অবশেষে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে কাজলকে। তিনি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে পদার্পণ করতে চলেছেন এ নিয়ে গতবছর থেকেই কানাঘুষো চলছিল। এবার অনুরাগীদের আশা পূরণ করতে কাজল,  স্বামী অজয় দেবগনের প্রযোজনায় পা রাখছেন এই নতুন মাধ্যমে।অর্থাৎ অজয় দেবগনের প্রযোজনা সংস্থার ডিজিটাল ডেবিউ হচ্ছে এই ছবির সূত্রে। ছবির নাম ‘ত্রিভঙ্গ’। প্রসঙ্গত, নেটফ্লিক্সের সঙ্গে এরপরও বেশ কিছু কাজ করবেন অভিনেতা তথা প্রযোজক অজয় দেবগন।  রেণুকা সাহানিও এই প্রথম ছবি পরিচালনা করছেন। এবং এক ওড়িশি নৃত্যশিল্পীর চরিত্রে প্রথমবার ধরা দেবেন কাজল।

সেই সিনেমার টিজারই প্রকাশ্যে এল নতুন বছরের প্রথম দিনে। আগামী ১৫ জানুয়ারী নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে ছবিটি। তিনটি নারী চরিত্রকে ঘিরে গড়ে উঠেছে ‘ত্রিভঙ্গ’ –এর গল্প। মুম্বইয়ে প্রেক্ষাপটে, ত্রিভঙ্গ একটি জটিল কাহিনী যা একই পরিবারের তিন প্রজন্মের মধ্য দেখানো হয়েছে। ১৯৮০ এর দশকের শেষ থেকে আজ অবধি কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে তিনটি জীবন, কী ভাবে সময়ের সঙ্গে নানা ওঠা পড়ায় সামিল হয়েছে তারা, তা-ই উঠে আসবে ছবিতে।

রেণুকা সাহানির মতে, তিন প্রজন্মের নারীর গল্প বলবে এই ছবি। মা, মেয়ে ও দিদিমার মধ্যেকার সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরবেষ এ আসলে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক কাহিনি যা দৈনন্দিন জীবনে পরিবারের গুরুত্বকে তুলে ধরবে। কাজল, তন্বী এবং মিথিলা তাঁদের চরিত্রের জন্য মন প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন ‘ত্রিভঙ্গ’র চরিত্রগুলিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য। তিনি যা চেয়েছিলেন, চরিত্রগুলিকে তার থেকেও অনেক বেশি কিছু দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

বস্তুত অনু, নয়ন ও মাশা – এই তিনজনের চলার পথগুলো কোথায় এক জায়গায় মিলছে তাই দেখাতে চলেছে এই ছবি। পারস্পরিক লড়াই ও বিরোধিতা ভুলে,কীভাবে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত তিনটি মানুষ সমাজের সঙ্গে লড়াই করে পরিবারের ভীত পোক্ত করতে থাকে, তা নিটোল ভাবে বোনা হয়েছে এ ছবির কাহিনিতে।

টিজারেই কাজলের চরিত্রের মধ্যে দিয়ে এক মানসিক টানাপোড়েনের ইঙ্গিত দিয়েছেন পরিচালক। কাজলের মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মিথিলা পালেকর এবং তাঁর মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে কুণাল রায় কপূর এবং তন্বি আজমিকে। পরিচালক রেণুকাই এই ছবির গল্পকার।

এই ছবির প্রযোজনা সংস্থা অজয় দেবগণ সহ বন্নিজয় আসিয়া এবং সিদ্ধার্থ পি মালহোত্রর এত্যন্ত আশাবাদী এই প্রোজেক্ট নিয়ে।নেটফ্লিক্স ইনস্টাগ্রামে এই ছবির ট্রেলার প্রকাশ করার পর থেকেই দর্শকদের চাঞ্চল্য বেড়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা “পরিবার, তাঁদের সঙ্গে থাকতে পারে না। অবশ্যই তাঁদের ছাড়া বাঁচতে পারে না।“ এই ট্রেলার শেয়ার করেছেন কাজল নিজেও।নতুন এই মাধ্যম এবং এই চরিত্র, দুই-ই তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জিং, স্বীকার করেছেন কাজল।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...