সাত পাহাড়ের দেশ নৈনিতাল। নৈনিতাল আসলে একটি লেকের নাম। লেকের নাম থেকে জেলার নামও ওই একই– নৈনিতাল। দেবী নয়নার নামে এই নামকরণ করা হয়েছে। ব্রিটিশ বণিক ব্যারন সাহেবের প্রচেষ্টায় ১৮৪১ সালে নৈনিতালের রূপ সর্বসাধারণের কাছে উন্মুক্ত হয়। ধীরে ধীরে নৈনিতাল গড়ে ওঠে এক শৈলশহর হিসাবে। আসলে ইংরেজরা এ দেশের উষ্ণ আবহাওয়ায় সব সময়েই খুঁজেছে শীতল স্থান। অধিকাংশ হিল স্টেশন গড়ে উঠেছে তাদেরই হাতে।
হ্রদের তীরে নৈনিতাল শহর কুমায়ুন হিমালয় অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় হিল স্টেশন। শৈলাবাসের প্রাত্যহিক জীবনধারা যেন আবর্তিত হয় নৈনি লেক-কে কেন্দ্র করে। ২০০০ মিটার উচ্চতার নৈনিতালের পাহাড়ের গায়ে ধাপে ধাপে গড়ে উঠেছে ঘরবাড়ি, হোটেল। লেকটিকে ঘিরে রেখেছে সাতটি পাহাড় চূড়া। এই পাহাড় চূড়া থেকেই দূরের হিমালয়ের তুষারশৃঙ্গ দেখার আয়োজন। নৈনিতালকে বলে লেক ডিস্ট্রিক্ট। দিকে দিকে ছড়িয়ে রয়েছে অনিন্দ্যসুন্দর কয়েকটি লেক– ভীমতাল, সাততাল, নওকুচিয়া তাল প্রভৃতি।
দুটি দিন কেটে যায় নৈনিতাল আর তার আশপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আহরণে। পাইন, পপলার, উইলো গাছের ঝিরিঝিরি হাওয়া মনকে দুলিয়ে দেয়। চোখ খোঁজে শুধু পাহাড় থেকে পাহাড়ের হাতছানি। জীবনের সরল অহংকার, ঐশ্বর্য, বৈভবকে তুচ্ছ করে মন যেন বলে এই লেকের জলে বোটে ভাসতে ভাসতে অসীম প্রকৃতির বুকে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারলে কত ভালো হতো। কিন্তু সে তো হওয়ার নয়, আমাদের এগিয়ে যেতে হবে পরবর্তী গন্তব্যের দিকে।
নৈনিতাল-বাসের একটা দিন এখনও হাতে আছে। দিনের দিনেই ঘুরে আসা যায় মুক্তেশ্বর থেকে। ওদিকে টুরিস্টের ভিড় অনেকটাই কম– অধিকাংশই চলে যায় চেনা সার্কিট রানিখেত, কৌশানির দিকে। নৈনিতাল থেকে ৫২ কিলোমিটার দূরে ২২৮৬ মিটার উচ্চতায় মনোরম শৈলাবাস মুক্তেশ্বর। এত উঁচুতে অবস্থান হওয়ার জন্য হিমালয়ের দৃশ্য ও নীচে আলমোড়া শহর– এই দুয়েরই অপূর্ব ভিউ পাওয়া যায় এখান থেকে। আমরা চলেছি নৈনিতাল থেকে, তবে সরাসরি কাঠগোদাম থেকেও মুক্তেশ্বর যাওয়া যায়, দূরত্ব ৭৪ কিলোমিটার।
হোটেল থেকেই গাড়ির ব্যবস্থা হয়ে গেল। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ গাড়ি পৌঁছে গেছে হোটেলের দোরগোড়ায়। আসলে নৈনিতাল ম্যাল রোডের উপর গাড়ি চলাচলের অনুমতি আছে সকাল ৮১৮৯৮টা পর্যন্ত। এরপরে ম্যাল রোডে গাড়ি ঢোকা নিষিদ্ধ, তখন গাড়িতে উঠতে হবে ম্যাল রোডের সীমানার বাইরে থেকে। যাই হোক আটটার আগেই গাড়ি ছেড়ে দিল। সময়টা জুন মাস, বর্ষার ঠিক আগেই, আকাশে মেঘের ঘনঘটা না থাকলেও একেবারে পরিষ্কারও নয়, ফলে কতটা স্পষ্টভাবে তুষারশৃঙ্গের দেখা পাওয়া যাবে তার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। মুক্তেশ্বর অন্যান্য শৈলশহর থেকে একটু স্বতন্ত্র গোষ্ঠীর। এখানে প্রধান আকর্ষণ অবশ্যই প্রকৃতি– অনেকগুলি শৈলশিখরের দর্শন পাওয়া যায় মেঘমুক্ত দিনে। আগে এখানে ইংরেজদের ক্যান্টনমেন্ট ছিল। তাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে আরণ্যক এই শহরটি। ১৮৯৮ সালে ইংরেজ সরকার এখানে ভেটারনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউট গড়ে তুলেছিলেন। এখন তার নতুন নামকরণ হয়েছে সেন্ট্রাল ভেটারনারি ইনস্টিটিউট।
আরও দর্শনীয় স্থান রয়েছে– মুক্তেশ্বর শিবমন্দির, চাউলি কি জালি। গাড়ি এখন নৈনিতাল শহরের জট কাটিয়ে অনেকটা ফাঁকায় এসে পড়েছে। নৈনিতাল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে ভাওয়ালিতে পৌঁছোলাম কিছুক্ষণের মধ্যেই। এখানে দর্শনীয় সে রকম কিছু নেই– এটা ফলের হোল সেল মার্কেট। এখানে কুমায়ুন মণ্ডল বিকাশ নিগমের টুরিস্ট লজ আছে, রয়েছে একটি স্যানাটোরিয়াম। বাজার-দোকান প্রচুর। বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরদূরান্তের বাস ছাড়ে। যাই হোক গাড়ি এখানে দাঁড়াল না, দরকারও বিশেষ ছিল না। তবে ভাওয়ালির খ্যাতি আছে স্বাস্থ্যকর জলবায়ু আর আপেলের বাগানের জন্য।
ভাওয়ালি পেরিয়ে আরও ১৪ কিমি এগিয়ে রামগড়। রামগড়ের সৌন্দর্য বেশ লাগল। আসলে কুমায়ুনের সব পাহাড়ই যেন সৌন্দর্যের আকর। রামগড়ে রয়েছে চির-পাইনের বন আর আপেল, নাসপাতির বাগান। এই রামগড় আবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিখ্যাত হিন্দি সাহিত্যিক মহাদেবী বর্মার স্মৃতি বিজড়িত। গাড়ি এগিয়ে চলে, রামগড় পেরিয়ে সৈনিক স্কুল তারপর ঘোড়াখাল এলাকা। গাড়ি এখানে দাঁড়াল একটি মন্দিরের চত্বরে। ড্রাইভার জানাল এটা গলু দেবতার মন্দির। গলু দেবতা হল বিষ্ণুর আর-এক অবতার। এই মন্দির ও দেবতার বিশেষত্ব হল এখানে মানত করা হয় পেতলের ঘন্টা দিয়ে। গাড়ি থেকে নেমে দেখলাম সত্যিই তো, মন্দিরের চত্বরে পূজার নানাবিধ সামগ্রীর সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে নানা আকারের ও ওজনের পিতলের ঘন্টা। ওজনদরে বিক্রি হচ্ছে এই ঘন্টা, পূজার সামগ্রী হিসাবে। রাস্তা থেকে সিঁড়ি উঠে গেছে মন্দিরের অন্দরমহলে।
সিঁড়ি ভেঙ্গে মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম মন্দিরের দরজায়। সত্যিই আশ্চর্য, হাজারে হাজারে ঘন্টা বাঁধা রয়েছে মন্দিরের মধ্যে, কখনও তার আকার বিশালাকায় কখনও বেশ ছোটো। আর মাঝারি আকারের ঘন্টারও অভাব নেই। ঘন্টা-সজ্জিত এরকম মন্দির আগে কখনও দেখিনি। মন্দিরে পূজারিও রয়েছে, পূজা পর্ব চলছে। মূল মন্দির ছাড়াও পাশে আর-একটি ছোটো মন্দিরে সিংহবাহিনীর মূর্তি।
গাড়ি আবার এগিয়ে চলে, একটু এগিয়েই পড়ল ঘোড়াখাল চা-বাগান আর চায়ের ফ্যাক্টরি। এই ছোটো চা-বাগানে চা-প্রক্রিয়াকরণেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এবার চা-বাগানে প্রবেশ করি। তবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতে আমরা যেরকম বড়ো বড়ো সুন্দর চা-বাগান দেখতে অভ্যস্ত সে পর্যায়ে এই চা-বাগান পড়ে না। তবে দৃষ্টিনন্দন হল, এই চা-বাগান ঘিরে রেখেছে ওক আর পাইন বন। চা-ফ্যাক্টরির কাউন্টার থেকে চা পাতা বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে, জৈব-চাও (অরগ্যানিক টি) পাওয়া যাচ্ছে। চা-বাগান দর্শন সেরে আবার যাত্রা শুরু– রাস্তার দু’ধারে কখনও বা হালকা কখনও বা গভীর জঙ্গল। এ পথে যান চলাচল খুবই কম। রাস্তা হালকা চড়াই তবে বাঁকগুলি খুব তীক্ষ্ণ নয়।
পথ আরও এগিয়ে চলে। চোখে পড়ছে ফলের বাগান রাস্তার দুপাশেই। আপেল, নাসপাতি, খোবানি, আলুবোখরা আরও নানা ধরনের ফলের গাছ রয়েছে। রাস্তার ধারেই গাছে ফল ঝুলছে। হঠাৎই হাত দেখিয়ে গাড়ি থামাল বাচ্চা কয়েকটি ছেলেমেয়ে। তাদের হাতে নাসপাতি, খোবানি, আলুবোখরার প্যাকেট। স্থানীয় এই ছেলেমেয়েরা এই ফল টুরিস্টদের বিক্রি করে সামান্য উপার্জন করে। কিনে ফেলি কয়েকটা প্যাকেট। ফলের বাগানের সঙ্গে চাষের খেতও চোখে পড়ছে। এখানে ধাপ চাষ পদ্ধতিতে চাষ করা হয়। ড্রাইভার জানাল এ বছর খুব কমই বৃষ্টি হয়েছে তাই চাষের খেত শুকনো। যদিও কুমায়ুনের এই অঞ্চলেই কিন্তু সবুজের সমারোহ সব থেকে বেশি। যতই মুক্তেশ্বরের দিকে এগিয়ে চলেছি ততই দেখতে পাচ্ছি নগরায়ণের গতিবৃদ্ধির ছবি। সবুজের বিস্তার কমে যাচ্ছে– প্রচুর ইট কংক্রিটের যজ্ঞ যেন এ জায়গার পক্ষে সত্যিই বেমানান। এরপরে হয়তো এই অঞ্চলের শান্তি, নিস্তব্ধতা, পরিচ্ছন্নতা, সবুজের বিস্তার সবই ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে।
গাড়ি ধীরে ধীরে চড়াই পথে চলেছে। মুক্তেশ্বরের উচ্চতা, নৈনিতালের থেকে অনেকটাই বেশি তাই ঠান্ডাও একটু বেশি তো হবেই। ঠান্ডা বাতাস দিচ্ছে তবে হালকা রোদ রয়েছে, তাই বেশ আরামই লাগছে। আমরা মুক্তেশ্বরে প্রবেশ করছি, রাস্তার দু-পাশে পাইন আর ওক গাছের সারি। রাস্তার নামও যথাযথ ‘ওক অ্যাভিনিউ’। শহরে ঢুকেই চোখে পড়ে বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ স্থাপত্যের ধাঁচে নির্মিত বাংলো, বাড়ি, চার্চ ইত্যাদি। তবে আকাশে রয়েছে মেঘের আস্তরণ।
মুক্তেশ্বর এক অসাধারণ সুন্দর পাহাড়ি জনপদ। অন্যান্য হিলস্টেশনের মতো এখানে হোটেলের ছড়াছড়ি, দোকানপাটে হুড়োহুড়ি বা মানুষের ভিড় নেই। প্রাচীন দেওদার বৃক্ষের এমন বিপুল সমাবেশ আর কোথাও আছে কিনা সন্দেহ। তুষারশৃঙ্গ দেখার সৌভাগ্য মুক্তেশ্বরের প্রকৃতি আমাদের দিল না। আকাশ পরিষ্কার থাকলে মুক্তেশ্বর থেকে স্পষ্ট দেখা যায় উত্তর দিগন্তে একের পর এক বিখ্যাত তুষারশৃঙ্গগুলি। দোরবান্দি, চৌখাম্বা, গৌরী পর্বত, ত্রিশুল, নন্দাদেবী, পঞ্চচুল্লির পঞ্চশিখর ইত্যাদি।
আমাদের সামনে এখন মুক্তেশ্বর শিবমন্দির, তারই সিঁড়ি উঠে গেছে ওপরে। মন্দিরের ৯৬টি সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠতে হবে। সিঁড়ি ভাঙার আগে দেখে নিলাম পাশেই রামমন্দির আর সিদ্ধাসন্ড, মুক্তেশ্বরজির সমাধি মন্দির। সিঁড়ি ভাঙতে শুরু করি, কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে Travel যাই মন্দিরশীর্ষে। রেলিং দিয়ে ঘেরা মন্দিরের শীর্ষ। মন্দিরের বিগ্রহ বলতে শ্বেতপাথরের শিবলিঙ্গ, যার ওপর বিশাল ফণা মেলে রয়েছে তাম্রনির্মিত এক সাপ। মন্দিরের পরিবেশ খুব শান্ত– শীর্ষ থেকে নজরে পড়ে বিশাল উপত্যকার এক অংশ। বিগ্রহ প্রদক্ষিণ করে আবার নামার পথ ধরি।
মন্দিরের পাশ দিয়ে আধ কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছে গেলাম এক জায়গায়, যেখানে পাহাড়ের এক বিচিত্র রূপ। মুক্তেশ্বর পাহাড়ের পশ্চিমমুখী অংশটি হঠাৎই এখানে এসে শেষ হয়ে গেছে। সেই প্রান্তসীমায় দাঁড়িয়ে দেখা যায় পাহাড় কীভাবে নেমে গেছে তিন হাজার ফুট নীচের উপত্যকায়। এই বিস্তৃত উপত্যকার রূপ অনুভব করতে কিছুক্ষণ হারিয়ে যাই এই প্রকৃতির গভীরে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এইখান থেকেই দেখা যায় তুষারশৃঙ্গের সারি। এটাই এখানের ভিউপয়েন্ট। পাহাড়ে বিচিত্র ভাস্কর্য সৃষ্টি হয়েছে প্রকৃতির অসীম খেয়ালে। পাথর ক্ষয়ে বিচিত্র রূপ নিয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে পাহাড়ের গুহায় ফোকর– এবং জায়গাটার নামকরণ হয়েছে চাউল কি জালি। এখানে শিবরাত্রির সময় মেয়েরা পুজো দিতে আসে। কথিত আছে শিব এখানে তপস্যায় নিমগ্ন ছিলেন। এক সন্ন্যাসী তার শিষ্যদের নিয়ে এই পথ পেরোতে গিয়ে দেখেন মহাদেব পথ আগলে বসে আছেন। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর এই সন্ন্যাসী বিরক্ত হয়ে শিবের হাতের ত্রিশূল দিয়ে প্রাচীরে আঘাত করেন। এই আঘাতের ফলে যে গর্ত তৈরি হয় সেই পথেই তিনি এগিয়ে যান। শিবরাত্রির দিন এখানে প্রচুর পুণ্যার্থীর আগমন হয়। লোকের বিশ্বাস শিবরাত্রির দিন প্রাচীরের এই গর্ত দিয়ে কোনও সন্তানহীনা যদি গলে যেতে পারেন তাহলে যমজ সন্তানের জননী হবেন। মুখ ফিরিয়ে দেখি এই চত্বরে পাহাড়ে চড়ার প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।
এক নতুন পথে আমাদের Travel প্রত্যাগমন। সামান্য চড়াই উতরাই পথে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে স্থানীয় একটি ছেলের সহায়তায় আমরা পৌঁছে গেলাম সেই শিবমন্দিরের পিছন দিকে। এই পথের সুবিধা হল চড়াই সিঁড়ি না ভেঙে ঘুর পথে মন্দিরে প্রবেশ করা যায়। মুক্তেশ্বরে খুব বেশি দর্শনীয় স্থান নেই। প্রকৃতি আত্মিকভাবে অনুভব করাই এখানে প্রাথমিক সাইট-সিইং। একটা রাত এখানে কাটাতে পারলে খুব ভাল হতো। ফিরে যাই গাড়ির কাছে। ড্রাইভার বলল, ‘চলুন ফেরার আগে আপনাদের মুক্তেশ্বরের ঐতিহাসিক পিডাবলিউডি বাংলোটি দেখিয়ে আনি। একসময় এটাই ছিল মুক্তেশ্বরের রাত্রিবাসের একমাত্র স্থান। এখন অবশ্য কুমায়ুন মন্ডল বিকাশ নিগমের বাংলো আর কয়েকটি প্রাইভেট হোটেলও হয়েছে।’ পুরোনো দিনের বাংলো কাঠের তৈরি– সামনে কেয়ারি করা লন। এখান থেকে উত্তর আকাশে দেখা যাবে তুষারশৃঙ্গের সারি– অবশ্যই পরিষ্কার আকাশ থাকলে। জিম করবেট এখানে একাধিকবার এসেছেন, থেকেছেন। তাঁর স্মৃতি ছড়িয়ে আছে বাংলো জুড়ে।
আকাশে মেঘ কালো করে আসছে। এবার হয়তো বৃষ্টি হবে। আমরা ফেরার পথ ধরি!
প্রয়োজনীয় তথ্য
১) হাওড়া থেকে সরাসরি কাঠগোদাম যায় বাঘ এক্সপ্রেস। কাঠগোদাম থেকে সরাসরি মুক্তেশ্বরের দূরত্ব ৭৪ কিলোমিটার আর নৈনিতাল থেকে ৫২ কিলোমিটার। কাঠগোদাম থেকে নৈনিতাল ৩৫ কিলোমিটার। এ পথে বাসের কোনও ঠিক নেই, তাই গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে।
২) মুক্তেশ্বরে কুমায়ুন মন্ডল বিকাশ নিগমের টুরিস্ট রেস্ট হাউস রয়েছে। হোটেল বুক করা যেতে পারে কুমায়ুন মন্ডল বিকাশ নিগমের কলকাতা অফিস থেকে ৫০ জওহরলাল নেহরু রোড (প্রথম তল) বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের পিছনে। কলকাতা-৭১। ২২৮২-৭২৯৫, ৯৩৩৯৮৭৮৯৯৫।
৩) নৈনিতাল থেকে একদিনের টুরে গাড়ি ভাড়া করে মুক্তেশ্বর ভ্রমণ করা যায়। ছোটো গাড়ি ২০০০ টাকা, টাটা সুমো ৩০০০ টাকা। কিছু ভ্রমণ সংস্থার প্যাকেজ টুরেরও ব্যবস্থা আছে।