স্নিগ্ধ কোমল ভোরের আলোয় হোটেলের পিছনের ফাঁকা জায়গাটায় গিয়ে উপস্থিত হলাম। ধীরে ধীরে আর একটা নতুন দিন শুরু হচ্ছে। পাখির ডাকে মুখরিত চারপাশ। বিদায়ি শীতের রেশ ছেড়ে প্রকৃতি এখন ঋতুরাজের আবাহনে মত্ত। বসন্ত প্রেমের ঋতু, কারও কারও কাছে বিরহের ঋতু, আবির রং-এ রঙিন হওয়া দোল উৎসবের ঋতু। শহরে বসন্তের আগমন প্রত্যাগমন বড়োই ম্রিয়মান। কিন্তু শহর থেকে বহু দূরে এহেন গ্রাম্য পরিবেশে প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ-বর্ণের নির্যাস রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুভব করা যায়।

ফাঁকা জায়গাটির তিন দিকে শাল, শিশু, বাবলা প্রভৃতি গাছের সমাহার আর তার মাঝে মাঝে রামধনু থেকে চুরি করা গাঢ় কমলা রঙের ফুলে মোড়া পলাশ গাছ। এর আগে বসন্তের এই কিংশুকের আবেশে মুগ্ধ হওয়ার সৗভাগ্য আমার হয়নি। গাছগুলি প্রায় পাতা বিহীন, ফুলের ভারে যেন নুইয়ে পড়ছে। হাতের নাগাল থেকে উঁচু ডাল পর্যন্ত গাছগুলি ফুলের আতিশয্যে দিশাহারা। মনে হল পুব আকাশের রক্তিম আভা মর্তে নেমে এসেছে। শিশির ভেজা ঘাসের ওপর পলাশের সেজ বিছানো। গাঢ় সবুজ রঙের মাঝে যেন আগুনের ফুলকারি নকশা। অঞ্জলি ভরে তুলে নিলাম পলাশ ফুল।

কোনও একটা ম্যাগাজিনের পাতা ওলটাতে ওলটাতে হঠাৎ চোখে পড়েছিল নামটা। পুরুলিয়া জেলার আসানসোলের কাছে, প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি ছোট্ট আদিবাসী গ্রাম বড়ন্তি। কলকাতা থেকে বড়ন্তির দূরত্ব ২৩৬ কিলোমিটার। পাঞ্চেত পাহাড় এবং বিহারীনাথ পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত সাঁতুড়ি ব্লক। ছোটো ছোটো পাহাড়, টিলা, নদী, জঙ্গল এবং তার সাথে আদিম গ্রাম্য পরিবেশ মন ছুঁয়ে যায়।

বড়ন্তি পাহাড়ের কোল ঘেঁসে বড়ন্তি গ্রাম। সামনে মুরাডি পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে চলা বড়ন্তি নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে তৈরি রামচন্দ্রপুর জলধারা প্রকল্প। লেকটির পোশাকি নাম রামচন্দ্রপুর জলধারা। গ্রামে ঢোকার মাটির রাস্তাটি লেকের পাশ দিয়ে এঁকেবেঁকে পাহাড়ে গিয়ে মিশেছে। গ্রামে ঢোকার পথে চোখে পড়ে শাল, সেগুন, শিশু, বাবলা, নিম, শ্যাওড়া, আকাশমণি এবং অবশ্যই পলাশ গাছ।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...