আমি আসানসোলের মেয়ে৷ কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকি৷ আমার বয়স ২৫৷ এই শহরে আমি নতুন, কোনও আত্মীয় নেই৷ তাই একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকি৷ এই একই ঘর আমি শেয়ার করি আরেকটি মেয়ের সঙ্গে, এতে আমার খরচ কিছুটা কমে৷ সেই মেয়েটিও জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতায় এসেছে কাজের সুত্রেই৷

আমাদের দু’জনের অন্তরঙ্গতা স্বাভাবিক কারণেই বাড়তে থাকে৷ও আমার চেয়ে দু’বছরের বড়ো হলেও, আমার তুলনায় অনেক বেশি পরিণতমনস্ক৷আমার ওর প্রতি তাই অনেকটাই নির্ভরতা তৈরি হয়েছে৷ অল্প দিনেই ও আমার একরকম Local Guardian হয়ে উঠেছে৷

আমার একাকী জীবনে ওর এই care শুরুতে আমার খারাপ লাগত না৷ কিন্তু সমস্যা শুরু হল তখনই, যখন আমার জীবনে একটি ছেলের প্রবেশ ঘটল৷ আমারই অফিসে এক সহকর্মীরঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে৷ আর-পাঁচটা জিনিসের মত এই ঘটনাটাও আমার রুমমেটকে শেয়ার করি৷একদিন বয়ফ্রেন্ড-এর সঙ্গে ওর আলাপও করিয়ে দিয়েছি৷ আর তাতেই বিপত্তি৷

বান্ধবী কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না বয়ফ্রেন্ড-এর সঙ্গে আমার সম্পর্ক৷ ওর আচরণও আমার খুব অস্বাভাবিক লাগছে৷ বান্ধবী বলছে ও আমায় ভালোবাসে, তাই আমার ভালোমন্দ সবটাই ও বোঝে৷ এই ছেলেটির সঙ্গে নাকি আমি সুখী হতে পারব না, তাই অবিলম্বে আমার এই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত৷ আমি এই পদক্ষেপ না করলে ও আত্মহননের হমকিও দিয়েছে৷আমার বান্ধবিকে আমি ভালোবাসি, সম্মান করি কিন্তু কখনওই এমন সম্পর্ক আমার কাঙ্খিত নয়৷আমি আমার প্রেমিককেও এই ঘটনার কথা বলতে পারছি না, পাছে ও কিছু মনে করে৷ কী করব? পথ দেখান৷

 

আপনার বান্ধবী স্বাভাবিক মানসিকতার নন৷ উনি হয়তো আপনার সঙ্গে সম্পর্কটা একটা সমকামিতার সম্পর্ক ধরে নিয়েছেন মনে মনে৷ আপনার উপর ওঁর এই অতিরিক্ত Possessiveness-ই এর মূলে৷ খোঁজ নিলে হয়তো জানতে পারবেন, ওঁর হয়তো এমন কোনও সম্পর্ক আগেও ছিল৷ এখন বাস্তবিকই মেয়েটি একা৷ এই পর্যায়ে আপনার আগমনে বান্ধবী আপনাকেই আঁকড়ে ধরেছেন৷

আপনি দুটি জিনিস করতে পারেন৷ প্রথমত বান্ধবীর কাউন্সেলিং করাতে পারেন৷ হতে পারে কয়েকটা সিটিং-এ ওঁর এই আত্মহননের চিন্তা মাথা থেকে বেরিয়ে যাবে এবং আপনার প্রতি ওভার-পজেসিভ মনোভাব থেকেও উনি বেরোতে পারবেন৷বিকল্প কাজটি হবে আপনার প্রেমিককে সব জানানো৷ তাঁর হেল্প নিয়ে অন্য জায়গায় ঘর ভাড়া নেওয়া৷ বাব্ধবীর সঙ্গে সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা৷

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...