত ছতওয়ল জানিয়েছেন, ‘এই রিসর্ট চালু করার কারণে, দুই সংস্থার সম্পর্ক আরও মজবুত হল।’ রায়চকের এই রিসর্ট নিয়ে চুক্তির পর, ‘অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপ’-এর চেয়ারম্যান হর্ষবর্ধন নেওটিয়া জানিয়েছেন, ‘আইকনিক তাজ ব্র্যান্ডের সঙ্গে হাত মেলানোর ফলে এই এলাকার পর্যটনের উপরও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
এখানে ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটেছে। গ্রাম্য আবহ যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনই বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে এখানে। গঙ্গার মনোরম দৃশ্য সফরকে করে তুলবে সার্থক। এছাড়া, অতিথিরা কিউরেট করা খাবার উপভোগ করতে পারবেন এই রিসর্টের সিগনেচার রেস্তোরাঁ মাচান আর হাউজ অফ মিং-এ। এই দুই রেস্তোরাঁর অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করেছে গঙ্গার জলের মৃদু ছন্দ। রিভার ভিউ লাউঞ্জ আর বারান্দা বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আদর্শ। খোলামেলা পরিবেশ, ইনফিনিটি-এজ পুল, আউটডোর পুল আর অত্যাধুনিক ফিটনেস সেন্টার-এ তাজা হয়ে ওঠার এবং অবসর বিনোদনের সুবর্ণ সুযোগ দিয়েছে এই রিসর্ট। সঙ্গে আছে ইনডোর ও আউটডোর খেলাধুলোর সুযোগ। এই রিসর্টে তাজের সিগনেচার স্পা – জে ওয়েলনেস সার্কল-ও আছে, যা সামগ্রিক সুস্থতার অভিজ্ঞতা দেবে। বিশাল ব্যাংকোয়েটিংয়টি উৎসব উদযাপন, ডেস্টিনেশন ওয়েডিং এবং কর্পোরেট রিট্রিট হিসাবেও আদর্শ।
গঙ্গার ধারে এই লোকেশন-এ আছে দুর্গের মতো সব স্থাপত্য আর নদীতীতের সৌন্দর্য। অতিথিরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন, গ্রামে ঘুরে বেড়াতে পারেন আর বাংলার বিখ্যাত চায়ের ব্লেন্ডগুলো উপভোগ করতে পারেন এমন এক পরিবেশে, যা এই অঞ্চলের চিরকালীন মেজাজের উদযাপন।