দীপাবলি এসে পড়া মানেই জানান দেয় যে শীত আসছে৷ রাতের দিকে হিমেল ভাব এসে গেছে হাওয়ায়৷তাই এসময় অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকার কথা নয়। সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়েই ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা করতে পারবেন।
Festival special skin care -এর জন্য, মুখের বাড়তি সৌন্দর্যের উপকরণ হিসাবে লাগবে দই আর শসা। প্রথমে শসা কুরে নিন অথবা হামানদিস্তায় থেঁতো করে নিয়ে দইয়ের সঙ্গে মেশান। এরপর শুয়ে থাকা অবস্থায় আয়নার সাহায্য নিয়ে ওই দই-শশার পেস্ট মুখে (চোখ ছাড়া) মাখুন। চোখের উপর রাখুন শসার পাতলা টুকরো। পনেরো মিনিট বাদে মুখ ধুয়ে নিন ঠান্ডা জল দিয়ে।
Special winter skin care -এর অঙ্গ হিসাবে মুখ ছাড়াও, হাত-পা এবং শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বককেও দ্রুত উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন আপনি নিজেই। এর জন্য চাই কাঁচা দুধ, কাঁচা হলুদ এবং কমলালেবুর খোসা।
প্রথমে কাঁচা হলুদ বেটে কিংবা মিক্সিতে পেস্ট বানিয়ে নিয়ে কাঁচা দুধে মেশান। এরপর স্নানের এক ঘন্টা আগে হাতে, পায়ে এবং সারা শরীরে (মুখ ছাড়া) মেখে নিন ওই দুধ-হলুদের মিশ্রণ। তিরিশ মিনিট পর কমলালেবুর খোসাবাটা মুখে মেখে তিরিশ মিনিট পর ভালো সাবান দিয়ে স্নান করে নিন। ত্বক উজ্জ্বল হবেই।
ত্বক রক্ষা এবং সৌন্দর্য ধরে রাখার প্রধান শর্ত হল, ত্বককে জীবাণুমুক্ত এবং ময়শ্চারাইজড রাখা। এর জন্য বেছে নিন স্নান করার সময়টাকে। যদি নিমপাতা জোগাড় করতে পারেন, তাহলে গরম জলে ফুটিয়ে ওই জল ছেঁকে নিয়ে স্নানের জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। অথবা নিম-যুক্ত সাবান দিয়ে প্রাথমিক স্নান করুন। এরপর এক বালতি জলে, সামান্য নারকেলতেল ফেলে স্নান সারুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল এবং নীরোগ থাকবে।
শীত আসার আগে থেকেই ত্বকে অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। সেই সাথে রাতে যে নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন তাও যেন অয়েল বেসড হয়। কারণ অয়েল বেসড ক্রিম ত্বক যেভাবে ময়েশ্চারাইজ করতে পারে, ওয়াটার বেসড তা পারে না।
ময়শ্চারাইজার যদি অ্যাভোকাডো অয়েল, মিনারেল অয়েল, প্রাইমরোজ অয়েল, আমন্ড অয়েল, শিয়া অয়েল জাতীয় কোনও তেল দিয়ে তৈরি হয়, তাহলে আরও ভালো। অনেকেই ভাবেন শীতকালে সানস্ক্রিন ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। কিন্তু শীত হোক বা গ্রীষ্ম রোদ সবসময় স্কিনের জন্য ক্ষতিকর। বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে মুখে, হাতে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন।