Split Ends-এর সমস্যা তখনই শুরু হয় যখন চুলের উপরের পরত কোনও কারণবশত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। স্টাইলিং এবং স্ট্রেটনিং করাবার উপকরণ বেশি ব্যবহার করলে, চুলে বেশি কেমিক্যালস ব্যবহার করলে বা ড্রায়ার বেশি ব্যবহার করলে, বারবার শ্যাম্পু করা, চুলে ট্রিমিং না করানো হলে, চুলের ডগা ফেটে যায়, Split Ends-এর সমস্যা বাড়তে থাকে। চুল হেলদি করতে এবং Split Ends-এর সমস্যা রোধ করতে এই উপাদানগুলি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
নারকেল তেল
Split Ends-এর জন্য নারকেল তেলের ব্যবহার খুবই কার্যকরী। রুক্ষ এবং দুই মুখো চুলে পুষ্টির জোগান দিয়ে চুলের ময়েশ্চার বজায় রাখতে সাহায্য করে নারকেল তেল। নারকেল তেল হালকা গরম করে চুলের গোড়া থেকে শুরু করে পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন সারা রাত। সকালে চুল শ্যাম্পু করে নিন। তেলে থাকা কপার, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের সঙ্গে সঙ্গে হেলদি ফ্যাটসও রয়েছে যা কিনা চুলের ড্রাইনেস রোধ করতে খুবই কার্যকরী।
আমলকী
আমলকীতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রিচ ভিটামিন-সি। হেয়ার ফলিকলস রিপেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গে হেয়ার গ্রোথ-এও অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়াও ফ্রি র্যাডিক্যালস-এর জন্য চুলে যে ক্ষতি হয়েছে সেটা রিপেয়ার করতে এটি সাহায্য করে। আমলকীতে ভিটামিন-সি, গ্যালিক অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্টস ইত্যাদি থাকে, যা কিনা চুলে প্রযোজনীয় পুষ্টির জোগাড় দেয়।
আমলকী-যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন অথবা 5-6 ঘণ্টা আমলকীকে জলে ভিজিয়ে রেখে সেই জল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে চুল ধুতে পারেন। এতে চুলের ড্রাইনেস রোধ করা যাবে, চুলে শাইন আসবে এবং Split Ends-এরও সমস্যা দূর হবে।
রিঠা
মাথার খুশকি রোধ করতে রিঠার অবদান সকলেই জানেন। চুলপড়া রোধ করতে এবং চুল ড্রাই হওয়া থেকেও রিঠা সাহায্য করে। এতে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাংগাল প্রপার্টিজ। খুশকির কারণে স্ক্যাল্পে চুলকানি এবং চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞের মতে রিঠা যুক্ত শ্যাম্পু এইক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত। Split Ends, প্রাণহীন চুলেই সাধারণত বেশি দেখতে পাওয়া যায়। সেইক্ষেত্রে রিঠা চুলে পুষ্টি জোগায়।