প্রেমের সম্পর্কের মধ্যেও সমস্যা দেখা দেওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়।বিশেষ করে আজকাল জীবনযাপন জটিলতর হচ্ছে৷ ব্যক্তিগত জীবনেও সম্পর্কের উপর চাপ পড়ছে৷ কারণ মানুষের জীবনের দুটি দিক রয়েছে। একটি দিকে রয়েছে তার কর্মজীবন তো অন্যদিকে অবশ্যই ব্যক্তিগত জীবন। এই দুইয়ের সামঞ্জস্যের নামই হল জীবনশৈলী। তবে দুটো দিক সমানতালে সামলাতে গিয়ে মানুষ মাত্রেরই বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়া খুবই স্বাভাবিক।
ভালোবাসার সম্পর্কের প্রথমের দিনগুলোতে মানুষ বেশ আনন্দেই থাকেন। তাদের জীবনে তখন চিন্তার কোনও জায়গা নেই। মনের সঙ্গে মন মিলে তখন মানুষ আগামী দিনগুলোর স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকে। তবে কিছুদিন পেরনোর পরই সমস্যা শুরু হয়ে যায়। তখনই সম্পর্কের তার কিছুটা হলেও কেটে যায়। এবার এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কিছুটা ঝামেলা তাও না হয় সহ্য করে নেওয়া যায়। তবে নিয়মিত ঝামেলা হলে কিন্তু আরও সজাগ হতে হবে। কারণ এমনটা হওয়ার অর্থ হল আপনাদের কেমিস্ট্রিতে কোথাও একটা সমস্যা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে প্রথমেই যদি এই সমস্যার সমাধান না করতে পারেন, তবে ভবিষ্যতে সমস্যা আরও বাড়বে বই কমবে না। তাই সতর্ক হয়ে যাওয়াটাই বিশেষভাবে প্রয়োজন।অবশ্যই দাম্পত্য সমস্যার সমাধান করতে হলে, কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতেই হবে।
কথা বলে সমস্যা মেটান
ঝামেলা হতেই পারে। এবার সেই ঝামেলার পর মুখ গোমড়া করে একে অপরের সঙ্গে কথা বন্ধ করে দিলে কিন্তু সমস্যা না মেটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে দ্রুত কথা বলে নেওয়াটাই হল বুদ্ধিমানের কাজ৷ যে-কোনও সমস্যা কিন্তু আলোচনা করে মেটানো যায়৷ সমস্যা এড়িয়ে গেলে ঝামেলা তো মিটবেই না, বরং আরও জটিল হবে৷তাই শুরুতেই সতর্ক হয়ে যাওয়াটা খুবই জরুরি।
পরস্পরের মতামতকে সম্মান দিন
পরস্পরকে মতামতকে সম্মান দেওয়াটা খুবই জরুরি। অপরের ইচ্ছে অনিচ্ছেকেও মাঝেমাঢে গুরুত্ব দিতে শিখুন৷ এতে সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে। সবসময় যদি আপনি নিজের মতটা সঙ্গীর উপর চাপাতে যান,তাহলে তার বিরক্তি আরও বাড়বে৷তাকে গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমেও সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব।
ঝগড়ার মুহূর্তেও কুকথা নয়
অনেকেই এই ভুল করে থাকেন। আসলে তারা ভাবেন না যে ঝগড়ার সময় কিছু খারাপ বললে সমস্যা দেখা দেবে। তাই ঝগড়ার সময়ে এই ভুল করা চলবে না। আপনি যদি কথায় কথায় খারাপ কথা বলতে শুরু করে দেন, তবে অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে।আপনার সঙ্গী কিন্তু আপনার ওই রাগের মুহূর্তে বলা কথাগুলোই মনে রাতে পারেন সারাজীবন৷ এমনকী ঝগড়ার মুহূর্তে খারাপ কিছু কথা বললে তার প্রতিঘাত আরও বেশি। ডিভোর্স পর্যন্ত হতে পারে৷
তাই সম্পর্কে মাধুর্য বজায় রাখতে পরস্পরকে সম্মান করুন৷ পরস্পরের প্ৰাইভেসিকে সম্মান করুন৷ দু’জনে দু’জনক স্পেস দিন৷ এতে সম্পর্কের দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হবে না৷হৃদ্যতাও অটুট থাকবে৷