সমাজে তাঁরা মোটেই অবাঞ্ছিত নন বরং আজ সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে জীবনের নানা ক্ষেত্রে সফল দৃষ্টিহীনরা৷ বহু সাধারণ মানুষ আজ তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে শুধু মানসিক সমর্থনই দিচ্ছেন না, বরং দৃষ্টিহীনদের জীবনের অন্তরায় দূর করতে রীতিমতো সক্রিয় ভূমিকাও নিচ্ছেন৷

দৃষ্টিহীনদের অন্য দিশা দেখাতে ফের এগিয়ে এল দিশা আই হসপিটাল। চলতি বছরে চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করল দিশা সম্মান ২০২১। সমাজের নানান প্রান্তে যেখানে দৃষ্টিহীনরা জীবনের সমস্ত প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হচ্ছেন, তাঁদের দিশা সম্মানে ভূষিত করা হল এই অনুষ্ঠানে।

শুধু কোনও ব্যক্তিই নয়, যে সব মানুষজন দৃষ্টিহীনদের কথা ভেবে নানান সংগঠনের দ্বারা দৃষ্টিহীনদের সহায়তা করছেন, তাঁদেরকেও সম্মানিত করা হয়েছে৷ এবারের সম্মান জ্ঞাপনের তালিকায় ছিলেন কেম্পাহোন্নাইয়া- যিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং বাংলায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রথম আইএএস৷এছাড়া সম্মানিত হলেন তারক চন্দ্র৷ ব্লাইন্ডস্কুলের এই শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে দৃষ্টিহীনদের শ্রুতি-পুস্তক তৈরির কাজে নিয়োজিত৷কৃষ্ঞনগরের হেলেন কেলার স্মৃতি বিদ্যামন্দির বহুদিন যাবৎ দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের জন্য কাজ করে চলেছে৷দিশা সম্মানে ভূষিত হল এই প্রতিষ্ঠানও৷ প্রতিষ্ঠানের তরফে পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রধানশিক্ষক স্বপন সরকার ও দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থী সুস্মিতা খাতুন৷ হিডকো-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস সেন, শিল্পী শুভাপ্রসন্ন এবং কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনাল কমিশনার তন্ময় রায় পুরস্কার প্রদান করেন প্রাপকদের ৷সম্মানিতদের হাতে স্মারক এবং ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয় এই অনুষ্ঠানে।

দিশা আই হসপিটাল পূর্ব ভারতের একটি সুপ্রসিদ্ধ চক্ষুচিকিৎসা কেন্দ্র৷ দিশা এই সম্মান প্রদানের মধ্যে দিয়ে, এক দৃষ্টান্তমূলক প্রয়াস গত চার বছর ধরে করে আসছে- যাতে সমাজের অন্তরালে থাকা এই দৃষ্টিহীন মানুষগুলোর কথা ও তাদের অবদানের কথা সকলে জানতে পারে৷ সম্পূর্ণ বা আংশিক দৃষ্টিহীনতার অভিশাপকে জয় করে সমাজের সামনে উদাহরণ তৈরি করা ব্যক্তি এবং সংগঠনগুলিকে সম্মান জানানোই শুধু লক্ষ্য নয়, এ এক সচেতনতার প্রসারও। এই পুরস্কারে সম্মানিতরা বর্তমান এবং আগামীদিনের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে বলেই বিশ্বস করেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড: দেবাশিস ভট্টাচার্য।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...