শীতের দুটো তিনটে মাস কোনওরকমে কাটতে না কাটতেই গরমের মরশুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক সংক্রান্ত প্রভূত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। চলে আবার প্রায় শীত আসার আগে পর্যন্ত। পার্লারগুলির বিউটি ট্রিটমেন্ট-এর ব্যাবসার বাড়বাড়ন্তর সময় এটা। নানা ধরনের ট্রিটমেন্টের মূল্যেরও রকমফের চোখে পড়ে। অনেকে তো, কোন পার্লারে যাবেন অথবা কোথায় গেলে একটু পকেটের সাশ্রয় হবে এমনটাও বিবেচনা করেন। অথচ বাড়িতেই আমাদের এমন কিছু জিনিস মজুত থাকে যার ব্যবহারে আপনি ফিরে পেতে পারেন ম্লান হয়ে যাওয়া সৌন্দর্য।
সৌন্দর্য সমস্যার সমাধানে এইসব ঘরোয়া টোটকা অনেক সময় পার্লারের ট্রিটমেন্টের থেকেও অনেক বেশি কার্যকরী হয়। আসলে প্রাকৃতিক সম্পদের কোনও জুড়ি নেই। আমাদের উচিত এমনই কিছু সমাধান জেনে রাখা, যাতে বাড়িতে বসেই কিছুটা ত্বকের পরিচর্যা করে নেওয়া যায়।
ত্বকের শুষ্কতা এবং চুলকানি
শুষ্ক, রুক্ষ ত্বকে চুলকানি, টান ধরা ইত্যাদি সমস্যাগুলি খুব বেশি দেখা যায়। এই ধরনের ত্বককে কোমল করার জন্যে ময়েশ্চারাইজ করা খুব প্রয়োজন। রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে, ২ ছোটো চামচ দুধের সর, কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন এবং গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে, গলায়, ঘাড়ে এবং দুই হাতে ভালো করে লাগিয়ে সারা রাত রাখুন। সকালে উঠে ঠান্ডা জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের চুলকানি এবং রুক্ষ ভাব দূর হয়ে ত্বক হয়ে উঠবে কোমল এবং মসৃণ। ত্বকের উজ্জ্বলতাও ফিরে আসবে।
ঠোঁট ফাটলে
ঠোঁট ফাটলে, গোলাপের পাঁপড়ি পিষে তার সঙ্গে মাখন ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে, রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। সকালে উঠে ঠান্ডা জলে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। ঠোঁট গোলাপি এবং মসৃণ হয়ে যাবে।
কনুই, হাঁটু কালো হয়ে গেলে
কনুই এবং হাঁটু কালো হয়ে গেলে দেখতে খারাপ লাগে। এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতে ২ চিমটে হলুদ, ২ ছোটো চামচ মিল্ক পাউডার, ১ ছোটো চামচ মধু এবং অর্ধেক লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ কনুই এবং হাঁটুতে ভালো করে লাগিয়ে শুকোতে দিন। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আস্তে আস্তে কালো ভাব দূর হয়ে যাচ্ছে।