ঘরের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে ঘরের মেঝের ওপর। তাই, ঘরের দেয়াল, সিলিং এবং অন্যান্য সাজসজ্জার পাশাপাশি, ঘরের মেঝের সৌন্দর্যকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় আজকাল। অবশ্য শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যই নয়, মেঝের পরিচ্ছন্নতা এবং টেকসই হওয়ার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে বিবেচিত হয় এখন।

একটা সময় ছিল যখন ঘরের সাধারণ মেঝেকে অসাধারণ রূপ দেওয়ার জন্য মেঝের উপর ব্যবহার করা হতো কার্পেট। আর এই কার্পেটে যেহেতু ধুলো জমে, তাই নিয়মিত কার্পেট পরিষ্কার রাখতে হয়। কিন্তু আজকের ব্যস্ত জীবনে এত সময় এবং ধৈর্য নিয়ে কার্পেট পরিষ্কার করার বিষয়টি প্রায় অসম্ভব। তাই, ইন্টিরিয়র ডেকরেটর-রা বিকল্প উপায় বের করেছেন। আর এই বিকল্প পদ্ধতিটি হল ‘টাইল্স ফ্লোরিং’।

উডেন, ল্যামিনেটেড, কার্পেট টাইল্স-এর পাশাপাশি, এক ধরনের পাতলা, সুন্দর অথচ মজবুত ফ্লোর টাইল্স এখন বাজারে এসে গেছে। আর এই ‘টাইল্স ফ্লোরিং’-এ সৌন্দর্য এবং মজবুত হওয়ার পাশাপাশি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতেও সুবিধে হয়।

টাইল্স ফ্লোরিং-এর সুবিধা

  • সিমেন্ট এবং মার্বেলের মেঝে খুব কম সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। সিমেন্টের মেঝেতে ফাটল ধরে, মার্বেলের মেঝেতে দাগ প্রকট হয় কিছুদিনের মধ্যে। কিন্তু, টাইল্স ফ্লোরিং-এ এরকম কোনও সমস্যা তৈরি হয় না।
  • সেরামিক এবং পোর্সিলেন এই দু’রকম টাইল্স-এর যে-কোনও একটি বেছে নিয়ে সঠিক ভাবে মেঝেতে বসালে এবং নিয়মিত যত্ন নিলে, দীর্ঘ সময় এই মেঝে অক্ষত থাকবে এবং সৌন্দর্যও বজায় থাকবে।
  • টাইল্স ফ্লোর খুব কম সময়ের মধ্যে ভালো ভাবে পরিষ্কার করা যায়।
  • জল দিয়ে মুছলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
  • এই টাইল্স এমন কিছু উপাদানে তৈরি, যা তাপ বিকিরণ করে। তাই মেঝে গরম হয় না, দিনরাত সবসময় ঠান্ডা থাকে।
  • এই মসৃণ টাইল্স-এ রোগজীবাণু কম বাসা বাঁধে, তাই অনেকটাই জীবাণুমুক্ত থাকে অমসৃণ সিমেন্টের মেঝের তুলনায়।
  •  টাইল্স ফ্লোর-এ দাগ হওয়ার মতো যাই পড়ুক না কেন, খুব সহজেই ওই দাগ তুলে ফেলা যায়। বিশেষকরে বাড়িতে বাচ্চারা থাকলে পেন, পেন্সিল কিংবা তেল-রং দিয়ে ফ্লোর-এ আঁকিবুঁকি কাটলেও তাই কোনও চিন্তার কারণ নেই।
  • টাইল্স ফোরিং-এর কোনও ক্ষয়ক্ষতি নেই। ফাটেও না, কোনও অংশের পরত উঠে সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় না।
  • উডেন কিংবা মার্বেল ফ্লোরিং-এর তুলনায় টাইল্স ফ্লোরিং-এর খরচও কম।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...