সারাদিন নানা কাজে আমাদের ব্যস্ত থাকতে হয়। রাত্রিবেলা বাড়ি ফিরে শরীর ও মন উভয়ই চায় বিশ্রাম। তখন বিছানা যদি হয় পরিপাটি করে সাজানো, আর তাতে পাতা থাকে চোখের পক্ষে আরামপ্রদ বেডশিট, মন হয় স্নিগ্ধ, আসে গাঢ় শান্তির ঘুম।
একটা সময়ে বেডশিট বলতেই লোকে বুঝত ধবধবে সাদা কিংবা অফ-হোয়াইট বিছানার চাদর। যুগ পালটেছে। রুচিও পালটেছে। এখন বাজারে অজস্র রং এবং ডিজাইনের Bedsheet পাওয়া যায়। তার কোনওটির উপর ব্লক প্রিন্ট, কোনওটিতে এমব্রয়ডারি। কোনওটি নিখাদ সুতির আবার কোনওটি হালকা সিল্কের।
সঠিক মাপের বেডশিট
এমনিতে যে-কোনও বেডিং কিংবা পিলোর-ই নির্দিষ্ট সাইজ থাকে। বেডশিট কেনার সময় খাটের মাপটি অবশ্যই মাথায় রাখবেন। তবে সাধারণভাবে দোকানে তিনটি মাপে বেডশিট পাওয়া যায়– সিংগল, মিডিয়াম এবং লার্জ।
থ্রেড-কাউন্ট
বেডশিট কেনার সময় তার থ্রেড-কাউন্ট জানাটা অত্যন্ত জরুরি। থ্রেড-কাউন্ট মানে, বেডশিটের প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে যে-কটি থ্রেড থাকে, সেটি। থ্রেড-কাউন্ট যত বেশি হবে ফ্যাব্রিকও হবে ততই নরম এবং ফাইন। বেডশিটের দাম থ্রেড-কাউন্টের উপরেই নির্ভর করে। ২৫০-এর বেশি থ্রেড-কাউন্টের বেডশিট অত্যন্ত সফট হয়।
ফ্যাব্রিক
ঘরের মধ্যেকার এবং বাইরের আবহাওয়া ও আরামের কথাটা মাথায় রেখে বেডশিট পছন্দ করুন। কটন Bedsheet গ্রীষ্মকালের পক্ষে উপযুক্ত। আবার শীতকালে ব্যবহার করতে পারেন, সিল্ক, ফ্লানেল, লিনেন এবং নেটের বেডশিট।
কটন বেডশিট পেতে পারেন হরেক রকম কোয়ালিটি ও ভ্যারাইটির। যেমন, একশো শতাংশ কটন, কটন মিক্স, নন-রিংকলিং কটন, হ্যান্ডলুম কটন ইত্যাদি। সব ধরনের রং ও ডিজাইনের কটন বেডশিট বাজারে সুলভ। রোজকার ব্যবহারের জন্যও এ ধরনের বেডশিটের কোনও জুড়ি নেই।
নির্দেশ মেনে চলুন
আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন, আপনার পছন্দের বেডশিটটিকে অনেকদিন পর্যন্ত যেন নতুন মনে হয়। তাহলে, নতুন কেনা বেডশিটের সঙ্গে দেওয়া মেইনটেন্যান্স এবং ওয়াশিং ইনস্ট্রাকশন অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলুন। সাধারণ ব্যবহারের জন্য রিংকল ফ্রি Bedsheet কেনাই ভালো। সিল্কের বেডশিট দেখতে সুন্দর, কিন্তু এগুলিকে বাড়িতে কাচলে, ডিটারজেন্ট ও ওয়াশিং মেশিন ফ্যাব্রিকের ক্ষতি করে। ফলে, ড্রাই ক্লিন করান।