ওভারঅল ফেসের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে এবং গ্লোয়িং এফেক্ট দিতে লিপস্টিকের একটা বড়ো ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে যদি লিপস্টিকটা ঠোঁট এবং কমপ্লেকশনের কথা ভেবে লাগানো হয়ে থাকে এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল লিপস্টিক যদি ট্রেন্ডি হয়, তাহলে তো কথাই নেই। আসুন জানা যাক লিপস্টিকের আপকামিং ফ্যাশন ট্রেন্ড কী–

স্পার্কলি লিপ্সঃ  বর্ষার এই মরশুমে, ঠোঁটে ঝলমলে শাইন আপনার মুড-কে তরতাজা করে তুলবে সন্দেহ নেই। স্পার্কলি লিপ্স-এর ট্রেন্ড এই মরশুমে একদম হিট হবে। এই টেকনিকে ঠোঁট ফোলা ফোলা (পাউটি) মনে হবে। বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় এই স্পার্কলি লুক আপনি ডার্ক শেড্স যেমন বারগেন্ডি, রুবি রেড, ব্লাড ওয়াইন রঙের সঙ্গে ক্যারি করতে পারবেন অথবা নিউড কালারস-এর সঙ্গেও এই ট্রেন্ডি লুক-কে আপনি হিট করে তুলতে পারবেন। শিন নিউড গ্লস অ্যাপ্লাই করলে ঠোঁটে ভেজা ভেজা লুক ক্রিয়েট হবে। এর ফলে আপনাকে আরও আকর্ষণীয় মনে হবে।

ওয়াইন লিপ্সঃ  ইন্ডিয়ান স্কিন টোনের জন্য ওয়াইন শেড খুব মানানসই। ওয়ার্ম শেড হওয়ার জন্য, সবধরনের স্কিনটোনের মেয়েদেরই এটি মানায়। শুধু ফরসাদের ক্ষেত্রেই নয়– কমপ্লেকশন ডাস্কি হলেও এই রং ভালো মানাবে এবং দেখতেও সুন্দর লাগবে। স্কিন ডার্ক হলে, ডার্ক প্লাম, ব্ল্যাকেবেরি ওয়াইন, ডিপ ওয়াইন শেড লাগানো উচিত। আর যদি কমপ্লেকশন ফেয়ার হয়, তাহলে পিওর ওয়াইন বা ওয়াইনের রেড বেরি শেডস খুব ভালো মানাবে। এছাড়াও ওয়াইন লিপ্স এখন ফ্যাশন ট্রেন্ড-এ রয়েছে সুতরাং এই বোল্ড ট্রেন্ড-কে ওয়েলকাম জানাতে সংকোচ করার কোনও প্রয়োজন নেই। ওয়াইন শেড একদিকে যেমন সফিস্টিকেটেড এবং রয়েল লুক এনে দেয় চেহারায়, তেমনি সৌন্দর্যকে সুপার বোল্ড এবং সেক্সি দেখাতে সাহায্য করে। উইংগড লাইনার বা ফেসে ব্রোঞ্জিং এর সঙ্গে যদি এই শেড ঠোঁটে লাগানো হয় তাহলে ওভারঅল লুক গর্জিয়াস হয়ে উঠবে।

ঠোঁটে ওয়াইন শেড অ্যাপ্লাই করার আর একটি প্রধান কারণ হল শেপ। ঠোঁট যদি পাতলা বা ছোটো হয় তাহলে লাইট শেডের ওয়াইন কালার লাগানো যেতে পারে। ঠোঁটে লিপ প্লাম্পার অ্যাপ্লাই করুন এবং ওয়াইন লিপ পেনসিল দিয়ে আউটলাইন করুন। লিপ পেনসিলের রঙের সঙ্গে ম্যাচ করে লিপস্টিক দিয়ে ঠোঁটের পুরোটা ভরে দিন। ফুলার লিপ্স-এ ম্যাট ডিপ ওয়াইন শেড অ্যাপ্লাই করুন এবং লিপ সিলার দিয়ে ফিক্স করে নিজেকে রাতের পার্টির জন্য তৈরি করতে পারেন।

অম্র্বেঃ  ফ্রেঞ্চ শব্দ অম্র্বে মেক-আপ এক নতুন স্টাইল স্টেটমেন্ট। চোখ এবং ঠোঁটের মেক-আপের জন্য এটি ব্যবহূত হচ্ছে। একটাই শেড অথবা ডিফারেন্ট শেড-কে লাইট থেকে ডার্ক স্টাইলে মার্জ করানোকেই অম্র্বে স্টাইল বলা হয়। ঠোঁটে এই ট্রেন্ড অ্যাপ্লাই করার জন্য বাইরের দিকে ডার্ক এবং ভিতরে লাইট শেড দিয়ে ভরে দেওয়া হয়। যেমন লাইট পিংকযডার্ক পিংক, পিংক অরেঞ্জ, ওয়াইনযপিংক ইত্যাদি। অম্র্বে স্টাইলের উপর ট্রান্সপেরেন্ট লিপগ্লস-এর কোট লাগালে দেখতে সুন্দর এবং পাউটি লাগে।

অয়েল স্লিক লিপ ট্রেন্ডঃ  নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে এটি ঠোঁটে অয়েলের কোট দেওয়ার নতুন ট্রেন্ড। লিপ মেক-আপের এই লেটেস্ট ট্রেন্ড এখন ফ্যাশনে ভীষণ ভাবে ইন। এই ট্রেন্ড অনুযায়ী, গ্লসি টেক্সচারে সেজে ওঠা ঠোঁট দেখে ভুল হতেই পারে যে ঠোঁটের উপর তেলের পরত লাগানো হয়েছে। এই লুকের জন্য পার্পল, ব্লু অথবা গ্রে রঙের মেটালিক শেড-গুলিকে একে অপরের সঙ্গে মার্জ করাতে হবে। অয়েলি টেক্সচার বা এফেক্টের জন্য ঠোঁটের উপর ট্রান্সপেরেন্ট গ্লসের পরত লাগাতে হবে।                                                                      ঠোঁটে লিপস্টিক লাগাবার সময় জানা থাকলে ভালো হয় যে, কখন কী শেড-এর লিপস্টিক লাগানো উচিতঃ

  • যদি চোখের মেক-আপ হেভি হয় তাহলে লাইট শেডের লিপস্টিক লাগান।
  • লিপস্টিক লাগাবার আগে লিপ লাইনার ব্যবহার করা উচিত। লাইট কালারের লিপস্টিকের সঙ্গে নিউড লাইনার ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।
  •  লিপস্টিক যাতে দাঁতে না লাগে তার জন্য লিপস্টিক লাগাবার পরে নিজের ইনডেক্স ফিংগার মুখের মধ্যে দিয়ে দুটি ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরুন এবং আঙুল বাইরের দিকে টানুন। এর ফলে অতিরিক্ত লিপস্টিক পরিষ্কার হয়ে যাবে।
  • যদি দাঁতে হলুদ ভাব থাকে তাহলে এমন লিপস্টিক লাগানো উচিত যার আন্ডারটোন, নীল রঙের আভাস দেবে।
  • যদি ঠোঁট খুব পাতলা হয় তাহলে ম্যাট বা গ্লস লিপস্টিক না বেছে, ক্রিমি লিপস্টিকের ডার্ক শেড বাছা উচিত।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...