আমি ৩০ বছর বয়সি বিবাহিতা। আমার বাপের বাড়ি শ্বশুরবাড়ির খুবই কাছে। এর ফলে আমার মা এবং বাপের বাড়ির অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের আসা-যাওয়া লেগেই থাকে আমার শ্বশুরবাড়িতে। এতে আমার স্বামীর কোনও আপত্তি নেই ঠিকই কিন্তু শাশুড়িমায়ের এটা পছন্দ নয়। উনি আমাকে বলেছেন মায়ের সঙ্গে কথা বলতে, যাতে আমার মা আসা কম করেন। অথচ এরকমও নয় যে, শ্বশুরবাড়িতে বাপের বাড়ির লোকজনকে অপমান করা হয়। বরং যত্নের কোনও ত্রুটি হয় না। তাঁরা যথেষ্ট একে অপরকে সম্মান করেন।

আমার শাশুড়ি মনে করেন, সম্পর্কের দূরত্ব রাখলে বিশেষ করে বেয়ানবাড়ির সঙ্গে দূরত্ব থাকলে সম্পর্কের মিষ্টতা বজায় থাকে। এই নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে আমার একটু মনোমালিন্যও চলছে। মা-কে শাশুড়ির কথা কীভাবে বলব বুঝতে পারছি না। একমাত্র সন্তান হওয়ার কারণে মায়ের মনে কষ্ট দিতে ইচ্ছে করছে না। এই পরিস্থিতিতে আমার কী করা উচিত?

আপনার শাশুড়ি-মা যেটা বলেছেন সেটা একদম ঠিক কথা। দূরত্ব বজায় থাকলে সম্পর্ক সহজে বিষিয়ে ওঠে না। মন থেকে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ঠিকই কিন্তু কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখাটাও এই ক্ষেত্রে জরুরি। এতে সম্পর্ক টিকে থাকে অনেক দিন এবং ভালোবাসাও অক্ষুণ্ণ থাকে। আর যেহেতু সম্পর্কটা বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ তাই সম্পর্কটাকে একটু বেশিই স্পেস দেওয়া দরকার। নয়তো একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে সময় লাগে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মেয়ের শ্বশুরবাড়ি কাছাকাছি হলেই বাপের বাড়ির লোকজন মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে একটু বেশি যাতায়াত আরম্ভ করে দেয়। আর এর ফলে তাদের পারিবারিক সবকিছুতে অবাঞ্ছিত ভাবে মাথা গলানো শুরু করে দেয়। সব ক্ষেত্রেই যে এটাই হয় সেটা বলা ভুল তবে সাবধানতা অবলম্বন করেই একটা সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। বাপের বাড়ির অতিরিক্ত এবং অবাঞ্ছিত মাথা গলানোয় অনেক সময় মেয়ের বিবাহিত জীবনে এর প্রতিকূল প্রভাব পড়ে। এমনকী মেয়ের সংসারও ভেঙে যায়। একে অপরের সুখ-দুঃখে অবশ্যই থাকা বাঞ্ছনীয় কিন্তু সম্পর্ক টেকাবার জন্য দূরত্ব অবশ্যই রাখা জরুরি। এতে সম্পর্কের প্রেম, মিষ্টতা বজায় থাকবে, সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠবে না।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...