যে মানুষটিকে আমি ভালোবাসি সে পুরোপুরি আমাকেই ভালোবাসে কিনা নিশ্চিত হতে পারছি না৷। এর মূল কারণ হল, ওর অনেক বান্ধবী রয়েছে। বিশেষত ও যেখানে কাজ করে সেখানে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায়।ও তাদের সাথে একান্তে দেখা করে বলেও খবর পেয়েছি৷Flirting ওর স্বভাবসিদ্ধ৷
আমার Flirtatious Boyfriend -এর দিক থেকে সম্পর্কে থাকার আশ্বাস, ভরসা কোনওটাই ঠিক পাচ্ছি না। সম্পর্কের ভিত হল বিশ্বাস। আর সেখানেই যদি গলদ থাকে তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা খুবই সমস্যার। কারণ সম্পর্কে সকলেই সুখে থাকতে চান। আমিও চাই৷ আর সেখানে দু’জনের সমানভাবে কমিটেড থাকা প্রয়োজন। অহেতুক নিরাপত্তাহীনতা কাম্য নয়।
আমি জানি আমার প্রেমিক ওই বান্ধবীদের সঙ্গে সারাদিন ফোনে কথা বলে। চলে হোয়াটস অ্যাপে চ্যাট। অনেক সময় অফিস ট্রিপ বলে প্রায়ই নানা জায়গায় যায়৷। এই আচরণ আমায় খুবই বিড়াম্বনায় ফেলে দেয়। আমি ওর সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু ও এড়িয়ে যায়। আমি কিছু বললেই বলে এ নাকি আমার অমূলক সন্দেহ৷
আমি ওর বন্ধুদের সঙ্গে কথা বললেই ও খুব রেগে যায়। এছাড়া আমার খুব খারাপ লাগে যে ওর ফোনের পাসওয়ার্ড আমি জানি না। ও যদি আমায় বিশ্বাস করত, তবে কি এমনটা করতে পারত ! ওকে বিয়ে করব ভেবেই সম্পর্কে এগিয়েছিলাম৷ এখন আমি দ্বিধায়৷ কী করব বলে দিন৷
প্রেমে পড়া ভালো, তবে পছন্দের মানুষটিকে অবশ্যই যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্বাস থাকলে তবেই সম্পর্ক টিকবে। সব ভালো হলে শেষটা ভালোই হবে।
আপনি বলেছেন যে বয়ফ্রেন্ডের একাধিক বান্ধবী রয়েছে। আপনি এটাও বলেছেন যে উনি সেই বান্ধবীদের সঙ্গে চ্যাট করেন, এমনকী ঘুরে বেড়ান। আপনি ওকে বিয়ে করবেন কিনা এই নিয়ে দ্বিধায় আছেন৷ সেক্ষেত্রে আপনার সবার প্রথমে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে কথা বলা উচিত। আপনার বলা উচিত যে তার এই ব্যবহারের জন্য তাকে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না।
তবে কথা বলার সময় অবশ্যই আপনাকে সংযত থাকতে হবে। এক্ষেত্রে এমন কোনও কথা বলা যাবে না, যাতে সমস্যা তৈরি হয়ে যায়। তবে এখানে আরও একটা বিষয় বলা দরকার। আপনি যদি চান উনি নিজের বান্ধবীদের থেকে দূরে থাকবেন, তবে আপনাকেও অবশ্যই নিজের বন্ধুদের থেকে দূরে থাকতে হবে।
প্রথমে কথা বলুন ও কিছুদিন লক্ষ্য করুন তার আচরণে পরিবর্তন হল কিনা ৷ এর পরও যদি সঙ্গী ওই একই কাজ করতে থাকেন, তবে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে একটা সিদ্ধান্ত আপনাকে নিয়ে ফেলতেই হবে। আসলে ওনার চরিত্রে এই ফ্লার্টিং-এর অভ্যাস থাকলে কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে আসা খুবই মুশকিল। সেক্ষেত্রে কয়েকদিনের জন্য সে হয়তো এই অভ্যাস থেকে দূরে থাকার ভান করবে কিন্তু তারপর সমস্যা দেখা দেবেই।
অনেক পুরুষ আছে যারা সঙ্গী থাকার পরও অন্য মেয়েদের সঙ্গে ফ্লার্ট করে। এটা শুধু স্বভাবের কারণেই করে থাকে। এসব স্বভাবের ছেলেদের থেকে সাবধান। কারণ সবসময় মনে রাখবেন, মানুষের সব পরিবর্তন করা গেলেও চরিত্র বদলানো যায় না।
বেশিরভাগ ছেলেদেরই একটু ‘ফ্লার্ট’ করা অভ্যেসের মধ্যে থাকে। একটা সময় পর্যন্ত এই স্বভাব বেশ ভালোই লাগে মেয়েদের। সম্পর্ক শরীর পর্যন্তও এগিয়ে যায়। কিন্তু শারীরিক সম্পর্ক হওয়ার পরও যদি মনের টান না তৈরি হয়, তাহলে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো।
অন্যদিকে বিশ্বাস থাকা ভালো কিন্তু অন্ধবিশ্বাস থাকা মোটেও ভালো নয়। আর প্রেমের ক্ষেত্রে এই ভুলটি করে ফেলেন বেশিরভাগ মানুষ। মনের মানুষ খুঁজে পাওয়ার আনন্দে এতটাই বিভোর হয়ে যান, যে মুখোশের আড়ালে প্রেমিকের আসল চেহারাটাই অদেখা থেকে যায়। যখন তা প্রকাশ্যে আসে তখন আফশোস ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। তাই আপনি আগে থেকে সতর্ক হয়েছেন এটা অত্যন্ত ভালো বিষয়। প্রেমিক যদি স্বাভাব বদলাতে রাজি না থাকে, তাহলে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো৷