শুধু রং খেললেই তো আর রং-এর উৎসব সম্পূর্ণ হয় না, সঙ্গে চাই ভালো কিছু খাবার। তেমনই কিছু রেসিপি রইল রং-এর উৎসব উপলক্ষ্যে।

রাইস স্পেশাল সুইট ডিশ

গুড়ের সিরাপ তৈরির উপকরণ: ২ থেকে আড়াই কাপ জল, ৪৫০ গ্রাম গুড়, ২ চামচ মৌরি এবং নুন স্বাদমতো। অন্যান্য উপকরণ: ১ বড়ো চামচ ঘি, ১৫-২০টি কিশমিশ, এলাচের দানা, নারকেলের কিছু টুকরো, ৩ কাপ বাসমতি চাল জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং আলাদা ভাবে ৪ কাপ জল নিয়ে রাখুন।

গার্নিশিং-এর উপকরণ: অল্প পেস্তার টুকরো, সামান্য পুদিনাপাতা, রুপোলি তবক, গোলাপ ফুলের পাপড়ি এবং সামান্য কেশর। গুড়ের সিরাপ তৈরির পদ্ধতি: গভীরতা যুক্ত পাত্রে গুড়, মৌরি,এলাচের দানা-র সঙ্গে জল দিয়ে মাঝারি আঁচে ফোটান। সামান্য নুন দিন। এরপর অপেক্ষা করুন গুড়ের সিরাপ তৈরি হওয়া পর্যন্ত এবং সিরাপ তৈরি হয়ে গেলে নামিয়ে রাখুন আঁচ থেকে।

রাইস স্পেশাল সুইট ডিশ তৈরির পদ্ধতি: একটি বড়ো এবং গভীরতা যুক্ত পাত্র আঁচে বসান। পাত্র গরম হলে ঘি ঢালুন এবং কিশমিশ ও নারকেলের টুকরো দিয়ে হালকা আঁচে সামান্য ভেজে নিন। এরপর ধুয়ে রাখা বাসমতি চাল ঢেলে ভালো ভাবে মেশান। ৪ কাপ জল ঢালুন। পাত্র ঢাকা দিয়ে মাঝারি আঁচে বসিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। জল যখন শুকিয়ে আসবে, তখন তৈরি করে রাখা গুড়ের সিরাপ মিশিয়ে দিন। ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষণ হালকা আঁচে বসিয়ে রাখুন। চালের মধ্যে গুড় ভালোভাবে মাখামাখি হয়ে গেলে আঁচ বন্ধ করে দিন। ২-৩ মিনিট পর এর উপর ছড়িয়ে দিন পেস্তার টুকরো, পুদিনাপাতা, গোলাপ ফুলের পাপড়ি, কেশর এবং রুপোলি তবক। গরম থাকতে থাকতে পরিবেশন করুন।

স্পেশাল ভেজ বিরিয়ানি

স্পেশাল উপকরণ: ৫টি মাঝারি মাপের পেঁয়াজ এবং পেঁয়াজ ভাজা-র জন্য উপযুক্ত পরিমাণ তেল।

বিরিয়ানি মেরিনেশন-এর উপকরণ: মাঝারি মাপের দুটো গাজর, ১০-১২টা বিন্‌স, একটা ফুলকপি, ২০০ গ্রাম পনিরের টুকরো, আধা কাপ পেঁয়াজ পাতা, আধা কাপ দই, সামান্য পুদিনাপাতা, আধা কাপ ছাড়ানো কড়াইশুঁটি, ২-৩ টে কাঁচালংকা, সামান্য লাল লংকার গুঁড়ো, আধা চামচ হলুদগুঁড়ো, আধা চামচ ধনেগুঁড়ো, সামান্য ধনেপাতা, এক চামচ আদা-রসুনের পেস্ট এবং নুন স্বাদমতো।

অন্যান্য উপকরণ: ২ বড়ো চামচ ঘি, ২টি তেজপাতা, কয়েকটা দারচিনির টুকরো, দুটো বড়ো এলাচ, ২ কাপ পছন্দের সবজির টুকরো, ৩ কাপ চাল জলে ভেজানো, ৫ কাপ গরম জল, সামান্য গরম মশলা, ১ চামচ কেওড়া জল, সামান্য কেশর এবং ২ চামচ ঘি।

রায়তা-র উপকরণ: ২টো মাঝারি মাপের আলু সেদ্ধ করা, ২টো কাঁচালংকা, ১ কাপ দই, সামান্য ধনেপাতা, সামান্য পুদিনাপাতা, আধা চামচ চিনি, আধা চামচ জিরেগুঁড়ো, লাল লংকা-র গুঁড়ো আধা চামচ এবং নুন স্বাদমতো।

গার্নিশিং-এর উপকরণ: পেঁয়াজ পাতার টুকরো এবং ধনেপাতা কুচি।

স্পেশাল ফ্রাই-এর উপকরণ: পেঁয়াজ পাতলা করে কাটুন। এরপর কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভাজুন লাল রং না হওয়া পর্যন্ত। পেঁয়াজ লাল লাল করে ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে টিসু পেপারের উপর রাখুন যাতে তেল শুষে নেয়। ভাজা পেঁয়াজ ঠান্ডা হয়ে গেলে ঢেকে রাখুন।

মেরিনেশন-এর পদ্ধতি: একটা বড়ো পাত্রে গাজরের টুকরো, কেটে রাখা বিস, ফুলকপি-র টুকরো এবং পনিরের টুকরো ফ্রাই করুন তেল দিয়ে। একটু ভাজা হয়ে গেলে কড়াইশুঁটি, দই এবং পুদিনাপাতা মেশান। কাঁচালংকার টুকরো, লাল লংকার গুঁড়ো, হলুদগুঁড়ো, ধনেগুঁড়ো এবং স্বাদমতো নুন দিয়ে নেড়ে নিন সবজিগুলো। এরপর আদা-রসুনের পেস্ট দিয়ে ভাজুন এবং সবশেষে ধনেপাতা-র কুচি মিশিয়ে নামিয়ে রাখুন।

ভেজ বিরিয়ানি তৈরির পদ্ধতি: প্রেসার কুকার আঁচে বসিয়ে ঘি ঢালুন। দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ এবং তেজপাতা ঘি-তে দিয়ে ভাজুন। এরপর ভেজে রাখা সবজিগুলো মিশিয়ে আবার ভালো ভাবে ভাজতে থাকুন। কুকারের ঢাকনা ব্যবহার করে ৪-৫ মিনিট রান্না করুন মাঝারি আঁচে। এরপর পুদিনাপাতা, কাঁচালংকার টুকরো দিয়ে ভিজিয়ে রাখা চাল ঢেলে গরম জল মিশিয়ে নিন। এর উপর গরমমশলা, স্বাদমতো নুন, কেওড়ার জল এবং কেশর ছড়িয়ে দিয়ে কুকারের ঢাকনা ব্যবহার করে একটা সিটি দেওয়া পর্যন্ত রান্না করুন হালকা আঁচে। চাল থেকে জল শুকিয়ে গেলে আঁচ নিভিয়ে দিন এবং রায়তা তৈরি করে গরম গরম বিরিয়ানি পরিবেশন করুন।

রায়তা তৈরির পদ্ধতি: সেদ্ধ করে রাখা আলু, পেঁয়াজ, টম্যাটো, কাঁচালংকার টুকরো এবং দই ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরমধ্যে ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, স্বাদমতো নুন, জিরেগুঁড়ো এবং সামান্য চিনি মিশিয়ে নিন ভালোভাবে, রায়তা তৈরি।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...