মহিলারা সেজেগুজে ফিটফাট থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। হাউস ওয়াইফ অথবা ওয়ার্কিং উয়োম্যান সকলেই নিজের নিজের সৌন্দর্য বজায় রাখতে যথেষ্ট সচেতন। সুতরাং স্মার্ট মেক-আপের জন্য কী কী করণীয়, জেনে নিন সেই বিষয়ে—

মেক-আপ করার আগে এবং মেক-আপ করার সময় বেসিক কিছু জিনিস আমাদের খেয়াল রাখা জরুরি।

  • মেক-আপ করার আগে ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর বরফের টুকরো নিয়ে পাঁচ মিনিট মুখে মাসাজ করুন। এর ফলে ত্বকের তরতাজা ভাব ফিরে আসবে। ত্বকে যদি কোথাও অস্বাভাবিক ফোলা ভাব বা ব্রণ, মেচেতা ইত্যাদি থাকে তাহলে এই প্রক্রিয়ায় আরাম অনুভব করবেন। শেষে ক্লিনজার আর টোনার ব্যবহার করুন ত্বকে গ্লো ফিরিয়ে আনার জন্য
  • ক্লাইমেট চেঞ্জ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকেও এর প্রভাব পড়ে। ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে ত্বকের আর্দ্র ভাব ধরে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি, নয়তো ত্বক শুষ্ক-রুক্ষ দেখতে লাগে। সুতরাং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করাটা খুব দরকার। মেক-আপ করার আগেও মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত যাতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তাহলে অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার লাগানো বাঞ্ছনীয়
  • ত্বকের রং যদি হলদেটে হয় তাহলে লাইট শেডের লিপস্টিক লাগানো উচিত নয়। এতে আপনার চেহারা ফ্যাকাশে লাগবে দেখতে
  • তৈলাক্ত ত্বক হলে, অয়েল ফ্রি প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন এবং মেক-আপ করার সময় প্রাইমার ব্যবহার করুন। প্রাইমার, ফাউন্ডেশন এবং ময়েশ্চারাইজারকে সারাদিন অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য় বেস তৈরি করে। তৈলাক্ত ত্বক হলে জেল বেস প্রাইমার ব্যবহার করুন এবং ত্বক যদি ড্রাই হয় তাহলে অয়েল বেস প্রাইমার-ই আপনার ত্বকের জন্য আদর্শ হবে।
  • মেক-আপ-এর সময় ফাউন্ডেশনের ব্যবহার করা হয় মুখের দাগছোপ এবং ডার্ক সার্কেল লুকোবার জন্য। ফাউন্ডেশন সবসময় নিজের স্কিনটোনের থেকে এক শেড লাইটার-ই কেনা উচিত। ফাউন্ডেশন যদি মুখের রঙের সঙ্গে ম্যাচ না করে তাহলে মেক-আপ দেখতে অত্যন্ত বিশ্রী লাগবে
  • তৈলাক্ত ত্বক হলে, ম্যাট ফিনিশ ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বক অয়েলি বলে মনে হবে না। যাদের ড্রাই স্কিন, তাদের ম্যাট ফিনিশ ফাউন্ডেশন একেবারেই চলবে না, কারণ এর ফলে ত্বকে প্যাচ স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠবে।
  • ত্বকের সঙ্গে মেক-আপ মসৃণ ভাবে ব্লেন্ড করাবার জন্য বিউটি ব্লেন্ডার ব্যবহার করা উচিত। হাত দিয়ে ব্লেন্ড করলে মুখে ফিনিশিং ঠিকমতো আসে না ফলে মুখের কোথাও হোয়াইট আবার কোথাও ডার্ক বলে মনে হয়
  • ডার্ক সার্কেলস, ব্রণ, মুখের যে-কোনও দাগছোপ লুকোবার জন্য কনসিলার প্রয়োগ করতে পারেন। ফাউন্ডেশনের আগে কনসিলার লাগান। যদি ফাউন্ডেশনের পর কলসিলার প্রয়োগ করেন তাহলে খুব কম পরিমাণে লাগবে কনসিলার, অথচ মুখের যে-কোনও দাগছোপ লুকোতেই আপনি সক্ষম হবেন
  • মেক-আপ সেট করার জন্য সেটিং স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে মুখের মেক-আপ ছড়িয়ে পড়বে না এবং লংলাস্টিং এফেক্টের সঙ্গে পারফেক্ট লুকও দেবে

অ্যাট্রাক্টিভ লুকের জন্য

‌সৌন্দর্য ও আকর্ষণ ধরে রাখতে হলে মানানসই পোশাকের সঙ্গে ভালো মেক-আপ করাটাও জরুরি।

  • আকর্ষণের প্রসঙ্গ এলে প্রথমেই চোখের আকর্ষণ বাড়াবার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। অধিকাংশ মহিলাই কাজল লাগাবার সময় ওয়াটার লাইন-কে একেবারেই গুরুত্ব দেন না। যদি চোখের আপার ওয়াটার লাইনে কাজল লাগানো হয় তাহলে চোখ দেখতে আকর্ষণীয় লাগবে
  • ব্লাশ লাগালে মুখের সৌন্দর্য ও আকর্ষণ অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু ব্লাশ কেনার সময় সঠিক রং বেছে নেওয়াটা খুব দরকার। ব্লাশের হালকা পরত আপনাকে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে সাহায্য করবে
  • ঠোঁট অ্যাট্রাক্টিভ করে তুলতে চাইলে লিপ লাইনার ব্যবহার করুন। লিপস্টিকের রঙের সঙ্গে লিপলাইনারের রং ম্যাচ করান। দুটোর রং যদি ম্যাচ না করে, মেক-আপ সম্পূর্ণ মাটি হয়ে যাবে।

মেক-আপ তোলার সঠিক উপায় –

শোওয়ার আগে মেক-আপ সম্পূর্ণ রিমুভ করে দেওয়া উচিত, কারণ মেক-আপে উপস্থিত কেমিক্যাল ত্বকের ক্ষতি করবে। মেক-আপ রিমুভ করার জন্য ভালো ব্র‌্যান্ডের মেক-আপ রিমুভার ব্যবহার করতে পারেন।

ঘরোয়া উপায়ে ঠান্ডা দুধ বা নারকেল তেলে তুলো ভিজিয়ে খুব আলতো হাতে মেক-আপ তুলে ফেলতে পারেন। চোখের মেক-আপ তোলার সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। মেক-আপ রিমুভ করার পর অ্যালোভেরা জেল দিয়ে মাসাজ করুন যাতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...