সময়ে সঙ্গে-সঙ্গে সবকিছুই বদলে যাচ্ছে। যে-রোগ ৪০ বছরের পর হতো, সেটা ২০ বছর বয়সেই হচ্ছে। বাচ্চারাও অল্প বয়স থেকে বিভিন্ন অসুখে ভুগছে। ডাক্তাররা বলছেন যে, কিডনির সমস্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। সঠিক পরিমাণমতো জল না খাওয়ার কারণে লোকেদের কিডনিতে স্টোন হচ্ছে। ব্লাড প্রেসার এবং সুগার বাড়ার কারণে বাড়ছে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ।

ফোর্টিস হসপিটালের কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. উপল সেনগুপ্ত জানালেন, কিডনির অসুখ যদি দীর্ঘদিন ধরে শরীরে থাকে, তবে একে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বলা হয়। এই রোগ এড়াতে তিনি কিছু গাইডলাইন দিলেন

  • ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (সিকেডি)-এর পেছনের প্রধান কারণগুলি হল হাই ব্লাড প্রেশার এবং হাই ব্লাড সুগার লেভেল। সুতরাং, সিকেডি এড়ানোর জন্যে এই মাত্রাগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
  • অনেক ওষুধ রয়েছে যা কিডনির জন্যে ক্ষতিকারক, সেগুলোকে কম খাওয়া উচিত। যেমন, পেইনকিলার এবং অ্যান্টাসিড
  • গরমকালেই শুধু নয়, সারা বছরেই সঠিক পরিমাণে জল পান করা দরকার
  • ৪০ বছর বয়সের পরে নিয়মিত কিডনি চেক-আপ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষত যদি কেউ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন এবং পরিবারে সিকেডির ইতিহাস থাকে
  • কিছু মহিলাদের নির্দিষ্ট রোগ যেমন এসএলই, গর্ভাবস্থা সম্পর্কিত কিডনি রোগ রয়েছে, যার ফলে সিকেডি হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা এড়াতে নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ফোর্টিস হসপিটালের কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. পার্থ কর্মকার বললেন, কিডনি সুস্থ রাখার সবথেকে সহজ উপায় হল, সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া। পরিমিত জল না খেলে, কিডনিতে স্টোন, পলিসিস্টিক কিডনি রোগ এবং ইউরিনারি ইনফেকশন হতে পারে। তিনি কয়েকটি তথ্য তুলে ধরে বললেন

  • জল-ই হল জীবন। কিডনি সুস্থ রাখতে ডিহাইড্রেশন এড়ান
  • জল খাওয়ার পরিমাণ এক একজনের এক এক রকম। তেষ্টা বুঝে জল পান করতে হবে
  • অতিরিক্ত জল খেলে, সোডিয়াম-এর মাত্রা কমে যেতে পারে। সেটাও শরীরের জন্যে ক্ষতিকারক।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...