আসছে রোববার ছেলে আসছে বেঙ্গালুরু থেকে৷থাকবে কয়েকটা দিন৷ সব মায়েদেরই ইচ্ছে হয় এই সুযোগে ছেলের পছন্দের ডিশ তৈরি করে খাওয়ানোর৷ লহমাও তাই খুলে বসেছেন তাঁর পুরোনো রেসিপির খাতা৷ এই সব রান্না শাশুড়ি-মায়ের কাছ থেকে শিখে নিয়েছিলেন বিয়ের পরে ৷ তিনি বলেছিলেন এই সব ডিশ তাঁর ছেলেরও ফেভারিট৷অর্থাৎ তাঁর স্বামীর পছন্দের রান্না হিসেবেই শিখেছিলেন লহমা৷ কিন্তু লহমার পুত্রও এই স্বাদেরই ভক্ত৷ আসলে বংশ পরম্পরায় রান্নাও বাহিত হয় এক  একটি পরিবারের মধ্যে৷ এভাবেই চলে রান্নার ধারাবাহিকতা৷কেতাদুরস্ত বিদেশি রান্নাই হোক বা বাঙালি ঘরের সাবেক রান্না– স্বাদে অমলিন থাকে শুধু মাত্র সঠিক পদ্ধতিতে রান্না ও পরিবেশনের গুণে৷

 

ফ্রুট কার্ড

উপকরণ: ১ বাটি ইয়োগার্ট, ২ ছোটো চামচ খোয়াক্ষীর, ১ ছোটো চামচ এলাচগুঁড়ো, ১টা কলা গোল টুকরোয় কাটা, ৪-৫টা নারকেলের ফালি, ৯-১০টা মাখানা, ১ ছোটো চামচ বেদানার দানা, ১ ছোটো চামচ টুটিফুটি, ১/২ ছোটো চামচ ঘি।

প্রণালী: বাদাম কুচি করে নিন, ঘি গরম করে মাখানা আর বাদাম ভেজে নিন। ইয়োগার্ট ঠান্ডা হওয়ার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর বের করে একটা বোল-এ ঢালুন। ইয়োগার্ট- 6-এর সঙ্গে মেশান, খোয়াক্ষীর, এলাচগুঁড়ো, নারকেলকুচি, কলার টুকরো, টুটি ফ্রুটি, বেদানার দানা। এরপর ভালো ভাবে মেশাতে থাকুন। বাদামকুচি ও টুটি ফ্রুটি দিয়ে সাজিয়ে ছোটো কাচের বাটিতে করে সার্ভ করুন। লাঞ্চের পর খেতে দারুণ লাগবে।

 

ছোলার ডালের ফিরনি

Chana daal firni recipe

উপকরণ : ১ কাপ ছোলার ডাল, ১ ছোটো চামচ ঘি, ১/২ কাপ গুড়, ১/২ কাপ দুধ, ১/৪ ভাগ তাজা নারকেল, ৭-৮টা কাজু, ৭-৮টা বাদাম, ৪-৫টা গোলমরিচ, ২টি লবঙ্গ, ৩-৪টি ছোটো এলাচ, ১ ছোটো চামচ এলাচগুঁড়ো।

প্রণালী: ছোলার ডাল ৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। নারকেল কুরে নিন এবং বেটে নিন। ডাল ধুয়ে প্রেশারে গোলমরিচ, লবঙ্গ এবং এলাচ দিয়ে, প্রয়োজনমতো জল ঢেলে সেদ্ধ করে নিন।

এবার ঢাকনা খুলে ডাল সেদ্ধটা বের করে নিন। কড়ায় দুধ, নারকেলবাটা ও ডাল একসঙ্গে দিয়ে ভালো ভাবে নাড়তে থাকুন। বেশি ঘন যেন না হয়, অথবা অতিরিক্ত পাতলা। আঁচ বন্ধ করে গুড় দিন। কাজু ও বাদাম অল্প ভেজে নিয়ে মেশান, মাটির পাত্রে ঠান্ডা করে সার্ভ করুন। উপর থেকে ড্রাই ফ্রুট ও এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...