খেলাধুলো করলেও পিঠের ব্যথার সমস্যায় গত দুবছর থেকে খুব কষ্ট পাচ্ছি। ওষুধ না খেয়ে যদি ব্যথার উপশম করানো যায় তাহলে আমি খুবই উপকৃত হব।

 আমি ২২ বছর বয়সি যুবক। খেলাধুলা করি কিন্তু বিগত দুবছর ধরে পিঠের ব্যথার  সমস্যায় ভুগছি। ঘাড় থেকে ব্যথাটা নীচের দিকে নেমে পিঠের নীচ অবধি চলে আসে। অনেকক্ষণ বসে থাকলে বা দাঁড়িয়ে থাকলে, হাঁটলে পিঠে খুব ব্যথা করে। গরমে ব্যথাটা সহ্য করার মতো হয় কিন্তু ঠান্ডায় এটা অসহ্যকর হয়ে ওঠে। শুলেই একমাত্র আরাম পাই। আমি জানতে চাই ওষুধ না খেয়ে কী করে আমি এই ব্যথা থেকে আরাম পাব?

ঠান্ডায় হাড় এবং জয়েন্টের ব্যথা বেড়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। আপনার যা বয়স, তাতে এ ধরনের সমস্যা সাধারণত হয় না। কিন্তু অসংযমি লাইফ স্টাইলের কারণে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা এই সমস্যা ফেস করছেন। আপনি বলছেন, খেলাধুলা করেন তাহলে নিয়মিত ব্যায়ামও করেন নিশ্চয়। নিজের জীবনশৈলীতে পরিবর্তন আনুন, সময়ের কাজ সময়ে করুন। নাহলে ভবিষ্যতে আর বেশি করে সমস্যার সামনে পড়তে হতে পারে। ভালো খাওয়াদাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম, ওঠা-বসার সঠিক পশ্চার, ঠিক পশ্চারে বসে কাজ করা, প্রপার এক্সারসাইজ করলে এই সমস্যা থেকে অনেকটা আরাম অনুভব করবেন।

এ ছাড়াও ঠিকমতো খাওয়াদাওয়ার উপর নজর দিন। কিছ খাবার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছ, শস্যজাত খাবার, গ্রিন টি, বাদাম, আদা, চেরি জাতীয় ফল ইত্যদি পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে প্রসেসেড ফুড, ভাজাভুজি, মারজারিন, অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত খাবার ব্যথার পক্ষে খারাপ। এগুলি ওজন বাড়াবার সঙ্গে সঙ্গে হার্টেরও ক্ষতি করে। পিঠের ব্যথায় ভিটামিন ডি খুবই উপকার দেয়। খেলাধুলা করেন সুতরাং ব্যথার ওষুধের বদলে গরম সেঁক নিতে পারেন, উপকার হবে। অনেকক্ষণ বসে যখন কাজ করতে হবে তখন পায়ের নীচে একটা ছোট পিঁড়ি রাখলে ব্যথার কিছুটা উপশম হবে। পিঠের নীচের দিকে চাপ কমবে।

আপনার সমস্যা যদি খুব জটিল মনে হয় তাহলে ডাক্তার দেখিয়ে ট্রিটমেন্ট করানোই বাঞ্ছনীয়। আগে জানার চেষ্টা করুন যে, আপনার সার্ভাইকাল-এর কোনও সমস্যা আছে কিনা। এর জন্য প্রপার মেডিকটশন এবং ফিজিও থেরাপির পরামর্শ দেওয়া হবে আপনাকে। এছাড়াও রোদে অন্তত আধঘন্টা বসে রোদ সেঁকুন। মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খেলেও ব্যথার উপশম ঘটবে। তবে নিজে থেকে কোনও ওষুধ বা ব্যায়াম করতে যাবেন না যেন। ডাক্তার এবং ফিজিয়োর পরমর্শ মেনে চলুন আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...