লোকসভা নির্বাচন এখন শেষ পর্যায়ে। তাই সবচেয়ে চর্চিত বিষয় এখন রাজনীতি। আর এই রাজনৈতিক নির্বাচনী আবহে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-তে হাওয়া আরও গরম করতে চলেছে ‘আবার রাজনীতি’। ২৪-মে মুক্তি পেতে চলা ‘আবার রাজনীতি’ দর্শকদের মন জয় করে নেবে, এমনই আশা প্রকাশ করেছেন পরিচালক সৌরভ চক্রবর্তী।
ওয়েব প্ল্যাটফর্ম হইচই-তে স্ট্রিমিং শুরুর দিনকয়েক আগে, ‘আবার রাজনীতি’-র ট্রেলার লঞ্চ করা হয়েছে আনুষ্ঠানিক ভাবে। পরিচালক সৌরভ চক্রবর্তী প্রসঙ্গত জানিয়েছেন, ‘রাজনীতি নিয়ে একটা খুব প্রচলিত প্রবাদ আছে — রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় আর উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। কিন্তু অনেক সময় রাজায় রাজায় যুদ্ধে রাজারও প্রাণ যায়। রাজাকে রাজা করার পিছনের যে রাজনীতি, যে ষড়যন্ত্র, তার ইতিহাসও কম রক্তাক্ত নয়। আসলে রাজা হওয়ার দাবিদার অনেক হলেও, রাজ-সিংহাসন তো সেই একটাই। তাই ভারতবর্ষের চেনা রাজনৈতিক চিত্রের মতো ‘আবার রাজনীতি’-র কাহিনিতেও প্রতি মুহূর্তে পাল্টে যায় রাজনৈতিক আর ব্যক্তিগত সম্পর্কের সমীকরণ। কে বন্ধু, কে শত্রু আর কার হাতেই-বা থাকবে রিজপুরের সিংহাসন-এর দখল, সেই কৌতূহল মেটাবে ‘আবার রাজনীতি’।’
পরিচালক আরও জানিয়েছেন, ‘আগের সিজনে দর্শকরা দেখেছেন, রাশি কীভাবে গাড়ি অ্যাক্সিডেন্টের পর কোমা থেকে ফিরে এসে নতুন করে আবিষ্কার করতে শুরু করে তার পিছনে ঘটে যাওয়া যাবতীয় চক্রান্তগুলো। ঘটনাক্রমে অনেক নতুন তথ্যও আবিষ্কার করে সে। কিন্তু ওই যে– রাজনীতিতে তো ধ্রুব সত্যি বলে কিছু নেই। আজ যা সত্যি, কাল তা মিথ্যে হয়ে যেতে পারে। তাই, যে ঘটনাগুলোকে রাশি এতদিন নিয়তি বলে মেনে নিয়েছিল, সেই নিয়তিই এবার লুকিয়ে থাকা বাস্তব হিসেবে দাঁড়ায় রাশির সামনে। আগের সিজন-এ রথীন ব্যানার্জি মারা গেলেও, ‘আবার রাজনীতি’-তে কৌশিক গাঙ্গুলীকে আবার দেখা যাবে রিজপুরের মাটিতে। উপনির্বাচনের ঠিক আগের মুহূর্তে তার ফিরে আসা কতটা অস্বস্তিতে ফেলবে ক্ষমতার কেদ্রবিন্দুতে থাকা মাল্লিকা ব্যানার্জি-কে? কী হবে মল্লিকা ও রিজপুরের ভবিষ্যৎ? কে এই মানুষটি? ব্যানার্জি বাড়ির সঙ্গে তার কী সম্পর্ক? এই সব কিছুর উত্তর দেবে ‘আবার রাজনীতি’।’
‘আবার রাজনীতি’-র বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, দিতিপ্রিয়া রায়, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, শ্যামল চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ গুপ্ত, দেবজ্যোতি রায়চৌধুরি, মধুরিমা বসাক প্রমুখ। চিত্রগহণে শুভদীপ দে। সম্পাদনায় অমিতাভ দাশগুপ্ত। সংগীত পরিচালক অমিত বোস এবং যশ গুপ্তা। কালারিস্ট দেবজ্যোতি ঘোষ এবং তথাগত ঘোষ। ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ঈশিতা সরকার।