আমি ২০ বছর বয়সি যুবতি। আমার মুখের ত্বকের রং কোথাও এক সমান নয়। এরকম কেন? এটা ঠিক করার কোনও উপায় আছে কি?

এটিকে ত্বকের পিগমেনটেশন বলা হয়। কিছু অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক কারণে মেলানিন তৈরি বেড়ে গেলে ত্বকের পিগমেনটেশন-এর সমস্যা দেখা দেয়। এটার কারণ হতে পারে সূর্যের আলো, বিশেষ করে ইউভিএ রশ্মি যা ত্বকের ভিতর অবধি পৌঁছে অতিরিক্ত মেলানিন তৈরি করে।

এছাড়াও ত্বকের জায়গায় জায়গায় রং কালো এবং ট্যান হয়ে যায় কারণ ত্বক ঠিকমতো এক্সফলিয়েট করা হয় না সবসময়। ধুলো-ময়লা, ঘাম ত্বকের উপর জমতে থাকে এবং বেশ কিছুদিন পর ওটা ত্বকের উপর চেপে বসে যায়। ত্বকের মৃত কোশ এবং ধুলো-ময়লার স্তর ত্বকের রং কোথাও ফিকে আবার কোথাও গাঢ় করে তোলে। এর জন্য প্রযোজন সপ্তাহে ২ বার স্ক্রাব এবং ফেস মাস্ক ব্যবহার করা। বাড়িতে বসেই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে আপনি সহজেই বানিয়ে নিতে পারবেন স্ক্রাব এবং ফেস মাস্ক। আপেল সিডার ভিনিগার, অ্যালোভেরা এসব দিয়েও নিয়মিত রূপচর্চা করতে পারেন। পিগমেনটেশন দূর করতে সানস্ক্রিন খুবই কার্যকরী। সানস্ক্রিনের পাশাপাশি রেটিনল জাতীয় ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ক্রিম, ভিটামিন সি, লিকরিশ রুট ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। তবে হাইপার পিগমেনটেশন-এর ক্ষেত্রে ত্বক বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।

ঘরোয়া উপায়ে মাস্ক তৈরি করতে –

সমান পরিমাণে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে প্রভাবিত অংশে লাগান। হালকা গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে ভালো করে নিংড়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখ ঢেকে রাখুন তারপর হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন প্রক্রিয়াটি করে দেখুন, উপকার পাবেন।

কাঁচা আলু ও লেবুর মাস্কও ব্যবহার করতে পারেন। আলুতে ক্যাটাকোলেস নামে একটি এনজাইম থাকে যা পিগমেনটযুক্ত ত্বকে ভালো কাজ করে এবং দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। লেবু একটি প্রাকৃতিক ব্লিচ। লেবু ত্বকের ক্ষত সারাতেও সাহায্য করবে। আলু গ্রেট করে তার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন আধঘণ্টা। তারপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে দিনে দুবার করে মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন।

 

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...