আমি ২৮ বছর বয়সি যুবতিনতুন চাকরিতে জয়েন করেছি৷ কর্মস্থলে আলাপ হওয়া একজন  বিবাহিত পুরুষকে ভালোবাসিসেও আমাকে ভালোবাসে৷ তাই প্রথম দিন থেকেই তার বিবাহিত হওয়ার বিষয়টি গোপন করতে চায়নি৷ তার এই সততা আমাকে স্পর্শ করেছে৷ সে বিবাহিত জেনেও আমি এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছি৷

এখন আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও রয়েছে ছেলেটি আমাকে খুবই ভালোবাসে কিন্তু ও ওর পরিবারকেও ছেড়ে আসতে চায় না, কারণ ওর একটিই সন্তান যে অটিজম-এর শিকারওর  পরিবারের প্রতি এই দায়িত্ববোধ আমায় মুগ্ধ করে৷ কিন্তু আমাদের সম্পর্কের পরিণতি নিয়েও আমি চিন্তিত৷বলে দিন  আমি কী করব?

 

আপনি আগুন নিয়ে খেলা করছেন। এই আগুনের গ্রাসে একসাথে কয়েকটা পরিবার জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যেতে পারে। আপনার তথাকথিত প্রেমিক আপনাকে বোকা বানাচ্ছে।আপনার প্রেমিক তার পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধই শুধু নয়, সে তার স্ত্রীকে মর্যাদা দিয়েই তার জীবনের সঙ্গে জুড়ে রাখতে চায়৷ আবার আপনার সঙ্গে শারারিক সম্পর্কের মজা থেকেও বঞ্চিত হতে চায় না৷ ভেবে দেখেছেন কি, এতে আপনার সামাজিক পরিচয়টা কী হতে যাচ্ছে? সে কখনওই আপনাকে স্ত্রী হিসেবে সামাজিক ভাবে স্বীকৃতি দেবে না৷আপনিই বা কতদিন এরকম অবৈধ একটি সম্পর্ক নিয়ে সমাজে চলাফেরা করবেন? আপনার সম্মান এতে নষ্টই হবে৷বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রেও এই সম্পর্কের জেরে আপনাদের উভয়েরই সম্মানহানি হবে৷

আমাদের পরামর্শ যদি মানতে চান, তাহলে একদম সময় নষ্ট না করে, এই সম্পর্ক থেকে এখুনি আপনার বেরিয়ে আসা উচিত। কারণ আপনার সামনে আপনার সমগ্র ভবিষ্যৎ পড়ে আছে। আপনার কেরিয়ারকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে সঠিক পথে চালনা করুন।

নিজের বিবাহিত স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও যে অন্য যুবতির প্রতি আসক্ত, তাকে বিশ্বাস করা একদম উচিত হবে না! কে বলতে পারে, কাল আবার অন্য কোনও যুবতির প্রতি আপনার প্রেমিকের আসক্তি দেখা দেবে না? তখন আপনার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। আর এটা মনে রাখবেন, বিবাহিত ব্যক্তিকে বিয়ে করাটা আইনের চোখেও অবৈধ। আপনি স্ত্রী-র আইনি অধিকারগুলি থেকেও বঞ্চিত হবেন। তখন নিজের ভুলের মাশুল আপনাকেই চোকাতে হবে।

এখনও যখন বিষয়টি আপনাদের দু’জনের ভিতরেই সীমাবদ্ধ আছে, তখন এর থেকে বেরিয়ে আসুন৷আপনার পারিবারিক সম্মানটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ নতুন করে জীবনটা সাজান৷ পরিবারের পছন্দে বা আপনার নিজের পছন্দে কাউকে বিয়ে করুন৷ সুন্দর একটি জীবন গড়ে তুলুন৷

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...