প্রত্যেক বছর এক এক রকম লিপ আর্টের ট্রেন্ড ফ্যাশন জগৎকে মাত করে– আর সেটা যদি বাজারে হিট হয়ে যায় তাহলে তো নিন্দুকদের মুখই বন্ধ। এক সময় ফ্যাশান র্যাম্পে দারুণ ট্রেন্ডিং ছিল টু-টোনস লিপ আর্ট, অম্বার লিপস, ড্রিপি লিপস, গ্লিটার লিপস, লিপ আর্ট । কিন্তু ফ্যাশনের রদবদল হতেই থাকে। তাই ক্রমশ হলোগ্রাম লিপ আর্ট, ফ্যাশনের বাজার চাঙ্গা করতে উপস্থিত। সত্যি বলতে কী একবার এই আর্ট-এর উপর চোখ রাখলে দৃষ্টি ফেরানো রীতিমতো মুশকিল।এটা ছাড়াও আছে লিপ মাস্ক, ম্যাগনেটিক লিপলাইনার এবং গ্লিটার লিপস– যেগুলোও সমান আকর্ষণীয়।
ট্রেন্ড ইন ফ্যাশন
ফ্যাশান র্যাম্পে লিপ মেক-আপের লেটেস্ট ট্রেন্ড হলোগ্রাফিক লিপ আর্ট-এ ঠোঁটকে ক্রিস্টাল লুক দেওয়া হয়। ঠোঁটে গ্লসি লিপস্টিক লাগিয়ে তার উপর ঝকঝকে স্টার্স অথবা ডট্স লাগিয়ে ঠোঁটকে হলোগ্রাফিক লুক দেওয়া হয়। এর জন্য রেড, পার্পল-এর মিক্স শেড্স ব্যবহার করা হয়। এগুলো রেডিমেট-ও কিনতে পাওয়া যায়। কিনে জাস্ট ঠোঁটের উপর লাগিয়ে নিতে হয়। আবার এক্সট্রা ডেপ্থ এবং শাইন পেতে লিপস্টিক বেস-এর উপরেও লাগানো যায়। এই প্রোডাক্টটির বিশেষত্ব হচ্ছে এটি লাইটকে ক্যাপচার করে রিফ্লেক্ট করে, ফলে ঠোঁট হয়ে ওঠে মায়াময় ও কাব্যিক। ডার্ক ব্লু লিপস্টিকের উপর এই গ্লসি এফেক্ট আরও ভালো ভাবে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এখন অনেকেই ব্যবহার করছেন লিপ মাস্ক। এটা ব্যবহার করার পর ঠোঁট নরম এবং মোলায়েম হয়ে ওঠে, কিন্তু এটার এফেক্ট অনেকক্ষণ থাকে না। ধীরে ধীরে ফেড হয়ে যায়। অনেক লিপ মাস্ক ম্যানুফ্যাকচারাররা তাদের প্রোডাক্ট-এ গ্লিসারিন, ভিটামিন ‘ই’, জল এবং হাইঅ্যালুরনিক অ্যাসিড মেশাচ্ছেন অন্যান্য ইনগ্রিডিয়েন্টস-এর সঙ্গে। লিপ-প্লামপিং জেল-এ থাকছে পিপারমিন্ট তেল, যেটা ঠোঁটে ফোলা ভাব নিয়ে আসে যাতে বিগার পাউট পাওয়া যায়।
লিপ মাস্ক অবশ্য ঠোঁটের ফোলা ভাব আনতে অতটা উপযোগী নয় যতটা ঠোঁট ময়েশ্চারাইজ করতে এটি সাহায্য করে। অনেক সময় এর টেস্টও অপছন্দের হয়। স্পর্শকাতর ত্বক হলে মাস্কের খারাপ প্রভাবও পড়তে পারে। বেশিরভাগ লিপ মাস্কই ট্রান্সপারেন্ট এবং এর রং সাধারণত বাব্বল-গাম পিংক এবং গোল্ডেন হয় ।