মেনোপজের সময় ও মেনোপজের পরে মহিলাদের ঘুমে ব্যাঘাত বা ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, যা তাদের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বাধা দেয়। অনেক সময় এইসব কারণে মহিলাদের নির্দিষ্ট সময়ে আগেই মেনোপজ হয়ে যায়। যে-সমস্ত মহিলাদের ডায়াবেটিস নেই, তাদের ক্ষেত্রে সাময়িক জেস্টোশনাল ডায়াবেটিস হতে পারে। গর্ভাবস্থায় ২৪তম সপ্তাহ বা তার পরেও এই ডায়াবেটিস হতে পারে, কারণ ইনসুলিন গর্ভস্থকালীন হরমোনকে প্রভাবিত করে। এর কারণে শিশুর জন্মকালে মায়ের উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা হতে পারে। শিশুর জন্মের পর মায়ের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে কিন্তু এই সমস্ত মহিলারাই ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত ঝুঁকির শিকার হন।

বেড়ে চলা ডায়াবেটিসএর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে মহিলাদের কী কী সতর্কতা নেওয়া উচিত?

বেড়ে চলা ডায়াবেটিস-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে মহিলাদের এই তিনটি কাজ করা উচিত—

উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস : পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। যার মধ্যে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট নির্দিষ্ট পরিমাণে থাকে। চিনি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় খাবার কম খাওয়া দরকার। কোনও অনুষ্ঠান ছাড়া ময়দা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।

সুস্থ থাকুন : মহিলাদের সপ্তাহে প্রায় ১৫০ মিনিট অর্থাৎ গড়ে দৈনিক পঁচিশ মিনিট অ্যারোবিক (হাঁটা, দৌড়ানো) ও ওজন তোলার মতো ব্যায়াম করা প্রয়োজন।

ওজন কমানো : যেসব মহিলা স্থূলতাজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমানো উচিত। যাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তাদেরও উচিত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা।

যেসব মহিলা ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিস আক্রান্ত, তারা কীভাবে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে পারেন?

রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন হৃদরোগ, কিডনির রোগ, চোখজনিত সমস্যা ও স্নাযুরোগ বিশেষত পায়ে স্নাযুরোগ হওয়ার সমস্যা থাকে। যদিও এই সমস্যাগুলি আবশ্যক নয়। নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা, কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ পরীক্ষার মাধ্যমে মহিলারা এইসব অঙ্গের ক্ষতি ও বিভিন্ন সমস্যা কমাতে পারেন। মহিলাদের উচিত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়াবেটিস-এর যথাযথ ওষুধ খাওয়া। বর্তমানে অনেক ধরনের ওষুধই বাজারে পাওয়া যায়, যার ফলে চিকিৎসকরা রোগীদের ঠিক ওষুধ দিতে পারেন। রোগীদের অবশ্যই প্রতিদিন নিয়ম করে ওষুধ খাওয়া উচিত কিংবা সপ্তাহে একদিন করে ইঞ্জেকশনও নিতে পারেন।

(সমাপ্ত)

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...