আমি ৩৪ বছর বয়সি মহিলা।সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছে চার বছর৷বিয়ের পর থেকেই দেখছি, আমার স্বামী স্বেচ্ছাচারী প্রকৃতির মানুষ। সবসময় নিজের ইচ্ছেগুলো অপরের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। অন্যের ইচ্ছের কদর ওনার কাছে নেই। আমার ইচ্ছেরও কখনও তিনি পরোয়া করেননি। বাড়িতেও সবই ওনার ইচ্ছেতেই চলে। এমনকী সহবাস করতে চাইলেও স্বা্মীর ইচ্ছেতেই হয়।সারাক্ষণ কিছু না কিছু খুঁত ধরে খারাপ ব্যবহার করেন আমার সঙ্গে৷আমার তো মাঝেমধ্যে মনে হয় উনি আমাকে একেবারেই ভালোবাসেন না। আমি এই দমবন্ধ করা পরিবেশে হাঁপিয়ে উঠেছি।
আমার জীবনে একটু পরিবর্তন আসবে এই আশায়, স্বামীকে না জানিয়েই আমি ফ্রেঞ্চ ক্লাসে ভর্তি হই৷সেখানে নতুন নতুন কিছু বন্ধুও হয়৷ বেশ কিছুদিন ধরে একটি ছেলেকে আমার খুব ভালো লাগতে আরম্ভ করেছে। আমি ওর প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতে শুরু করেছি। কিন্তু ছেলেটির আমাকে ভালো লাগে কিনা আমি জানতে পারিনি। সামনাসামনি প্রেম নিবেদন করতে ভয় পাই। এই পরিস্থিতিতে আমার কী করা উচিত?
আপনার চিঠি পড়ে বোঝা যাচ্ছে আপনার বিবাহিত জীবন খুবই অসুখী৷ আপনাদের কোনও সন্তান আছে কিনা লেখেননি৷ যদি না থাকে তাহলে নিজের জীবন নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসার এটাই সঠিক সময়৷ এত বছর আপনি বিবাহিত জীবনযাপন করছেন।কিন্তু স্বামীর প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন৷ আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই বিয়ে আপনি টিকিয়ে রাখতে চান কিনা৷ আগামী জীবনটা স্বামীর সঙ্গেই কাটাতে চান কিনা৷
এই বিষয়ে যদি নিজে সিদ্ধান্ত নিতে অপারগ হন, তাহলে আপনার মা বা নির্ভরশীল কারও সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন ,যারা চাক্ষুস ভাবে আপনার স্বামীকে চেনেন, বা তার স্বভাবের বিষয়ে জানেন৷যদি একান্তই মনে হয় এই বিবাহিতজীবন আপনি টেনে নিয়ে যেতে অক্ষম, তাহলে ডিভোর্স-ই একমাত্র পথ৷
এবার আসা যাক আপনার নতুন ভালোলাগার মানুষটির প্রসঙ্গে৷আপনি মনে হয় ওই যুবকটির প্রতি আকর্ষিত হয়ে মনে মনে নতুন সংসার গড়তে আগ্রহী হয়েছেন। কিন্তু ভেবে দেখুন এই দফায় আপনি সঠিক মানুষকে নির্বাচন করছেন তো? আপনি কিশোরী নন, সুতরাং নিজের আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন। ছেলেটির সঙ্গে আরও কয়েকমায় মিশে দেখুন যে, সে আপনার উপযুক্ত কিনা৷ তার কথা ভেবেই চটজলদি বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না তো?