অনুভব হাজরা ও সঞ্জয় চক্রবর্তী-র লেখা গানে এবং সঞ্জয় চক্রবর্তী-র সুরে, ১০টি বাংলা গান ও ১টি হিন্দি গান প্রকাশ করা হল কলকাতা-র কালীঘাট অঞ্চলে অবস্থিত যোগেশ মাইম আকাদেমিতে। বর্তমান ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দজী মহারাজ এই সংগীত সংকলনের শুভ উদ্বোধন করেন এবং মহতি কর্ম উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ তাঁর মহান কর্ম কান্ডের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরে সমান ভাবে সমাদৃত। আজ এই সংগীত সংকলন সঙ্ঘের ভক্তকুল ও জনমানসে আধ্যাত্মিকতায় ও কর্মক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব ফেলবে।'
ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সংস্থাপক যুগাবতার শ্রীমৎ স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের নররূপে আবির্ভাব ও দিব্যজীবন চর্চাকে সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে 'মন্মথপুর প্রণব মন্দির' এক অভিনব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপহার দিল যোগেশ মাইম আকাদেমিতে। এই উপলক্ষ্যে ‘প্রণবাঞ্জলি অ্যাপ’ এবং ইউটিউব চ্যানেল ‘যুগের প্রণববাণী’ লঞ্চ করা হল আনুষ্ঠানিক ভাবে।

স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজকে নিয়ে ইতিপূর্বে বহু বিদগ্ধ সন্ন্যাসী ও পন্ডিত গান লিখেছেন, সুর দিয়েছেন এবং সংগীতের মাধ্যমে মননে, চিন্তনে কর্মধারায় পরিবর্তন এনেছেন। আজও ভিন্ন সাধের কিছু গান আগামী দিনে স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের পৃথিবীতে আবির্ভাব ও জনমানসে তাঁর সুচিন্তন ভাবনার প্রতিফলন ঘটাবে বলে মনে করেন ভক্তরা।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যামে জানানো হয়েছে, এই মহৎ উদ্যোগের দৃঢ় অঙ্গীকার, প্রয়াস ও সংগীত সংকলনে সমস্ত শিল্পীর সাফল্য শ্রীশ্রী গুরুমহারাজের কৃপায় আগামী দিন বিস্তার লাভ করবে। সংগীত সংকলনের সব থেকে আকর্ষনীয় বিষয় হল--- সঙ্ঘবাণী, সাধন সিদ্ধবাণী এবং হিন্দু মিলন মন্দির পাঁচালি। এই সংকলনে সংগীত পরিবেশন করেছেন সঞ্জয় চক্রবর্তী, রেশমী চক্রবর্তী, প্রাঞ্জল বিশ্বাস, বিশাখ জ্যোতি, সৌরিক, অয়েন্তিকা ও অন্যান্য শিল্পীরা। পরবর্তী সংকলনে কিঞ্জল চট্টোপাধ্যায়, সৃজন চট্টোপাধ্যায়, অঙ্কন এবং অঙ্কিতা কন্ঠদান করবেন বলে জানানো হয়েছে। আয়োজক মন্ডলীর লক্ষ্য, আগামী দিনে স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের দিব্যভাবের প্রচার ও প্রসারকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়া।





