আমার ত্বক এতই তৈলাক্ত যে এতে ব্রণ ও ফুসকুড়ির সমস্যা লেগেই থাকে৷ এতে আমাকে দেখতে খুব খারাপ লাগে৷ ত্বকের তেলাভাব দূর করব কী ভাবে৷কী করলে পাব সুন্দর মসৃণ ত্বক? আমি নানা কারণে মানসিক উদ্বেগে ভুগি৷ শুনেছি ত্বকের সমস্যা এটাতে বাড়ে৷ এটা কি সত্যি?
ব্রণর সমস্যায় পুরুষ ও নারী নির্বিশেষে প্রায় সবাই ভোগেন। বিশেষত তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ি, ব্রেকআউট লেগেই থাকে। কারণ তৈলাক্ত ত্বকের ছিদ্র বা পোর্স বন্ধ হয়ে যায়। আর এর ফলেই বাড়তে থাকে ব্রণর সংখ্যা। এছাড়া হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, আর্লি মেনোপজ, পিরিয়ডের সমস্যা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে ব্রণ হতে পারে।
অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে ত্বকে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন ক্ষরণ হয়। ফলে তৈলাক্ত ত্বক আরও বেশি তৈলাক্ত হয়ে ওঠে। যে কারণে ব্রণ আরও বেশি হয়।অত্যধিক অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে একজিমা পর্যন্ত হতে পারে।
একজিমা এমন একটি চর্মরোগ, যা ত্বককে লাল করে তোলে। একজিমার ফলে ত্বক শুষ্ক, জ্বালা এবং চুলকানি হয়। অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে মুখে ও চোখের পাশে বলিরেখা ফুটে ওঠে। ত্বক শুষ্কও হয়ে যেতে পারে। তবে মানসিক চাপ কমানোর কৌশল অনুসরণ করলে ত্বকের অনেক সমস্যা প্রতিরোধ হতে পারে।
দ্রুত ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে লেবু কার্যকর। সরাসরি ত্বকে লেবু ব্যবহার করা উচিত নয়। লেবুর রসের সঙ্গে সর মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তুলায় দুধ ভিজিয়ে নিয়ম করে প্রতিদিন দুবার ত্বকে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। দুধের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিলে ত্বক পরিষ্কারও হবে।
শসা ব্লেন্ড করে টক দই মিশিয়ে নিন ভালোভাবে। এরপর ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এটা তৈলাক্ত ত্বকে একই সঙ্গে ক্লিনজার ও টোনারের ভূমিকা পালন করবে। কমলার রস মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে তৈলাক্ত ভাবও অনেকটা কমে যাবে।
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণর সমস্যা দূর করতে নিম ভালো প্রতিষেধক। সিদ্ধ নিমপাতা থেঁতো করে পুরো মুখে লাগিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। এরপর হালকা গরম জলে দিয়ে ধুয়ে নিন।
ত্বক ভালো রাখতে নিয়মিত ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে হবে। প্রতিদিন প্রচুর জল পান করতে হবে, সকালে এবং রাতে ভালো ভাবে মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ভিটামিন গ্রহণ করতে হবে। এসব নিয়ম সঠিক ভাবে মেনে চলতে পারলেই ত্বক থাকবে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল।