ফেসপ্যাক-এর সাহায্যে ব্ল্যাকহেড্স তোলা সম্ভব নয় কারণ এগুলি পোরস-এর ভিতরে হয়। পোরস ওপেন করে ক্লিন করার জন্য ত্বক স্ক্রাব করা জরুরি। ব্ল্যাকহেডস রিমুভ করার জন্য ভালো কসমেটিক ক্লিনিকে ভেজ অথবা ফ্রুট পিল করাতে পারেন। ১৫ দিনে একবার পিল করালে ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস রিমুভ হয়ে যাবে এবং ত্বকের গ্লো ফিরে পাবেন।
এছাড়াও রোজ মুখ পরিষ্কার করার জন্য স্ক্র্যাব তৈরি করে নিন। বাড়িতে বাদাম এবং দালিয়া পিষে নিন, খুব মিহি হবে না। এর সঙ্গে এক চিমটে হলুদ এবং গোলাপজল মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট সারা মুখে, নাক ও নাকের পাশে লাগিয়ে হালকা করে স্ক্রাব করুন এবং কিছুক্ষণ রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আমার বয়স ২২ বছর। আমার ত্বক খুবই স্পর্শকাতর। আমি যখনই মুখে কোনও ক্রিম বা মেক–আপ লাগাই ত্বকে ফুসকুড়ি বেরোয়। ত্বক নিয়ে সবসময় সমস্যায় থাকি। এই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে কী করব?
সুগন্ধীযুক্ত কোনও ক্রিম ত্বকে না লাগাবারই চেষ্টা করুন। গন্ধ থেকেও অনেক সময় অ্যালার্জি হয়। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি ক্রিমই সবসময় ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। ত্বকে ক্রিম অ্যাপ্লাই করার আগে স্কিন টোনার লাগিয়ে সেটা শুকোতে দিন, তারপরেই ক্রিম লাগান।
আমার এখন ৩০ বছর বয়স। আমার চোখের পাতার ঘনত্ব খুব কম। কী করে চোখের পাতার গ্রোথ বাড়াব?
চোখের পাতা ঘন করার সব থেকে কার্যকরী উপাদান হল ক্যাস্টর অয়েল। এতে রয়েছে রিসিনোলিক অ্যাসিড। এটি চুলের গোড়ার রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে চোখের পাতার ঘনত্ব বিকাশে সহায়তা করে।
ক্যাস্টর অয়েল শুধুমাত্র আইল্যাশ ঘন করবে এমন নয় বরং চোখের পাতা যাতে অকালে না ঝরে পড়ে সে বিষয়েও যথেষ্ট সহায়তা করে। ক্যাস্টর অয়েল লাগাবার আগে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। চোখে যেন কোনওরকম মেক-আপ না থাকে। একটি পরিষ্কার মাসকারা ব্রাশ ক্যাস্টর অয়েলে ডুবিয়ে চোখের পাতায় লাগান এবং সারারাত চোখের পাতায় লাগিয়ে রেখে দিন। সকালে উঠে গোলাপ জল দিয়ে অথবা মেক-আপ ওয়াইপস দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।