আমাদের অনেকেরই বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর শখ আছে। অনেকেরই শখ আছে বরফের ঘরে রাত কাটানোর বা আরামদায়ক বিছানায় শুয়ে আকাশের তারা খসা বা তুষারপাত দেখা। এরকম ইচ্ছে থাকলে আপনাদের সে ইচ্ছেও পূরণ হয়ে যাবে। কারণ আমাদের এই পৃথিবীতে এমন কিছু হোটেল আছে যা আপনার মনের ইচ্ছে পূরণ করতে পারবে। সেরকম কয়েকটি হোটেলের সন্ধান রইল এই লেখায়। আজ দ্বিতীয় পর্ব।
ম্যাজিক মাউন্টেন লজ : চিলির ম্যাজিক মাউন্টেন লজ গভীর জঙ্গলের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই হোটেলটিকে দেখে অনেকেরই মনে হবে রূপকথার একটি বাড়ি। আবার দূর থেকে দেখলে মনে হয় ছোটো একটি পাহাড়ি দুর্গ। অদ্ভুত ব্যাপার হল, হোটেলের মাথা থেকে নেমে আসছে ঝরনার স্রোত আর ভেতর থেকে মনে হবে যেন একটা বিশাল গাছের গুঁড়ি।
ম্যানড ক্লাউড হোটেল : ভাসমান হোটেলগুলোর কথা বলতে গেলে সবার আগেই বলতে হয় ম্যানড ক্লাউড হোটেলটির কথা। হোটেলটির নাম শুনলেই বোঝা যায় যে, মানুষকে মেঘের দেশে নিয়ে গিয়ে ভাসমান আনন্দ দেওয়ার জন্যই তৈরি করা হয়েছে এই হোটেলটি। ফ্রান্সের ম্যানড ক্লাউড বিশ্বের অন্যতম সেরা হোটেলগুলোর মধ্যে একটি। বৈচিত্র্যের দিক দিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে এটি। দেখলে মনে হবে, আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে কোনও নভোযান।
ব্ল্যাকহোলের মতো দেখতে হোটেলের বুকে বিশাল এক কালো গর্ত বসানো থাকবে, তাহলে দূর থেকে সেটা দেখতে অনেকটা ব্ল্যাক হোলের মতো মনে হবে। এমনই এক ভযংকর সৌন্দর্যের কল্পনা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ান স্থাপত্যবিদ এই নকশা এঁকেছেন ডেথস্টার হোটেলের জন্য।
রিজউড হোটেল অ্যান্ড স্যুট প্রাইভেট লিমিটেড : সম্প্রতি মালদ্বীপে এরকম আর একটি হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। এ বিষয়ে পোলিশ আর্কিটেকচারাল এবং ডিপ্লসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ডিপ ওশিয়ান টেকনোলজি সম্প্রতি চুক্তি করেছে রিজউড হোটেল অ্যান্ড স্যুট প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে। জলের নীচে অনেক হোটেল নির্মাণ করা হলেও, মালদ্বীপে নির্মিত এই হোটেলটি হবে সবচেয়ে বড়ো আন্ডারওয়াটার হোটেল বা জলের তলদেশে হোটেল।
হোটেলটির আকৃতি হবে স্পেসশিপের মতো। অনেকটা ফ্লাইং সসার বা ইউএফও আকৃতির। সায়েন্স ফিকশন মুভিগুলোতে আমরা যেমনটি দেখতে পাই। চাকতি আকৃতির এই হোটেলের ডিজাইন দেখলে সত্যই অবাক হতে হয়। উপরের ভাগে রেস্টুরেন্ট, স্পা করার ব্যবস্থা, হেলিকপ্টার ল্যান্ডিং প্যাড, বাগান রাখা হয়েছে। অতিথিরা উপর থেকে ভৌগোলিক আবহাওয়ার স্বাদ নিতে পারবেন আবার একই সঙ্গে জলের তলদেশের বিচিত্র অভিজ্ঞতাও উপভোগ করতে পারবেন।