আমি ২০ বছর বয়সি যুবতি। আমার কাজ হচ্ছে মার্কেটিং-এ তাই কাজের জন্য আমাকে খুব ঘুরতে হয়। ৪-৫ বছর থেকে আমার মুখে Pimples-এর সমস্যা শুরু হয়েছে এবং এই সময়েই আমি চাকরি জয়েন করি। আমার অভ্যাস ব্রণগুলি খোঁটা। এর ফলে আমার সারা মুখে দাগ হয়ে গেছে। দাগ মেটাবার জন্য কী করতে হবে?

ব্রণর সমস্যা খুবই কমন একটি সমস্যা। বিশেষ করে টিনএজারস-দের এটি খুব কমন সমস্যা। অনেকের মুখেই অতিরিক্ত Pimples হওয়ার ফলে কালো দাগ পড়ে যায়। যাদের খোঁটার অভ্যাস রয়েছে তাদের ব্রণ সেরে গেলেও ক্ষতের দাগ থেকেই যায়। দেখতে বিশ্রী লাগে। বাজারে এখন ব্রণ সারাবার ক্রিম, সিরাম, ফেসপ্যাক পাওয়া যায় তবে এইসব প্রসাধনীতে কেমিক্যাল থাকাটা কোনও আশ্চর্যের ব্যাপার নয়। তাই প্রাকৃতিক উপায় এই সমস্যার সমাধান করা উচিত হবে। খুব সহজেই বাড়িতে বসে ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেই এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে পারবেন।

সম্ভবত বাইরে বাইরে কাজ করার ফলে আপনার রোমছিদ্র ধুলোমাটি লেগে বন্ধ হয়ে গেছে বলেই আপনার সমস্যা বেড়ে গেছে। আপনি মুখ প্রতিদিন পরিষ্কার করুন। এর জন্য আপনাকে রোজ ক্লিনিং, টোনিং এবং ময়েশচারাইজিং করতে হবে। ব্রণ কখনও খুঁটবেন না। পাতিলেবু হল প্রাকৃতিক ব্লিচ, লেবুর রসের সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে তুলোর সাহায্যে দাগের উপর লাগান এবং ১৫-২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। দাগ কমে আসবে। এছাড়াও তুলসী পাতার রস বা অ্যালোভেরা জেল দিয়েও ব্রণের জেদি দাগ দূর করতে পারবেন। শসার রসও এই ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। সমান পরিমাণে শসা ও টম্যাটোর রস মিশিয়ে দাগের উপর লাগান এবং ১০মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে ব্রণর Pimples-এর দাগের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ট্যান-এর সমস্যাও দূর হবে।

দাগের সমস্যা রোধ করতে নিম প্যাকও খুবই কার্যকরী। সমপরিমাণে বেসন এবং নিম পাউডার টক দইএর সঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। সারা মুখে এটি লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুদিন এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া পেটও আপনাকে ঠিক রাখতে হবে। তেলমশলা-যুক্ত খাবার খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিন। প্রচুর জল পান করুন।

 

 

 

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...