মেয়ের বিয়ের দিন এগিয়ে আসছে, হাতে আর বেশি সময় নেই। আর বিয়ে মানেই বেনারসি শাড়ি, মেক-আপের পাশাপাশি হেভি জুয়েলারি। বিয়ের গয়না নিয়ে কমবেশি সকলেই চিন্তায় থাকেন, কী ধরনের গয়না কিনবেন, কোথায় যাবেন?
আভিজাত্যই বলুন কিংবা পরম্পরা, বিয়েতে গয়নাটা মাস্ট। সেই প্রয়োজনীয়তা মেটাতে হাজির পাড়ার মোড়ের ছোটোখাটো বিপণি থেকে শহরের নামিদামি জুয়েলারি শপ্। এর মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য সেনকো গোল্ড জুয়েলার্স, সুভাষ ব্রাদার্স, পি সি চন্দ্র জুয়েলার্স, এম পি জুয়েলার্স, গিরীশ প্যালেস এবং এ সরকারের মতো বিপণিগুলি, যেখানে গেলেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার সখ এবং সাধ্যের মধ্যে হরেকরকম ডিজাইনের গয়না।
গয়নার ডিজাইন, ভ্যারিয়েশন এবং দাম নিয়ে সম্প্রতি আমরা কথা বলেছিলাম, সেনকো গোল্ড জুয়েলার্সের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেন এবং সুভাষ ব্রাদার্সের কর্ণধার সম্বিত দে-র সঙ্গে। তাঁদের মতানুযায়ী, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত সব ধরনের ক্রেতার চাহিদার গুরুত্ব দেওয়া হয়। সাবেকিয়ানার ছোঁয়াও যেমন থাকে, তেমনই রাখা হয় আধুনিক ডিজাইনের গয়নাও। বিয়েতে মোটামুটি ভারী গয়নার চাহিদাই বেশি। নেকলেস, চূড়, বালা, মানতাসা, কানবালা, কানপাশা, ঝুমকো, ছেলের রিস্টলেট, বোতাম, গলার চেনের বিক্রিই বেশি। তবে পুরোটাই নির্ভর করে ক্রেতাদের পকেট কতটা পারমিট করবে তার উপর।
চিরাচরিত নকশা ছাড়াও চুড়ির মধ্যে পেয়ে যাবেন চতুষ্কোণ, বেঁকি চুড়ি সহ বিভিন্ন ধরনের স্টাইলিশ চুড়ি। নেকলেসের মধ্যে ট্র্যাডিশনাল সীতাহারের পাশাপাশি পাবেন অত্যাধুনিক ডিজাইনের চওড়া এবং সরু হার। চেনের মধ্যে রয়েছে মব চেন, বক্স চেন, গোট চেন, মেশিন চেন। চূড়ের মধ্যেও রয়েছে অভিনব ম্যাট ফিনিশের মিনে করা শৌখিন চূড়। তবে ঐতিহ্যবহনকারী রতনচূড়ের চাহিদা আজও অক্ষুণ্ণ। ফ্যাশনে ইন বিভিন্ন ধরনের গালা-ভরা বালা থেকে সলিড বালা। কানবালা এবং ঝুমকোর মধ্যেও থাকছে অত্যাধুনিক সব ডিজাইন। এছাড়া মকর, হাঙর এবং সিংহমুখী পলা-ই হোক বা শাঁখা বাঁধানোই হোক– বিয়ের গয়নার তালিকায় এর উপস্থিতি চিরাচরিত ভাবে চলে আসছে। তবে আজও এমন অনেক কনেই আছেন, যারা পারম্পরিক সূত্রে পাওয়া গয়নাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। আবার অনেকেই বহুযুগ থেকে চলে আসা সেই একঘেয়ে ট্র্যাডিশনাল লুক বদলাতে পছন্দের তালিকায় রাখছেন ডায়মন্ড জুয়েলারি। হালফ্যাশনে অবশ্য কেউ কেউ আবার ভারী গয়নার বদলে ডেলি ইউজের জন্য হালকা জুয়েলারিও বেছে নিচ্ছেন।