জীবনের আর এক অপরিহার্য রং যৌনতা । আপনার যৌনজীবন Sex life যদি সুখের না হয় তাহলে জীবনের বাকি সব আনন্দ কেমন যেন ফিকে হয়ে যায়। কেউ কেউ একঘেয়েমিতে আক্রান্ত আবার অনেকে ব্যস্ততার ও ক্লান্তির জেরে যৌনতাবিমুখ। বাড়িতে বসে খাবার খাওয়ার সময় নেই, লাইফ-পার্টনারকে নিয়ে বেড়ানোর সময় নেই, শরীরের যত্ন নেওয়ার সময় নেই, এমনকী সেক্স-এর প্রাথমিক পর্বে ফোরপ্লের-ও সময় নেই। অর্থাৎ, ‘নেই’-এর তালিকাটা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে ক্রমশ। ‘আছে’-র তালিকায় রয়েছে শুধু একঘেয়ে জীবন, মানসিক অবসাদ এবং খিটখিটে মেজাজ। ফলে কমছে যৌন-ইচ্ছা, পুরুষের শুক্রাণু এবং নারীর ডিম্বাণু। বাড়ছে বন্ধ্যাত্ব।

সাম্প্রতিক সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার প্রভৃতি বৈদ্যুতিন যন্ত্রের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বাড়ছে ক্লান্তি, অবসাদ এবং কমছে সেক্স। ব্যাহত হচ্ছে পুরষদের শুক্রাণু এবং মহিলাদের ডিম্বাণু উৎপাদনের ক্ষমতাও। আজকাল বন্ধ্যাত্বের সমস্যা প্রকট রূপ নিয়েছে। কিন্তু এটা তো কোনও সার্থক বেঁচে থাকা নয়! দীর্ঘদিন ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য জীবনকে করে তুলতে হবে বর্ণময়। কারণ আগেই বলেছি, জীবনের সাত রং-এর একটি অবশ্যই যৌনসুখ।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এই যে, অধিকাংশ নারী-পুরুষ এখনও সেক্সকে শুধু সন্তান উৎপাদনের মাধ্যম মনে করেন। আধুনিক নারী-পুরুষেদের একাংশের যৌন-ইচ্ছা থাকলেও, নানা কারণে যৌনসুখ থেকে বঞ্চিত হন। অতিরক্ত ধূমপান, মদ্যপান, ভেজাল খাবার কিংবা দীর্ঘ রোগভোগও কমিয়ে দেয় যৌনেচ্ছা। আবার দীর্ঘদিন একটানা গর্ভনিরোধক ওষুধ সেবন করলেও সেক্স-এ অনীহা আসতে পারে। তাই প্রথমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে যৌন সমস্যার সমাধানের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা করান।

এটা আপনার যৌন-জীবনের প্রস্তুতি পর্ব। বাকিটা নিজের হাতে। কারণ, Sex ঠিক ছাইচাপা আগুনের মতো। একটু উসকে দিলেই উত্তাপ তীব্র হয়। আর এই উসকে দেওয়ার কাজটা করবে আপনার মন। অর্থাৎ, যৌনসুখ লাভের ইচ্ছেকে জাগিয়ে রাখতে হবে। অবশ্য সঠিক যৌনসুখ পাওয়ার জন্য উপযুক্ত যৌনশিক্ষা নেওয়ারও প্রয়োজন আছে। এ প্রসঙ্গে হয়তো অনেকে ভাববেন, যৌনতার আবার শিক্ষা কী? এ তো প্রাকৃতিক ব্যাপার। ঠিকই। কিন্তু মনে রাখবেন, স্বাভাবিক যৌনতৃপ্তির জন্য দুজনের কমপ্যাটিবিলিটি প্রয়োজন। এটাই টেকনিক্যাল পার্ট। আরও সহজ করে বলা হয় ‘কৌশল’। তাই, কৌশল রপ্ত করতে হবে। কিন্তু কীভাবে? এজন্য রইল পাঁচটি ভাইটাল গাইডলাইন।

পরামর্শ- ১

লভ মেকিং-এর সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাতে খাওয়ার পর সঙ্গে-সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হবেন না। প্রথমে ঘুমিয়ে নিন। এতে শরীর বিশ্রাম পাবে। সারারাত বিশ্রামের পর, ভোররাতই হল সঙ্গমের উপযুক্ত সময়। ওই সময় উত্তেজনা আয়ত্তে থাকে এবং দীর্ঘক্ষণ স্টে করা যায়।

পরামর্শ- ২

সেক্স মানে উত্তেজনা। তাই শরীরে উত্তেজনা যেমন তৈরি করতে হবে, ঠিক তেমনই উত্তেজনাকে আয়ত্তে রাখতে হবে দীর্ঘ সময় ধরে সঙ্গমের জন্য। তাই প্রথমে মনকে তৈরি করুন। একে অন্যকে ধীরে-ধীরে বিবস্ত্র করুন। বেডরুম-এ বড়ো আয়নার সামনে দাঁড়ান। আলিঙ্গন এবং চুম্বনে ভরিয়ে দিন পরস্পরকে। ফোরপ্লে দীর্ঘতর করুন। যৌনতার প্রাথমিকপর্বে ওরাল সেক্স এনজয় করুন। এরপর পুরুষসঙ্গী শায়িত অবস্থায় থেকে নারীকে লিড করতে দিলে সেক্স দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং দারুণ তৃপ্তি পাওয়া যাবে।

পরামর্শ-৩

অনেক পুরুষের তাড়াতাড়ি ডিসচার্জ হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে। সেক্ষেত্রে সেক্স-এর অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে হস্তমৈথুন করে নিন। এতে সমস্যা মিটবে। অর্থাৎ, দ্বিতীয়বার সেক্স-এ স্থায়ীত্ব বাড়বে।

পরামর্শ-৪

যৌনক্রিয়াও করুন থেমে-থেমে। অর্থাৎ, স্খলনের ঠিক আগে কয়েক সেকেন্ড-এর বিরতি। এভাবে তিন-চারটে বিরতির পর যখন স্ত্রী চূড়ান্ত উত্তেজিত হয়ে উঠবে, ঠিক তখনই স্খলন করুন।

পরামর্শ-৫

সেক্স-এ Sex স্থায়ীত্বের জন্য সাধারণ ব্যায়াম ছাড়াও রয়েছে এক বিশেষ ব্যায়াম। মলত্যাগের সময় যেভাবে মলদ্বার সংকোচন-প্রসারণ করা হয়, পদ্মাসন, বজ্রাসন, শবাসন অথবা সোজা হয়ে  বসে প্রক্রিয়াটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট সংখ্যকবার করতে হবে। যোগাসনের ভাষায় একে বলা হয় অশ্বিনিমুদ্রা। নিয়মিত ভাবে অভ্যেসের মাধ্যমে সময় প্রলম্বিত করলে যৌনক্ষমতা বাড়ে। তবে কেবলমাত্র একজন যোগ শিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে তবেই এই মুদ্রা করা উচিত।

——-

 

 

 

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...