ছোট থেকেই শিশুদের খাওয়ার আগে হাত ধোয়ার অভ্যাস করানো উচিত। এতে শরীরে বাইরের জীবাণু সহজে প্রবেশ করতে পারবে না। নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া ও ঘুমনো অত্যন্ত জরুরি। শিশুকে ভালো রাখতে, Immunity বাড়াতে অবশ্যই বাচ্চাদের মধ্যে এই অভ্যাস গড়ে তুলুন। ডায়াটে ফাইবারের পরিমাণ বেশি রাখুন। শাক-সবজি ইত্যাদির মাধ্যমে শিশুর শরীরে ভিটামিন, মিনারেলের অভাব পূরণ করতে চেষ্টা করুন এবং এই খাদ্যাভ্যাসগুলি বাচ্চার মধ্যে গড়ে তুলুন। খাবার ছাড়াও শরীর ভালো রাখতে জলের কোনও তুলনা হয় না। পর্যাপ্ত জল শরীরকে রোগের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে, Immuniti-ও বাড়ায়।
খাওয়াদাওয়ার খেয়াল রাখুন
করোনার কারণে বাচ্চারা এখন গৃহবন্দি। খেলাধুলো, স্কুলে যাওয়া আসা, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা সব বন্ধ। এর ফলে জীবনশৈলীতেও খুব বড়ো পরিবর্তন এসেছে। বাচ্চাদের খাদ্যাভ্যাস সম্পূর্ণ বদলে গেছে। বেশি পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়ার প্রবণতা ইত্যাদি বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন খাবারে তাদের আসক্তি বাড়ছে যাতে নিউট্রিয়েনট-এর মাত্রা খুবই কম বরং ফ্যাট, শর্করা, লবণ-এর মাত্র অত্যন্ত বেশি। এগুলো শরীরের ভিতরে ক্ষতি করার সঙ্গে সঙ্গে নানা রোগেরও কারণ হয়ে উঠতে পারে।
যে-কোনও প্লান্টবেসড ফুড, সবজি, ফলে (ফ্রুট) ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস থাকে। এছাড়াও এগুলি শরীরে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, ডি এবং ই-এর মতো নিউট্রিয়েনটস প্রদান করে। এগুলি সবই Immunity বাড়াবার সঙ্গে সঙ্গে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কম করতেও সাহায্য করে।
বিটা ক্যারোটিন-এ অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস থাকার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধকারী কোশ বৃদ্ধি করে, এটি প্রদাহ, ফোলা কম করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও শক্তিশালী করে তোলে। এর জন্য ডায়েটে গাজর, সবুজ শাক-সবজি বাচ্চাদের অবশ্যই দিন। ভিটামিন এ এবং সি শরীরে ফ্রি র্যাডিকল্স কমিয়ে এনে ইমিউন সিস্টেমকে সঠিক ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। বাচ্চার ডায়েটে কমলালেবু, ব্রোকোলি, পালংশাক, বাদাম, লেবু, স্ট্রবেরি এবং টাটকা ফল ও সবজি রাখুন। এছাড়া ভিটামিন ডি-এর জন্য সকালের রোদ গায়ে লাগাবার সঙ্গে ইমিউনিটি বাড়াবার জন্য সাপ্লিমেন্টসও দিতে থাকুন বাচ্চাদের। এতে সংক্রমণ রোধ করার শক্তি বৃদ্ধি হবে শরীরে।
জলই জীবন আমাদের শরীরের ৬০ শতাংশই হল জল। যার মধ্যে ফুসফুসে রয়েছে ৮৩ শতাংশ জল এবং হার্ট ও ব্রেনে ৭৩ শতাংশ জল থাকে। শরীরের কার্যক্ষমতা সঠিক রাখতে জলের প্রযোজন। খাবার খাওয়ার সময়, শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার সময় অথবা শরীরে যখন ঘাম হয় তখন শরীরে জল কমে যায়। জলের অভাব পূরণ করতে ফ্লুইড অথবা জল খাওয়া একান্ত দরকার। সারাদিনে অন্তত ৮-১০ গেলাস জল খাওয়া উচিত। জলের মাধ্যমে সারা শরীরে অক্সিজেন এবং নিউট্রিয়েনটস পৌঁছোয় ফলে, বিষাক্ত পদার্থগুলি শরীরের বর্জ্য পদার্থে রূপান্তরিত হয় এবং সকলকেই রোগমুক্ত থাকতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে জল, লেবুর জল এবং ঈষদুষ্ণ জল পান করা উচিত, যাতে ব্লাড সার্কুলেশন উন্নত হয়। এছাড়াও জল শরীরকে ডিটক্স করে Immunity বাড়াতেও সহায়তা করে।