চোখের সংক্রমণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবেশে থাকা দূষণের কারণে হয়ে থাকে। চোখ লাল হওয়া, জল পড়া, চোখের পাতার গোড়ায় ফুসকুড়ি, চোখে ফোলাভাব ইত্যাদি নানা উপসর্গ দেখা দেয়।

আমি ২৫ বছর বয়সি কর্মরতা। বর্ষাকাল পড়ে গেছে। শুনেছি বর্ষাকালে চোখের সংক্রমণ হওয়ার বিপদ অনেক বেশি বেড়ে যায়।  তাহলে Allergy থেকে বাঁচতে কী করা আবশ্যক?

বর্ষাকালে সত্যিই চোখে সংক্রমণ হওয়ার ভয় বেশি থাকে। বর্ষার জলে নানারকম ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয় এবং পোকামাকড়ের সমস্যাও বাড়ে।

বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা এবং ব্যাক্টেরিয়ার কারণে সংক্রমণ হওয়ার ভয় সবসময় থাকে। এর জন্য ব্যক্তিগত ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা খুব প্রযোজন। চোখে হাত দেবেন না, চোখ রগড়াবেন না। সারা দিনে তিন থেকে চারবার চোখে পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে ঝাপটা মারুন। এতে সংক্রমণ হওয়ার ভয় অনেক কম হবে।

যেখানে জল জমে রয়েছে সেই সব জায়গা এড়িয়ে চলুন। বর্ষার জল চোখের ভিতর যাতে না ঢোকে খেয়াল রাখবেন।

বর্ষায় চোখের Allergy খুবই সাংঘাতিক আকার ধারণ করতে পারে। এর মধ্যে সবথেকে কমন হল কনজাংটিভাইটিস, আই ফ্লু, আঞ্জনি এবং কর্নিয়াল আলসার। চোখের Allergy থেকে মুক্ত থাকতে ধুলোবালি, ময়লা বা পুরনো বইখাতা, কাপড়জামা, পশুপাখি ও পোষা জীবজন্তুর সংস্পর্শ, বাগানের পরিচর্যা, এগুলি এড়িয়ে চলা আবশ্যক। যারা চোখে লেন্স পরেন তাদের সলিউশন ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। এগুলো রোধ করার একমাত্র উপায় হল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। ঘুম থেকে উঠে, ঠান্ডা জল দিয়ে তিন চারবার চোখ ভালো করে ধুতে হবে। চোখ পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে পরিষ্কার রাখতে হবে। কনট্যাক্ট লেন্স খোলার পর চোখ একেবারেই রগড়াবেন না। এই অভ্যাস কর্নিয়ার স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। পুষ্টিকর খাবার খান, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। যে সব খাবারে Allergy হয় সে সব খাবার বর্ষাকালে এড়িয়ে চলতে পারলে ভালো হয়।

নিজস্ব জিনিস যেমন তোয়ালে, চশমা, কনট্যাক্ট লেন্স অপরকে ব্যবহার করতে দেবেন না। বাড়ি থেকে বাইরে বেরোলে চোখে যাতে ধুলোবালি না ঢোকে এবং সূর্যের আলো থেকে চোখকে সুরক্ষা দিতে রোদ চশমা ব্যবহার করতে যেন ভুল না হয়।

 

 

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...