সময়ের চাহিদা অনুযায়ী মহিলাদের এখন ঘরে বাইরে সমান পারদর্শিতার সঙ্গে পরিস্থিতির সামাল দিতে হয়। শুধু বাড়ির কাজে দক্ষ হলেই এখন আর চলে না, পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাইরের কাজ এবং অফিসের কাজও করতে হয়। কিন্তু এতটা কাজের দায়িত্বের ভার অনেক সময় মানসিক ভাবে মহিলাদের বিপর্যস্ত করে তোলে, অবসাদ গ্রাস করে। সুতরাং এই ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করুন।

 

নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন : চারপাশে যা কিছু ঘটছে সেটা সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করুন। সব কিছু চুপচাপ সহ্য করবেন না। পরিবর্তনশীল জীবনে যা কিছু ঘটছে, সেটা সম্পর্কে আপনার যা মনে হচ্ছে, পরিষ্কার খুলে বলুন।

ক্ষমতার অতিরিক্ত কাজ করতে যাবেন না : বাড়ি হোক বা অফিস, নিজেকে ভালো প্রমাণ করতে গিয়ে এমন না হয় যে, আখেরে আপনার লাভ কিছুই হল না। উলটে চারপাশের মানুষজন আপনার ঘাড়ে দাযিত্ব বেশি করে চাপিয়ে দেওয়ার অভ্যাস হয়ে গেল। টিম ওয়ার্ক-এর উপর নির্ভর করুন। সম্মিলিত ভাবে কাজ করলে কাউকেই বাড়তি চাপ নিতে হবে না। বাড়িতেও একই নিয়ম ফলো করুন, নয়তো সমন্বয় পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করবে।

ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করুন : ভুলের জন্যে আপনি দাযী এই ভাবনা মনে আনবেন না। অফিসে কোনও প্রোজেক্ট হাত থেকে বেরিয়ে গেলে এটা ভাববেন না যে, কাজটা আপনি করতে পারতেন না বা কাজটা করার ক্ষমতা আপনার নেই। তাই, আপনাকে কাজটা দেওয়া হয়নি।

ভয় পাবেন না : মা-বাবার দেওয়া শিক্ষা সব সময় যে জীবনযুদ্ধে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, এমনটা হয় না। পরিস্থিতি এমন দাঁড়াতে পারে যেখানে নরম হয়ে থাকলে চলবে না। সমাজের ভয়ে হয়তো বেদনাদায়ক একটা সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারছেন না। ভয় ঝেড়ে ফেলুন, নিজের যেটা সঠিক মনে হয়, সেটাই করুন। আজকের যুগে সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত সুতরাং বদনাম কুড়োবার ভয়ে চুপচাপ সহ্য করবেন না। অফিসেও বস যদি কো-অপারেট না করে, অন্য বিভাগে ট্রান্সফার নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।

প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকুন : সকালে উঠে খোলা হাওয়ায় হাঁটুন। এমন জায়গা বাছুন যেখানে প্রচুর গাছগাছালি আছে।

সমাধান খুঁজুন : সমস্যা এলে সহজ ভাবে নেওয়ার চেষ্টা করুন। ধৈর্য ধরে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হোন। বিকল্প রাস্তা খুঁজুন, যাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়।

দৈনন্দিন রুটিন বদলান : রোজ এক কাজ করতে করতে ক্লান্তি আসতে পারে, সেটা বাড়ির কাজ বা অফিসের কাজ হতে পারে। কয়েকদিন ছুটি নিয়ে বাইরে ঘুরে আসুন, ফ্যামিলি পিকনিক-এ যান, পার্লার যান, স্পা নিন। ছোটোখাটো গেটটুগেদারও মন ভালো করে দিতে পারে।

ভালো শ্রোতা হোন : ভালো না লাগলেও অপরের কথা শুনুন। অপর মানুষটিকে বোঝার চেষ্টা করুন। আপনি তার কথা মন দিয়ে শুনছেন, এটা যেন তার বিশ্বাস হয়।

স্বাস্থ্য বজায় রাখুন আর ফিট থাকুন : শরীরের কোনও সমস্যা হলে এড়িয়ে যাবেন না। রুটিন চেক-আপ করাতে থাকুন।

নারী যে-কোনও পরিবারের প্রাণ। এটা মনে রেখে ভালো স্ত্রী, মা, এবং ওয়ার্কিং উযোম্যান হওয়ার চেষ্টা করুন।

 

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...