আমার বয়স ২১ বছর। চার মাস আগে আমার বিয়ে হয়েছে। আমাদের বড়ো পরিবার। বাড়িতে শ্বশুর শাশুড়ি দুই ননদ এবং এক দেওর। আমার বিয়ে হয়েছে বাড়ির বড় ছেলের সঙ্গে। পরিবারে সকলেই খুব ভালো এবং সকলেই সকলের খেয়াল রাখে। কিন্তু আমাদের পরিবারে সব থেকে বড়ো সমস্যা হল বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করা। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি পুরোনো দিনের মানুষ আর তাঁরা সবসময় বাড়িতে। শ্বশুরমশাই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। তাঁদের বর্তমান যুগ সম্পর্কে ধারণা খুব কম। বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে আলাদা বসে কথা বলাটাও বাড়ির সকলের চোখে দৃষ্টিকটু লাগে। দেওর ননদ অবশ্য আধুনিক মনের কিন্তু মা, বাবাকে কিছু বলতে তারা দ্বিধা বোধ করে। আমার স্বামীও তাঁদের মন রাখতে বেশি উদগ্রীব থাকে, আমার দিকটা ভাবে না। নতুন বউ হিসেবে আমি তাঁর সঙ্গ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। রাত্রে যৌন সম্পর্ক স্থাপনেও আমি দ্বিধান্বিত বোধ করি। মাঝে মাঝে আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। অন্য জায়গায় চলেও যেতে পারি না কারণ আমি বুঝতে পারি শ্বশুর শাশুড়ি আমাদের খুবই ভালোবাসেন এবং তাঁরা ছেলের উপর অনেকটাই নির্ভর করেন। আমরা বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে শ্বশুর-শাশুড়িও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়বেন। আমিও এই ভাবে তাঁদের ফেলে রেখে চলে যেতে চাই না কিন্তু আমারও একটা নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা চাই। এই পরিস্থিতিতে আমার কী করা উচিত?
আপনার শ্বশুর শাশুড়ি পুরোনো দিনের মানুষ সুতরাং নতুনের সঙ্গে সবকিছু মানিয়ে নিতে ওনাদের কিছুটা সময় দিতে হবে। তা ছাড়াও আপনার শাশুড়ি যখন বউ হয়ে এসেছিলেন তখন আমাদের সমাজটা অন্য রকম ছিল। ছেলে আর তার নতুন বউ সকলের সামনে একসঙ্গে কথা বলা বা একসঙ্গে ওঠাবসা করাটাকে সে সময় ভালো চোখে কেউ দেখত না। আপনার শাশুড়িও কিছুটা সেইভাবেই অভ্যস্থ হয়ে গিয়ে থাকবেন। ওনাদের কিছুটা সময় দিতে হবে।
এছাড়াও যৌন সম্পর্ক আমাদের জীবনের একটি প্রযোজনীয় অংশ। সুস্থ ও স্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তোলে। এছাড়াও জীবন খুশিতে ভরে তোলে। বড় ফ্যামিলিতে আগে মেয়েদের কিছুটা দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হতো। বড়রাই বেশিরভাগ পরিবারের সব দায়দায়িত্ব পালন করত। এখন অবশ্য পরিস্থিতি বদলেছে। কিন্তু আপনার বাড়ির যা পরিস্থিতি আপনি জানিয়েছেন তাতে মনে হয়, আপনি স্বামীর সঙ্গেও এ-ব্যাপারে খোলাখুলি আলোচনা করুন। তাঁরও কর্তব্য, আপনার সমস্যার একটা সমাধান বার করা।
এছাড়াও আর একটা সমাধানও হল স্বামীর সঙ্গে নিজের বাপের বাড়ি কয়েকদিন ঘুরে আসতে পারেন বা অন্যত্র কটাদিন ছুটি কাটিয়ে আসুন। এতে একে অপরের সান্নিধ্য চুটিয়ে উপভোগ করতে পারবেন এবং সেখানে বাধা দেওয়ারও কেউ থাকবে না। বাইরে গেলে মনও ভালো হয়ে যাবে। সুতরাং বাড়ির পরিবেশ মানিয়ে নিতে অসুবিধা হবে না।