আমি ২০ বছর বয়সি যুবক। ২ বছর ধরে একটি মেয়েকে ভালোবাসি। মেয়েটিও আমাকে খুবই ভালোবাসে। আমরা আলাদা আলাদা শহরে থাকি তাই খুব কমই আমাদের দেখা হয়। কিন্তু ফোন এবং হোয়াট্স অ্যাপ চ্যাটিং-এর মাধ্যমে আমাদের কথা হতেই থাকে। আমরা দুজনেই ব্রাহ্মণ সুতরাং জাত-ধর্ম নিয়ে কোনও ঝামেলা হওয়ার কথা নয়। বাড়িতে আমি এখনও মা-বাবাকে মেয়েটি সম্পর্কে খোলাখুলি কিছু জানাইনি। বাড়িতে আমি সবথেকে ছোটো, তাই বড়োদের সামনে বিয়ে বা ভালোবাসার কথা বলতে সাহস হচ্ছে না। একমাত্র দিদিকে বলেছি। দিদি, বাবা-কাকার সঙ্গে কথা বলেছে। ওনাদের একটাই আপত্তি যে মেয়ের বাড়ি অনেক দূরে। অন্য শহরে বরযাত্রী নিয়ে যাওয়া অত খরচ করতে ওনারা রাজি নন। ওনাদের ইচ্ছে আশেপাশে থাকে এমন কোনও মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে দেওয়া। দিদি বাবাকে বলেছে, ভাই ওই মেয়েটিকে ভালোবাসে এবং ওকেই বিয়ে করবে ঠিক করেছে। এতে বাবা উত্তর দিয়েছেন যে, প্রেম-ভালোবাসার কথা সিনেমার পরদাতেই নাকি ভালো লাগে। আমাদের এখানকার সংস্কৃতি হল বিয়ের পর ভালোবাসা। মেয়েটি আমাদের শহরের হলেও কথা ছিল, মেনে নেওয়ার একটা কারণ ছিল। কিন্তু এখন বাবা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন মেয়েটিকে ভুলে যেতে। মেয়েটির বাড়িতেও এই একই সমস্যা। মেয়েটির দাদা আমার বন্ধু তাই ওদের বাড়িতেও আমি কয়েকবার গিয়েছি। ওরা সকলেই আমাকে দেখেছে, কথা বলেছে। পাত্র হিসেবে আমাকে ওনাদের পছন্দ কিন্তু অত দূরে অন্য শহরে ওরা মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি নন। মেয়ের দাদাও নিজের মা-বাবাকে বোঝাবার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু কিছুতেই রাজি করাতে পারছে না। আমরা দুজন কী করব ভেবে পাচ্ছি না। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে আমরা বিয়ে করতে চাই না। এতে উভয়ের পরিবারেরই বদনাম হবে। আমি এই অশান্তিতে নিজের কেরিয়ারের উপরও মনোযোগ দিতে পারছি না। এই অবস্থায় আমার কী করা উচিত?
আপনার এখনও বিয়ের বয়স হয়নি। আপনার এখন মাত্র কুড়ি বছর বয়স। এখন কেরিয়ার নিয়ে ভাবার সময়। সুতরাং পড়াশোনা বা চাকরি আপনি এখন যা করছেন তাতে মনোযোগ দিন এবং সেটার জন্য পরিশ্রম করুন। কেরিয়ার-কে প্রাধান্য দিন, তারপর আর সব কিছু। একবার লক্ষ্য পূরণ হয়ে গেলে, কেরিয়ারে নিশ্চয়তা আসলে, হয়তো বাড়ির চিন্তাধারাও অনেকটা বদলাবে। বাড়ির লোক হয়তো কোনও শর্ত ছাড়াই আপনাদের দুজনের সম্পর্কটা মেনে নেবে।