বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি আমার গোড়ালির ত্বক ফাটছে। কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা রোধ করব? আগে কখনও আমার এই সমস্যা হয়নি। এই বছর শীত পড়ার পর থেকেই ত্বকের এই সমস্যা শুরু হয়েছে। ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেই আমি এই সমস্যা রোধ করতে আগ্রহী। বাজারে অনেক কিছুই কিনতে পাওয়া যায় ফাটা গোড়ালির সমস্যা রোধ করতে কিন্তু আমি বাড়িতে থাকা ঘরোয়া উপাদান দিয়েই সমস্যার সমাধান করতে চাই।
এই Cracked heels এর সমস্যা বেশিরভাগ লোকেদেরই হয়। ফাটা গোড়ালির সমস্যার জন্য শিয়া বাটার ব্যবহার করতে পারেন। শিয়া বাটার এক ধরনের মযে্শচারাইজার, যেটি ত্বককে পুষ্টি জোগায়, কোমল এবং সুন্দর করে তোলার ক্ষমতা রাখে। এতে পরিপূর্ণ মাত্রায় থাকে ভিটামিন-ই। রাতে ভালো করে পা ধুয়ে ফাটা গোড়ালিতে শিয়া বাটার লাগিয়ে মোজা পরে নিন। কিছুদিন পর আপনার গোড়ালি ফাটা বন্ধ হয়ে যাবে এবং গোড়ালির ত্বকও নরম হবে। এছাড়াও শোবার আগে পায়ে ভালো করে ভেজিটেবল অয়েল লাগিয়ে মোজা পরে নিন। সকালে উঠে পা ভালো করে ধুয়ে নিন।
আরও একটি পদ্ধতি হল মোমবাতি গলিয়ে একটি পাত্রে রাখুন। এতে অল্প সরষে তেল, গ্লিসারিন এবং মধু মিশিয়ে আগুনের তাপে সামান্য ঘন করে নিন। সারাদিনে ৩ থেকে ৪ বার মিশ্রণটি গোড়ালিতে লাগান। কিছুদিন এই পদ্ধতিটি মানলে গোড়ালি ফাটার Cracked heels সমস্যা চলে যাবে।
আরেকটি পদ্ধতি হল পাকা কলা ও পাকা অ্যাভোক্যাড একসঙ্গে মিশিয়ে ফাটা গোড়ালিতে লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে এসেনশিয়াল অয়েল, ফ্যাট, ময়েশ্চার ও ভিটামিন। ভেসলিনের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়েও ফাটা গোড়ালিতে লাগালে উপকার পাবেন। লেবুর রসে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড ফাটা ত্বকের শুষ্কতা ও মরা কোশকে নরম করতে সাহায্য করবে। আর ভেসলিন আদ্রতা জোগাবে। মধুও এই ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। ঈষদুষ্ণ জলে এক কাপ মধু মিশিয়ে নিন। এতে ধীরে ধীরে পা ঘষুন। এই প্রক্রিয়াটি রোজ করতে পারেন। এতে পায়ের ত্বকের ফাটা ভাব দূর হয়ে গিয়ে ত্বক স্বাভাবিক মসৃণ হয়ে উঠবে।