নতুন সঙ্গীকে নিয়ে মনের মত জায়গায় নিয়ে যেতে সকলেই চায়।বিয়ের পর হনিমুনে যাওয়া মাস্ট।একবার ভেবে দেখুন বেড়াতে গিয়ে দুজনে দুজনের হাতে হাত রেখে, আপনারা একসঙ্গে কথা বলছেন, ছবিটা শুধু কল্পনা করুন। তাহলেই দেখবেন কত ভালো লাগছে !
কিন্তু কোথায় গেলে সঠিক অর্থে হতে পারে একটি Romantic tour, তা নিয়ে ভাবছেন? ঘুরে আসুন এই রোমান্টিক জায়গাগুলো। দেখেবেন ভালোবাসা এতে আরও বাড়বে।
আগ্রা যেন ভারতের আর দুটো শহরের মতোই। কিন্তু একে অনন্য করে তুলেছে তাজমহল। স্থাপত্যশিল্পের অপূর্ব সৃষ্টি তাজমহল, পৃথিবীর সাতটি বিস্ময়ের মধ্যে একটি। চ্ বছর ধরে চ্ঙ্ম,ঙ্মঙ্মঙ্ম শ্রমিক মিলে এই তাজমহল বানিয়েছিল। সাদা মার্বেলের উপর প্রেমের অমর কাহিনি বলা হয় তাজকে। স্ত্রী মুমতাজের স্মৃতিতে শাহজাহানের বানানো এই কীর্তি, যেন প্রেমের প্রতীক।এককথায় আগ্রা ঐতিহাসিক রোমান্টিক পর্যটন স্থান। এখানে পাথরের গায়ে প্রণয় কথা বলে। মোগল সাম্রাজ্যের স্থাপত্যকলার ঐতিহাসিক নিদর্শন হল আগ্রা– বেড়ানোর পক্ষে যা এককথায় অনবদ্য।
তেতাল্লিশ রকমের মুক্তো ও পাথর বসানো রয়েছে তাজমহলে।চিন, মায়ানমার, তিব্বত থেকেও এসব আনানো হয়েছিল।তাজমহল দেখার ভালো সময় হল সকালবেলা। এইসময়ে তাজ রক্তিম আভায় সেজে ওঠে। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাজের রং হয় দুধসাদা। চাঁদনি রাতে শ্বেতমর্মর তাজকে দেখতে হয় মায়াবী।
আপনার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে যমুনা নদীতে নৌকাবিহার করতে করতে তাজমহল দেখা এক রোমান্টিক ব্যাপার। আর তাজমহলের সামনে দাঁড়িয়ে ফোটো না তুললে মজা জমে না।
তাজমহল ছাড়াও আগ্রার অন্যান্য আকর্ষণ হল আগ্রা ফোর্ট, আকবরের মকবারা, ফতেপুর সিক্রি ইত্যাদি।আগ্রা ফোর্টে রংমহল, শিশমহল, মিনাবাজার, মোতি-মসজিদ, দিওয়ান-ই-খাস, শাহজাহান মহল ইত্যাদিও দেখার আছে।হস্তশিল্পের জন্যও আগ্রা প্রসিদ্ধ। এগুলি হল কার্পেট, জুয়েলারি, লেদারওয়্যার, ব্রাসওয়্যার। এখানকার ডালমুট, গজাও প্রসিদ্ধ।
কোথায় থাকবেন
ওবেরয় অমরবিলাস হোটেল। যমুনা ভিউতে আপনি থাকতে পারেন।
বোরং
দক্ষিন সিকিমের ছবির মতো সুন্দর এক গ্রাম – বোরং। offbeat destination এর খোঁজ শুরু করলে বোরং –এর নামটা এড়িয়ে যেতে পারবেন না৷ নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে ভাড়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন বোরং যাওয়ার জন্য৷ বোরং জায়গাটা রাভাংলা থেকে ১৭ কিলোমিটার।দুপুর ১২টার রাভাংলাগামী বাসের টিকিট কেটেও পৌঁছোতে পারবেন৷
মেঘ-কুয়াশার সাথে মিতালি করতে করতে গাড়ি যখন রাভাংলা পৌঁছবে অচিরেই আপনারা ডুবে যাবেন প্রকৃতির অপার্থিব সৌন্দর্যে৷ গাড়ি থেকে নেমেই ঘিরে ধরবে ঠান্ডা।
রাভাংলা থেকে বুদ্ধপার্ককে পাশ কাটিয়ে প্রায় ১৭কিমি পাথুরে রাস্তা পেরিয়ে যখন বোরং পৌঁছাবেন, মনে হবে নিভৃত আলাপচারিতার এর চেয়ে সুন্দর জায়গা আর হয় না৷ Homestay- র মালিক ও তার পরিবারের উষ্ম অভ্যর্থনা আপনাদের সারাদিনের ক্লান্তিকে এক নিমেষে ধূমায়িত করে দেবেন। রাতে ভাত,ডাল,রুটি,চিকেন সহযোগে আহারের পর ঘন্টা দুয়েক জমিয়ে আড্ডা দিন দুজনে।তারপর বৃষ্টির গান শুনতে শুনতে রাতটা কাটান আয়েসে।
হোমস্টে ও গাড়ির জন্য যোগাযোগ: 09735917591/9593785573