বিকেলে অফিসের পর রয়েছে বিশেষ একটি পার্টিতে যাওয়ার নিমন্ত্রণ৷ এদিকে সকালে উঠেই দেখলেন ত্বক জেল্লাহান আর মুখ-চোখে কালি পড়ে গেছে৷ এই পরিস্থিতিতে কী করবেন? সত্যি বলতে কী, সুস্থ জেল্লাদার ত্বক পেতে বিশেষ কিছু করার দরকার নেই!এই প্রস্তুতি আপনাকে ঝলমলিয়ে উঠতে সাহায্য করবে৷

ফেস মাস্ক
সকালে উঠে কাজের চাপ এড়িয়ে নিজের জন্য খানিকটা ফাঁকা সময় বের করে নিন। এই সময়টা নিজেকে ডিটক্স করুন। ত্বকে লাগিয়ে ফেলুন একটা মনের মতো হাইড্রেটিং ফেস মাস্ক। এতে আপনার ত্বক প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা পাবে, আপনিও পাবেন উজ্জ্বলতা!

জেড রোলার
এই বস্তুটির সঙ্গে কি পরিচয় হয়েছে আপনার? না হয়ে থাকলে জেনে নিন, ত্বকের অত্যন্ত উপকারী বন্ধু এই জেড রোলার। প্রতিদিন নিয়মিত জেড রোলার দিয়ে মুখে মাসাজ করলে রক্ত সংবহন জোরদার হয়, মুখের ত্বক আর পেশি টানটান থাকে, কাছে ঘেঁষতে পারে না বয়সের দাগ।  খুব তাড়াতাড়ি সতেজ সৌন্দর্য পেতে হলে মুখের ত্বকে এই জেড রোলার প্রয়োগ করুন।

আই মাস্ক
কিছুটা সময়ের জন্য চোখের উপর কোনও ভালো কোম্পানির আই মাস্ক লাগিয়ে রাখুন৷এতে চোখের ক্লান্তি আর কালচে ভাব দূর হয়ে, আপনি নিমেষে ফ্রেশ হয়ে উঠবেন৷

বডি ওয়াশ
সাবান ত্বক রুক্ষ করে দেয়। তাই এরপর ছিমছাম, সুগন্ধী বডি ওয়াশ দিয়ে স্নান সারুন৷ ত্বক রুক্ষও হবে না, আবার ফ্রেশ ফিলটাও হবে। আপনার সারা শরীরের ত্বক কোমল থাকবে, সঙ্গে বাড়তি পাবেন মিষ্টি গন্ধ যা সারাদিন সঙ্গী হয়ে থাকবে আপনার!

সাজগোজের পালা

মেক-আপ করার সময় ব্রাউন, পিংকিশ ব্রাউন, রাস্ট বা অন্য নিউট্রাল টোনস-এর লিপস্টিক বা শ্যাডো ব্যবহার করুন। ফাউন্ডেশন লাগানোর পর ট্রানস্লুসেন্ট পাউডার লাগান।

  • এখন খোলা চুলের ফ্যাশন অত্যন্ত জনপ্রিয়, তবে খেয়াল রাখুন যেন চুল সুবিন্যস্ত থাকে। লেয়ার্স, ডবল লেয়ার্স, লক্স, সাইড লক্স, মাল্টিস্টেপ্স– যে কাট-ই হোক, চুল যেন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়।
  • বন্ধ জুতো বা স্যান্ডাল পরাই ভালো। ফ্ল্যাট হিল বা হাই হিল্স, যেটায় আপনি স্বচ্ছন্দ্য সেটাই পরুন।
  • নতুন জুতো পরে রাস্তায় বেরোনোর আগে বাড়িতে অভ্যাস করে নিন। অল্প ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে তারপর নতুন জুতো পায়ে গলান, পায়ে ফোস্কা পড়বে না।
  • চওড়া চামড়ার বেল্ট লাগানো ফ্ল্যাট রিস্ট ওয়াচ, বেল্ট আর লেদার ব্যাগ ব্যবহার করুন। ব্যস আপনি তৈরি!
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...