ঘড়ির কাঁটাটা অনবরত চোখ রাঙাচ্ছে। সময়মতো অফিসে হাজিরা দেওয়াটাই যেন সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে হালসময়ের কর্মরতাদের। কিন্তু যেমন-তেমন সাজে তো আর অফিস যাওয়া যায় না। তাই স্মার্ট, রুচিশীল পোশাক-আসাকের সঙ্গে, অ্যাক্সেসরিটাও খুব ইমপর্ট্যান্ট হয়ে দাঁড়ায়।
অফিস যাওয়ার সাজটি আসলে একজন নারীর ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। তাই তার রুচি, শিল্পবোধ এবং অবশ্যই বুদ্ধিমত্তার প্রকাশ ঘটে তার সাজে, যতটা মার্জিত ও শালীন রুচিতে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে পারবেন ওয়ার্কপ্লেসে, ততটাই আকর্ষর্ণীয়া হয়ে ওঠা সহজ হবে।
পাবলিক ট্রান্সপোর্ট-এ অফিস গেলেও গয়না পরার লোভ সম্বরণ করা মেয়েদের পক্ষে খুবই কঠিন। তাই অফিসের সাজগোজের সঙ্গে মানানসই হালকা সোনার গয়না বা চোখটানা কস্টিউম জুয়েলারি এখন কর্মরতাদের নিত্যকার সাজ-সঙ্গী।
হালকা সোনার স্টাইলিশ গয়না–এটাই হল এ যুগের অলংকারের ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। বহু স্বর্ণ-বিপণিই এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে এখন মন দিয়েছেন গয়না ডিজাইনিং-এ। হালকা সোনায় অপরূপ সব মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ গয়না ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। ঝিনুক, কড়ি, সেরামিক বিডস, শুকনো ফলের বীজ, গ্লাস বিডস সোনার সঙ্গে কম্বিনেশন করে সৃষ্টি হচ্ছে হালফিল সময়ের আধুনিকতম গয়না। কানের দুলে, গলার হারে, এই ইউনিক টাচ মুগ্ধ করেছে এ যুগের আধুনিকাদের। অনেকেই ট্যাসেল বা বিডস দিয়ে গাঁথিয়ে নিচ্ছেন এই সব স্টাইলিশ পেনডেনন্টস। গ্লাস বিডস ও সোনার ফিউশন ব্যাঙ্গেল ও রিস্টলেট পরা এখন দারুণ ট্রেন্ডি।
এখন যেহেতু মেয়েরা অনেকেই স্নাতক হওয়ার পর থেকেই কর্মজগতে পা ফেলছে, ফলে তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও যেমন বাড়ছে, সমানুপাতিক ভাবে বাড়ছে গয়না বিপণির ক্রেতার সংখ্যাও। ট্র্যাডিশনাল ভারী গয়নার পরিবর্তে প্রয়োজন বাড়ছে, কর্মরতাদের উপযোগী হালকা সোনার স্টাইলিশ গয়নার। হাতে ব্রেসলেট, গলায় সরু চেন, পেনডেন্ট, ম্যাচিং টপ্স আর বিবাহিতা হলে সুন্দর একটি নোয়া বাঁধানো– এটাই হল হালফিল কর্মরতাদের গয়না-সাজ। চিরাচরিত ক্লাসিক ডিজাইন থেকে বেরিয়ে আধুনিকারা বেছে নিচ্ছেন জ্যামিতিক আকার বা বিমূর্ত নকশার গয়না।
পোশাকের রং যা-ই হোক, তার সঙ্গে দারুণ মানানসই সোনার উপর হিরে বসানো গয়না। হীরকখন্ড বসানো স্টাইলিশ নোজপিন-ই হোক বা আংটি, একটুকরো হিরের দ্যুতি, আপনার ব্যক্তিত্বে আনবে স্নিগ্ধতার ছোঁয়া। হিরের লুক অ্যালাইক আমেরিকান ডায়মণ্ড-কে, সিলভার চেন-এর সঙ্গে সামএস্য রেখে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে অলংকারের নতুন ভাষা।
ইদানীং কর্মরতাদের মধ্যে অফিস জুয়েলারি হিসাবে চাহিদা বেড়েছে স্লিক, স্মার্ট, সোনার গয়নার- যার সঙ্গে সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বের সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। একটি চিক পেনডেন্ট, কানে সুন্দর দুটো স্টাড বা ক্ষুদ্র হিরে বসানো চেন এখন বহু নারীর প্রিয় অলংকার।
সোনা বা হিরে পরে অফিস যেতে যে-কন্যারা কুণ্ঠিত, তাদের জন্য অলংকারের পকেট ফ্রেন্ডলি এবং স্টাইলিশ দিশা দেখাচ্ছে ফ্যাশনেবল কস্টিউম জুয়েলারি। ট্রেন্ডি অথচ এথনিক টাচের কস্টিউম জুয়েলারি-কে আপনার চিরদিনের সম্পদ করে তুলতে পারেন। আর আছে সিলভার জুয়েলারি। রুচিশীল এবং শৈল্পিক ছোঁয়ার রুপো, মুক্তো ও কস্টিউম জুয়েলারিগুলি ভারতীয় ও পাশ্চাত্য দুই ধরনের সাজের সঙ্গেই দারুণ মানানসই ৷ অফিস-কন্যার পার্স-এর পক্ষেও যথেষ্ট সঙ্গতিপূর্ণ এই গয়না।