আমাদের শরীর যাতে ঠিকমতো কাজ করে তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে Haemoglobin। এটির অভাবে শরীরে রক্তাল্পতা দেখা দেয়, লোহিত রক্তকণিকা কমে যাওয়ার ফলে শরীরের সর্বত্র অক্সিজেন-এর ফ্লো কম হয়ে যায়। শরীর-মনে এর গভীর প্রভাব পড়ে। মাথাঘোরা, ক্লান্তি, নিঃশ্বাসের সমস্যা, বুক ধড়ফরানি, ঘন ঘন ঠান্ডা লেগে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক রাখা খুব দরকার।

হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণ

  • শরীরে ভিটামিন আর মিনারালের অভাব হলে
  • ব্যালান্সড ফুড এবং পুষ্টিকর খাবারের অভাবে
  • ঋতুচক্রের কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ।

চিকিৎসা পদ্ধতি

শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা দিলে চিকিৎসক ব্লাড টেস্ট, ভিটামিন বি ৯, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি ইত্যাদির মতো কিছু জরুরি পরীক্ষা করবার পরামর্শ দেন। পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু হয়। শরীরে রক্ত কমে গেলে রক্ত তৈরি করার জন্য নানারকম নিউট্রিয়েন্টস দেওয়া হয়ে থাকে। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় তত্ত্বগুলির অভাব দূর হয় ফলে আবার স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভবপর হয়ে ওঠে।

শরীরে কী কী সমস্যা দেখা দেয়

ভিটামিন বি ১২ ও ভিটামিন ডি : ভিটামিন বি এর অভাবে ক্লান্তি ও দুর্বলতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। নার্ভ-এরও ক্ষতি করে এবং অ্যানিমিয়া হওয়ারও এটি একটি প্রধান কারণ। মানুষের চিন্তা, ভাবনার উপরেও এটি প্রভাব ফেলে। নিউট্রিয়েন্টস শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি হতে সহায়তা করে। ভিটামিন ডি শরীরে আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগ্নিসিয়াম, ফসফেট অ্যাবজর্ব করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। তাছাড়াও হাড়, মাংসপেশিকে  মজবুত করে। এর অভাবে মানুষ অবসাদের শিকার হয়ে পড়তে পারে।

ফলিক অ্যাসিড : ফলিক অ্যাসিড শরীরে হেলদি কোশ তৈরি করতে সাহায্য করে। ফলিক অ্যাসিডের অভাবে লোহিত রক্তকণিকায় অস্বাভাবিকতা দেখা দেয় যার ফলে রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আয়রন  : শরীরে Haemoglobin তৈরি করতে আয়রন এর প্রয়োজন। শরীরে আয়রন কম হয়ে গেলে  শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে এবং টিসু পর্যন্ত অক্সিজেন পৌঁছোতে পারে না। আয়রন-এর অভাব পূর্ণ করতে পারলেই এই সমস্যাগুলি প্রতিহত করা সম্ভব হবে।

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...