অনেকেই অফিসে যাওয়ার সময় সাজগোজ বা মেক-আপ– কোনওটিকেই তেমন গুরুত্ব দেন না। তাড়াহুড়োয় যেমন-তেমন করে বেরিয়ে পড়েন অফিসের উদ্দেশে। কিন্তু সমস্যা হয় অন্য জায়গায়। সাজগোজের উপরেই নির্ভর করে থাকে মানুষের ব্যক্তিত্ব। সুতরাং ভুল সাজ ভুল বার্তা বহন করে। অফিস বেরনোর আগে তাই একটু যত্নশীল হওয়া জরুরি। আপনাদের সাহায্য করতে আমরা দিচ্ছি কিছু Professional tips ৷ চাকুরিরতা কন্যাদের জন্য এই ১২-টা Beauty suggestions, একান্ত ভাবে জরুরি৷
- কাজল আপনার চোখকে বুদ্ধিদীপ্ত ভাষা দেবে, চোখের আকারেও সৌন্দর্য আনবে। যদি সরু চোখ আরও বড়ো দেখাতে চান তাহলে চোখের মাঝখানের অংশ থেকে বাইরের কোণ অবধি কাজলের রেখা টানুন। ভ্যাসলিন জেলি লাগান চোখের পাতায়, আইব্রো বোন আর ঠোঁটে।
- বসা চোখকে সজীব করে তুলতে আইলাইনারের রেখা টানার সময় চোখের শেষ অংশ থেকে তা একটু উপরের দিকে উঠিয়ে দিন।
- লিপস্টিক দীর্ঘস্থায়ী করতে লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে ফাউন্ডেশনের একটা পরত লাগান।
- স্লিভলেস পোশাক পরলে নিয়মিত ভাবে আর্মপিট পরিচ্ছন্ন রাখুন। সাবান আর রেজারের বদলে শেভিং জেল ব্যবহার করুন।
- অফিস যাওয়ার পথে সবচেয়ে জরুরি জিনিসটি হল সানগ্লাস। দামি সানগ্লাস ব্যবহার করুন চোখদুটি-কে প্রখর রোদ থেকে বাঁচাতে।
- শুধু সানস্ক্রিন লাগিয়ে ত্বক-কে আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির হাত থেকে বাঁচালেই চলবে না, আপনার চুলও রোদে সমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় চুলে স্কার্ফ বেঁধে নিন আর অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন।
- চোখের নীচের ডার্ক সার্কল্স রোধ করতে আন্ডার আই ক্রিম লাগান। লেট নাইট সিরিয়াল বা সিনেমা দেখার লোভ সম্বরণ করে অন্ততপক্ষে আটঘণ্টা নিশ্ছিদ্র ঘুমের অভ্যাস করুন।
- চোখের কোণে ক্রিম হাইলাইটার লাগিয়ে অনায়াসে ক্রোজ ফিট আড়াল করতে পারবেন, আর চোখ দুটি কোনও সময় ক্লান্ত দেখাবে না। এরপর আপনার ন্যাচারাল স্কিন টোনের থেকে এক পরত গাঢ় পাউডার লাগান নাকে, চিবুকে আর জ’লাইন-এ৷ এর ফলে মুখের বাড়তি মেদ চোখে পড়বে না।
- আইক্রিম, ময়েশ্চারাইজার প্রভৃতি প্রসাধনীগুলি ফ্রিজ-এ রেখে দিন। এর ফলে ঘুম থেকে উঠে ফোলা চোখের উপর এগুলি মাসাজ করলে আরাম পাবেন এবং ফোলা ভাব কেটে গিয়ে তরতাজা হয়ে উঠবেন।
- হাঁটু আর কনুইয়ের কালোভাব বিসদৃশ লাগে। অলিভ অয়েল দিয়ে শরীরের এই অংশ মাসাজ করুন। যখন স্নান করবেন, স্ক্রাবারের সাহায্যে এই অংশগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
- খুশকির সমস্যা থাকলে চুল বড়ো অপরিষ্কার দেখায়। তাই ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুর সঙ্গে ১-টি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়িয়ে এই মিশ্রণ দিয়ে শ্যাম্পু করুন।
- যদি ঘুম ভাঙতে দেরি হয়ে যায় এবং অফিসের তাড়ায় সেদিন আর স্নান করার সময় না থাকে, ডিওডারেন্ট-এর শরণ নিন। সেইসঙ্গে ব্যাগে রাখুন কিছু বেবি ওয়াইপ্স। কাজের ফুরসতে হাত-মুখে ঘাড়ে বুলিয়ে নিন, ফ্রেশ লাগবে।
- সবচেয়ে বড়ো কথা, সাজগোজের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে প্রেজেন্টেবল করতে সবচেয়ে বড়ো টোটকা হল আপনার মুখের হাসিটি। আপনার ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমত্তা, আর একটি সুন্দর হাসি যে-কোনও কাজকে নিমেষে সহজ করে দেবে।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...
গৃহশোভা থেকে এবং