রিয়াল এস্টেটের মূল্যের ক্রমবর্ধমানতায়, এখন বড়ো ফ্ল্যাট মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরের জিনিস। তাই সাধ্যের মধ্যে সাধপূরণের ঠেলায় অনেকেই যেমন তেমন করে ঘরটা সাজিয়ে ফেলেন। তবে এটা ভুললে চলবে না, ইন্টিরিয়ারের ট্রেন্ড-ও সময়-সময়ে বদলাতে থাকে। আর বাড়তে থাকে ঘর সাজানোর জিনিসের দাম। তাই প্রথম থেকেই ঠিক করে নিন, কী ধরনের ইন্টিরিয়র করতে আপনি ইচ্ছুক এবং সেই অনুযায়ী সাজানো শুরু হোক।
আগে নিজের ফ্ল্যাটের মাপ অনুযায়ী স্পেস প্ল্যানিং করে নিন। আসবাব তৈরি করানোর সময় এমন আসবাবই বাছুন, যাতে একটাতেই একাধিক পার্পাস সার্ভ হয়। অর্থাৎ বসার জায়গাটা টেনে খুললেই হয়ে যাবে শোওয়ার কাউচ। দেয়ালের সঙ্গে আটকানো ফোল্ডিং টেবিল খুলে দিলেই সেটা পড়ার বা খাবার জায়গা হিসাবে কাজ দেবে। ফ্ল্যাট ছোটো হলে বাচ্চাদের জন্য বাংক বেডও কিনতে পারেন, জায়গা বাঁচবে।
বাজেট ডেকর টিপ্স
- ডাইনিং টেবিলটাকে সুন্দর লুক দিতে একটা নতুন কভার কিনুন। বেশি দামি না হলেও চলবে। কটন, সিল্ক বা প্লাস্টিক যেটাই কিনুন, স্মার্ট চেক্স বা ফ্লোরাল প্রিন্ট কিনুন। এছাড়া খাবার টেবলে দুটো ফুলের পটও রাখুন, লুক বদলে যাবে।
- ডাইনিং টেবিলের সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট অনুযায়ী, ডাইনিং ম্যাটও পেতে রাখুন। টেবিল ম্যাটের ঠিক মাঝখানের জায়গাটায় ন্যাপকিন হোল্ডার রাখুন, যাতে মাঝেমাঝেই ন্যাপকিনের রং বদলে রাখা যেতে পারে।
- ঘরের লুক বদলাতে ইন্ডোর প্ল্যান্টস ও আর্টিফিসিয়াল প্ল্যান্টস্-এর জুড়ি নেই। সঙ্গে রাখুন নানা রকমের মোমবাতি ও ল্যাম্প।
- ছোটো পট-এ গোল্ড ফিশ বা ব্যাম্বু বনশাই রাখতে পারেন। দেয়ালে বৈচিত্র্য আনতে ওয়ালপেপার লাগানো যেতে পারে৷
টুকিটাকি সাজসম্ভার
ঘরে ফুলদানি রাখার সময় খেয়াল রাখবেন, একই ঘরে যেন একটার বেশি ভাস না রাখা হয়। এতে ঘর ক্লামজি দেখাতে পারে। যদি একান্তই একাধিক ভাস রাখতে চান, তাহলে তার আকারে এবং উচ্চতায় যেন তারতম্য থাকে। ঘরের দুটি ভিন্ন পজিশনে ভাস রাখুন, একই সমতলে না রেখে।
প্রত্যেকটা ঘরে আলাদা লুক দেওয়ার জন্য কোলাজ বা ফোটো ফ্রেম ভালো অপশন হতে পারে। নিজেদের উল্লেখযোগ্য মুহুর্তের ছবি লাগাতে পারেন অথবা থিম বেসড পোস্টারও লাগাতে পারেন।
ড্রয়িং রুম বড়ো হলে ঘরের দুটি কোণ বরাবর সুন্দর স্ট্যান্ডিং ল্যাম্প রাখুন। উপর থেকে একটা হ্যাংগিং ল্যাম্পও ঝুলিয়ে দিন। এগুলি বাঁশ বা কাঠের তৈরি হলেও সুন্দর দেখাবে।
দেয়ালে পেপারম্যাশে বা মাটির শো-পিস ঝোলাতে পারেন। জুটের ম্যাগাজিন হোল্ডার, রট আয়রনের সিডি রাখার তাক-ও কিন্তু রুচিশীল লুক দিতে পারে৷
ছোটো ছোটো মোড়া, ফ্লোরে গদি পেতে কালারফুল কুশন রেখেও ঘর সাজাতে পারেন।
ঘরে অল্প জায়গা থাকলে একটা দেয়াল ঘেঁষে অ্যাকুয়ারিয়াম রাখুন।
মার্বেল ফ্লোরিং যদি খরচ সাপেক্ষ মনে হয়, তাহলে টাইল্সই বসান। টাইল্স-এর সুবিধা হল যে, এটির দামও যেমন কম, তেমনি পরিষ্কার করাতেও বেশি পরিশ্রম লাগে না। কোনও টাইল ভেঙে গেলে সেটা বদলে ফেলাও সহজ।
সাধারণ সিমেন্টের মেঝে হলে, তার ওপর জুটের দরি বিছিয়ে দিন। একঘেয়েমি কাটবে।
দেয়ালে বাঁশের মুখোশও টাঙাতে পারেন। বারান্দায় রাখুন হ্যাঙ্গিং প্ল্যান্ট্স।
ঘরের ভেতরে জায়গার সদ্ব্যবহার করতে উঁচু ফার্নিচার না রেখে ফ্লোর অ্যারেঞ্জমেন্ট করে ঘর সাজান। মেঝেতে গদি পেতে দিন ও কুশন রাখুন।