আপনার ঘর, যেখানে আপনি কাটান দিনের একটা দীর্ঘ সময়- তার রং আপনাকে প্রভাবিত করবে না, তাই কি হয়? কোনও রং আমাদের মনকে ফুরফুরে করে তোলে, আবার কোনও রং যেন মুডটাই অফ করে দেয়। মনের ওপর রঙের এই প্রভাব শুধু প্রকৃতিতে বা পোশাকে নয়, সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
দিনের ব্যস্ততা শেষে ক্লান্তি দূর করতে যে-ঘরে আমরা নিজেকে এলিয়ে দিই, সেটা আমাদের শোবার ঘর।Bedroom colour তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ শোবার ঘরের রং হওয়া উচিত হালকা, শান্ত, স্নিগ্ধ ও শীতল। যেন ঘরে ঢুকলেই মন–মেজাজ সতেজ হয়ে যায়। সাদা রং শুদ্ধতা, পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা, সারল্য ও শান্তির প্রতীক। আপনি যদি খুব স্ট্রেসফুল চাকরি বা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে আপনার বেডরুমে সাদা রংকে প্রাধান্য দিয়ে দেখুন। কিছুক্ষণ পর আর চাপ অনুভব করবেন না।একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য সাদা রঙের ঘর একটি আদর্শ ঘর হতে পারে।এছাড়া শোবার ঘরের রং নীল, সবুজ বা ল্যাভেন্ডারও হতে পারে। এই রংগুলো মনে প্রশান্তির প্রভাব ফেলে বলে মনে করা হয়।তাই Home paints ব্যবহারের আগে ভালো ভাবে ভাবনাচিন্তা করে নিন৷
ঘরের শান্ত সতেজ পরিবেশ বজায় রাখতে উজ্জ্বল সাদা রঙের কোনও জুড়ি নেই। তাই বসার ঘরের ক্ষেত্রেও, সাদা, চাপা সাদা (অফ হোয়াইট), হালকা বেগুনি, সবুজ, লেবু–হলুদ, ফ্রেঞ্চ গ্রে, ক্রিমের মতো ‘শীতল রং’ দেওয়া যেতে পারে। যদি সাদা রংটিকেই বেছে থাকেন, তাহলে ঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে একটু বেশি নজর দিতে হবে।
বাড়িতে অতিথিদের জন্য যে-ঘরটি থাকবে, তা যেন আপনার রুচির পরিচয় দেয়। হালকা রং এ ঘরের জন্য আদর্শ। ক্যারামেল, কফি বা ক্রিম রং করতে পারেন এ ঘরে।
এছাড়া কোনও স্পেসকে বড়ো দেখাতে হলে, সাদা রঙের জুড়ি নেই। তাই আপনার কোনও ঘর যদি একটু ছোটো হয় তার দেয়ালে দিতে পারেন সাদা রং। ঘরটিকে আবদ্ধ মনে হবে না তাহলে।
মনে রাখবেন, আপনি যখন আপনার ঘরের জন্য কোনও রং পছন্দ করছেন তখন যে-কোনও একটি রং বেছে নেওয়ার বদলে বেছে নিন ৩ -টি রং। দেয়াল বা ফ্লোরের জন্য বেছে নিন প্রকৃতির কাছাকাছি কোনও রং। আসবাবগুলোকে দিন শীতল রং, আর ঘর সাজানোর বাকি জিনিসগুলো হোক উজ্জ্বল কোনও একটি রঙের। রঙের বৈচিত্র্য যত মানানসই হবে, সে ঘরে শান্তিও তেমনি বজায় থাকবে।