রোদের তাপে শুকিয়ে যাওয়া ত্বক আর খড় একই রকমের জৌলুসহীন। সেই সঙ্গে আছে সানবার্নের সমস্যা। রোদে ঝলসানো ত্বক লাবণ্যহীন হয়ে ওঠে। ত্বক তার  স্বাভাবিক আর্দ্রভাব হারায়। এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি করে ত্বকের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া উচিত। দিনের মধ্যে কিছুটা সময় নিজেকে দিন। সৌন্দর্যচর্চা করুন। বাড়িতে কিংবা পার্লারে। মনে রাখবেন এখন এ ব্যাপারে উদাসীন হলে, কয়েক বছর পর আক্ষেপ করতে হবে। তখন কিছুতেই আর ত্বকের হারানো সৌন্দর্য ফেরত পাওয়া যাবে না।

এবার প্রশ্ন হল গ্রীষ্মের হারানো লাবণ্য কী করে ফিরে পাবেন? এর জন্য বাজারে রয়েছে রেস্টিলেন ভাইটাল-এর মতো স্কিন বুস্টারস্। এটি অল্প সময়ের মধ্যে আপনার হারানো লাবণ্য ফিরিয়ে আনবে। এর প্রভাবও বেশ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত থাকে।

হাইড্রোফিলিক হ্যালুরনিক অ্যাসিড জেল এমনই এক উপাদান, যা ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতাকে ধরে রাখতে সক্ষম। এর সাহায্যে প্রায় এক বছর পর্যন্ত ত্বকের কোমলভাব বজায় থাকবে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে না। ত্বকের উপরে ইঞ্জেকশনের সাহায্যে রেস্টিলেন-ভাইটাল ত্বকে প্রবেশ করানোর পর, এটি ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বকের কোশগুলিকে পুষ্টি জোগায়। অ্যাসিড জেল-ও মাইক্রো-ইঞ্জেকশনের সাহায্যে ত্বকে প্রবেশ করানোর ফলে ত্বকের কোশগুলির আর্দ্রতা ধারণের ক্ষমতা বাড়ে। লাবণ্যময়ী হয়ে ওঠার এ এক আধুনিকতম পন্থা।

স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য

ক্লিনজিং-  এই ত্বকের জন্য খুব মাইল্ড কোনও ক্লিনজার ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে কাঁচা দুধে তুলো ডুবিয়ে তা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।

ময়েশ্চারাইজিং- সেন্সিটিভ স্কিনের জন্য উপযুক্ত অ্যাস্ট্রিনজেন্ট-যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় থাকবে।

সানস্ক্রিন-  বাড়ি থেকে বেরোনোর ২০ মিনিট আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন প্রয়োগ করুন। ব্যবহারের আগে দেখে নেবেন এই সানস্ক্রিনে পরিমাণমতো জিংক অক্সাউড ও টাইটেনিয়াম-ডাই-অক্সাইড আছে কিনা এবং এর সানপ্রোটেকশন ফ্যাক্টর-টি যথেষ্ট জোরালো কিনা।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য

ক্লিনজিং-  ত্বকের বাড়তি তেল কমানোর জন্য সারাদিনে অন্তত ২-৩ বার ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

স্ক্রাবিং-  নাক ও গালের মৃত কোশ ও ব্ল্যাকহেড্স সরানোর সহজ রাস্তা হল স্ক্রাবিং। ভালো মানের ফ্রুট স্ক্রাব বা ওট্স স্ক্রাব ব্যবহার করুন।

ফেস মাস্ক-  ফেস মাস্ক সহজেই ত্বকের বাড়তি তেল শুষে নেয়। তাই বাজার চলতি ফেস মাস্ক ব্যবহার করা ছাড়াও নিজেই ঘরোয়া ফেস মাস্ক বানিয়ে নিন।

ঘরোয়া ফেস প্যাকঃ  একটি বোল-এ অল্প জলে আপেলের পেস্ট মসৃণভাবে মেশান। এতে ১ চামচ লেবুর রস, ল্যাভেন্ডার বা পিপারমিন্টের শুকনো পাতা, ১ চামচ চন্দনগুঁড়ো দিন। এই মিশ্রণ ১৫-২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন তারপর ঈষদুষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে নিন।

ঘরোয়া উপায়

জলের ঝাপটাঃ  ত্বকের তৈলাক্ত ভাব বজায় রাখার জন্য বেশ কিছুক্ষণ মুখে জল স্প্রে করা বা জলের ঝাপটা দেওয়া খুব প্রয়োজন। স্নানের আগে সমস্ত শরীরে বাদাম তেল মালিশ করুন, এতে শুষ্ক ত্বক কোমল হবে।

গ্লিসারিন- ঘুমোতে যাওয়ার আগে গ্লিসারিনের সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে গোটা শরীরে লাগান। এতে ত্বকের কমনীয় ভাব বজায় থাকবে।

হনি মাসাজ-  হাত-পা ও মুখে মধুর পরত লাগিয়ে ৩-৪ মিনিট মাসাজ করুন। তারপর ধুয়ে নিন। ত্বককে জরুরি তৈলাক্ত উপাদানে সমৃদ্ধ করার জন্য এই প্রক্রিয়া নিয়মিত করা উচিত।

জাউ ও শসার ফেস মাস্ক-  ৩ চামচ জাউ ও ১ চামচ শসার রস ও ১ চামচ দই একসঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে লাগান। শুকিয়ে গেছে বুঝলে জলের ঝাপটায় ধুয়ে ফেলুন।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...